ই-পেপার সোমবার ৭ অক্টোবর ২০২৪
সোমবার ৭ অক্টোবর ২০২৪

পরীক্ষার আগের রাতে প্রশ্ন ফাঁস, জড়িতদের জবাবদিহির আওতায় আনা হোক
প্রকাশ: শুক্রবার, ৫ জুলাই, ২০২৪, ১২:৪৮ এএম  (ভিজিট : ৩২২)
বৃহস্পতিবার থেকে সারা দেশেই মাধ্যমিক বিদ্যালয়গুলোতে শুরু হয়েছে ষান্মসিক মূল্যায়ন বা প্রচলিত অর্থে অর্ধবার্ষিক পরীক্ষা। মাধ্যমিকের ষষ্ঠ, সপ্তম, অষ্টম ও নবম শ্রেণির সারা দেশের ৫০ লাখের মতো শিক্ষার্থী এই মূল্যায়ন কার্যক্রমে অংশ নিচ্ছে।

নতুন শিক্ষাক্রম অনুযায়ী এবার কেন্দ্রীয়ভাবে জাতীয় শিক্ষাক্রম ও পাঠ্যপুস্তক বোর্ডের (এনসিটিবি) তৈরি করা শিক্ষার্থী নির্দেশিকা বা প্রশ্নের ভিত্তিতে হচ্ছে মূল্যায়ন কার্যক্রম। শিক্ষকরা এখনও এ কাঠামোর প্রশ্নপত্রে অভ্যস্ত নন। তাই এখন কেন্দ্রীয়ভাবে প্রশ্ন তৈরি করে দেওয়া হচ্ছে। এরপর আর এনসিটিবি প্রশ্নপত্র তৈরি করবে না। প্রশিক্ষণ পেতে যাওয়া শিক্ষকরা এই প্রশ্নপত্র তৈরি করে দেবেন। যার যার বোর্ডের জন্য আলাদা প্রশ্নপত্র তৈরি করা হবে। এভাবে কয়েক বছর চলার পরে বিদ্যালয়গুলো নিজেরাই কাঠামো অনুযায়ী প্রশ্নপত্র তৈরি করবে। অন্যদিকে এবারের এই সামষ্টিক মূল্যায়ন পর্যালোচনা করে প্রতিষ্ঠানভিত্তিক ধারাবাহিক ও সামষ্টিক মূল্যায়ন চূড়ান্ত হবে। তবে নতুন নিয়ম হওয়ায় এবার এনসিটিবি থেকে মূল্যায়নে শিক্ষার্থী নির্দেশিকা বা প্রশ্ন তৈরি করে তা পরীক্ষার আগের দিন প্রতিষ্ঠানপ্রধানের কাছে অনলাইনে পাঠানো হচ্ছে। প্রতিষ্ঠানপ্রধানরা প্রশ্নপত্র ডাউনলোডের পর ফটোকপি করে শিক্ষার্থীদের মধ্যে সরবরাহের ব্যবস্থা করছেন।

অভিযোগ উঠেছে, পরীক্ষার আগের দিন মঙ্গলবার রাতে এবং পরীক্ষার দিন সকালে বিভিন্ন সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে মূল্যায়ন কার্যক্রমের শিক্ষার্থী নির্দেশিকা বা প্রশ্নপত্র ছড়িয়ে পড়ে। সঙ্গে উত্তর তৈরি করেও ছড়ানো হয়। পরে দেখা যায়, বুধবার অনুষ্ঠিত মূল্যায়ন কার্যক্রমের শিক্ষার্থী নির্দেশিকার সঙ্গে ফাঁস হওয়া নির্দেশিকার হুবহু মিল পাওয়া গেছে।

নতুন পদ্ধতিতে প্রশ্নের যে ধরন এবং যেভাবে লিখতে হবে, তাতে প্রশ্নপত্র ফাঁস হলেও বড় কোনো সমস্যা হবে না। গত বছর কিন্তু প্রায় দুই সপ্তাহ আগেই নির্দেশিকা ওয়েবসাইটে প্রকাশ করা হয়েছিল; কিন্তু সমস্যা হচ্ছে এই প্রশ্নপত্রের ভিত্তিতে তথাকথিত উত্তরপত্র লিখে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে দেওয়ার ফলে শিক্ষার্থী ও অভিভাবকরা বিভ্রান্ত হচ্ছেন। এতে মূল্যায়ন কার্যক্রম কিছুটা ব্যাহত হচ্ছে।

প্রশ্নপত্র ফাঁস, প্রকাশ বা বিতরণের সঙ্গে জড়িত থাকার শাস্তি ন্যূনতম ৩ বছর থেকে সর্বোচ্চ ১০ বছরের কারাদণ্ডসহ অর্থদণ্ডের বিধান রয়েছে। প্রশ্ন ফাঁসের অভিযোগে বিভিন্ন সময় বিভিন্ন ব্যক্তিকে গ্রেফতারের নজির রয়েছে। আমরা মনে করি, প্রশ্ন ফাঁসের পেছনে কোনো রাজনৈতিক সমীকরণ আছে কি না সেটি খতিয়ে দেখতে হবে। অনেকেই নতুন শিক্ষাক্রম মেনে নিতে পারছে না বা পছন্দ করছে না। সেক্ষেত্রে শিক্ষাসংশ্লিষ্টদের বিব্রত করতে এ ঘটনা ঘটানো হতে পারে বলেও মনে করছেন অনেকে। এ ঘটনায় সংশ্লিষ্ট দফতরের মাধ্যমে জরুরি নোটিস দিয়ে প্রতিষ্ঠানপ্রধানদের বলা হয়েছে, এরপর যদি কারও আইডি থেকে তা বাইরে যায়, তা হলে তার বিরুদ্ধে কঠোর ব্যবস্থা নেওয়া হবে। আমরা প্রত্যাশা করি, প্রশ্ন ফাঁসের এ ঘটনায় জড়িতদের জবাবদিহির আওতায় আনতে সংশ্লিষ্ট মন্ত্রণালয় ও দফতরগুলো কার্যকর ব্যবস্থা গ্রহণ করবে।    

সময়ের আলো/আরএস/ 




https://www.shomoyeralo.com/ad/1698385080Google-News-Update.jpg

সর্বশেষ সংবাদ

সর্বাধিক পঠিত


ভারপ্রাপ্ত সম্পাদক: সৈয়দ শাহনেওয়াজ করিম, আমিন মোহাম্মদ মিডিয়া কমিউনিকেশন লিমিটেড এর পক্ষে প্রকাশক গাজী আহমেদ উল্লাহ
নাসির ট্রেড সেন্টার, ৮৯, বীর উত্তম সি আর দত্ত সড়ক (সোনারগাঁও রোড), বাংলামোটর, ঢাকা।

ফোন : +৮৮-০২-৯৬৩২৩৬৮-৭৪, ফ্যাক্স : +৮৮-০২-৯৬৩২৩৭৫ | ই-মেইল : shomoyeralo@gmail.com
close