ই-পেপার সোমবার ১৬ ডিসেম্বর ২০২৪
সোমবার ১৬ ডিসেম্বর ২০২৪
ই-পেপার

সোমবার ১৬ ডিসেম্বর ২০২৪

গাইবান্ধায় বাঁধভাঙা পানি ঢুকছে লোকালয়ে, নিম্নাঞ্চল প্লাবিত
প্রকাশ: বৃহস্পতিবার, ৪ জুলাই, ২০২৪, ৭:১৪ পিএম  (ভিজিট : ৩৫০)
ভারী বৃষ্টি ও উজানের পানির তোড়ে গাইবান্ধার প্রধান নদ-নদীতে পানি বৃদ্ধি অব্যাহত রয়েছে। ঢলের পানি হানা দিয়েছে সাঘাটা, ফুলছড়ি ও সদর উপজেলায়। উজান ঢলে সাঘাটায় একটি গ্রামীণ বাঁধ ভেঙে গেছে। এতে উপজেলার বন্যানিয়ন্ত্রণ বাঁধের পূর্বাংশের তিন ইউনিয়নের অন্তত ১৫টি গ্রাম প্লাবিত হয়েছে। অন্যদিকে ফুলছড়ি উপজেলার বেশকয়েকটি স্থানে ব্রহ্মপুত্র নদের পানি উপচে লোকালয়ে প্রবেশ করছে। উপজেলার সাতটি ইউনিয়নই বানের পানিতে ডুবতে শুরু করেছে। এছাড়া সদর উপজেলার কামারজানি ও মোল্লারচর ইউনিয়নের বেশিরভাগ গ্রামের ফসলি জমি-বসতবাড়ি তলিয়েছে। বাঁধভাঙা পানির তোড়ে জেলার বন্যা পরিস্থিতি প্রকট হচ্ছে।

বুধবার (৩ জুলাই) গাইবান্ধা পানি উন্নয়ন বোর্ডের (পাউবো) নিয়ন্ত্রণকক্ষের দেওয়া তথ্য অনুযায়ী, গত ২৪ ঘণ্টায় ব্রহ্মপুত্র নদের পানি ফুলছড়ি উপজেলার তিস্তামুখঘাট পয়েন্টে ৫১ সেন্টিমিটার বৃদ্ধি পেয়ে বিপদসীমার ৭৭ সেন্টিমিটার উপর দিয়ে, ঘাঘট নদীর পানি জেলা শহরের নতুন ব্রিজ পয়েন্টে ৪৬ সেন্টিমিটার বৃদ্ধি পেয়ে বিপদসীমার ২৯ সেন্টিমিটার উপর দিয়ে, করতোয়ার পানি গোবিন্দগঞ্জ উপজেলার চকরহিমাপুর পয়েন্টে ৫০ সেন্টিমিটার বৃদ্ধি পেয়ে বিপদসীমার ১৫৭ সেন্টিমিটার নিচ দিয়ে এবং তিস্তার পানি সুন্দরগঞ্জ উপজেলা সংলগ্ন কাউনিয়া পয়েন্টে ২৩ সেন্টিমিটার হ্রাস পেয়ে বিপদসীমার ৪৭ সেন্টিমিটার নিচ দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে।

বুধবার (৩ জুলাই) সন্ধ্যা ৬টা থেকে বৃহস্পতিবার সন্ধ্যা ৬টা পর্যন্ত এই পরিমাণ পানি বৃদ্ধি পায়। এই সময় জেলায় ৩৪ মিলিমিটার বৃষ্টিপাত রেকর্ড করা হয়।

পানি বৃদ্ধির কারণে গাইবান্ধা সদর উপজেলার কামারজানি, মোল্লারচর, গিদারি, ঘাগোয়া ও ফুলছড়ি উপজেলার এরান্ডাবাড়ি, ফুলছড়ি ও ফজলুপুর এবং সুন্দরগঞ্জ উপজেলার তারাপুর, হরিপুর ইউনিয়ন ও সাঘাটা উপজেলা ভরতখালী ও হলদিয়া ইউনিয়নের নিম্নাঞ্চলগুলো প্লাবিত হয়েছে। অন্যদিকে নদীতে পানি বাড়ার সাথে সাথেই নতুন করে সদরের মোল্লার চর ও ফুলছড়ির ফজলুপুর ইউনিয়নের বিভিন্ন স্থানে নদী ভাঙ্গন দেখা দিয়েছে। নদ-নদীবেষ্টিত জেলার চার উপজেলার ২৪টি ইউনিয়নের নিম্নাঞ্চল প্লাবিত হয়েছে। পানিবন্দী হয়েছে অন্তত ৩০ হাজার মানুষ। প্লাবিত এলাকায় পাট ও গ্রীষ্মকালীন শাকসবজি পটোল এবং মরিচসহ অন্যান্য ফসল পানিতে তলিয়ে যাওয়ায় কৃষকরা তাদের খাদ্য নিরাপত্তা নিয়ে আরও চিন্তিত হয়ে পড়েছেন।

গাইবান্ধা পানি উন্নয়ন বোর্ডের (পাউবো) নির্বাহী প্রকৌশলী হাফিজুল হক বলেন, ভারী বর্ষণ ও উজনের ঢলে গাইবান্ধায় সবগুলো নদ-নদীর পানি বাড়ছে। তবে ব্রহ্মপুত্র-যমুনা ও ঘাঘট নদীর পানি বিপৎসীমার ওপর দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে। সব ধরনের ঝুঁকি মোকাবিলায় পানি উন্নয়ন বোর্ড প্রস্তুতি নিয়েছে।

জেলা ত্রাণ ও পুনর্বাসন কর্মকর্তার দায়িত্বে থাকা জেলা প্রশাসনের নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট মো. জুয়েল মিয়া বলেন, বন্যা পরিস্থিতি মোকাবিলায় জেলা ও উপজেলা প্রশাসন প্রস্তুত রয়েছে। দুর্যোগ মোকাবিলায় জেলায় পর্যাপ্ত ত্রাণ সামগ্রী এবং শুকনো খাবার মজুদ রয়েছে।

সময়ের আলো/জেডআই




https://www.shomoyeralo.com/ad/1698385080Google-News-Update.jpg

সর্বশেষ সংবাদ

সর্বাধিক পঠিত


ভারপ্রাপ্ত সম্পাদক : সৈয়দ শাহনেওয়াজ করিম, আমিন মোহাম্মদ মিডিয়া কমিউনিকেশন লিমিটেড এর পক্ষে প্রকাশক গাজী আহমেদ উল্লাহ। নাসির ট্রেড সেন্টার, ৮৯, বীর উত্তম সি আর দত্ত সড়ক (সোনারগাঁও রোড), বাংলামোটর, ঢাকা।
ফোন : +৮৮-০২-৯৬৩২৩৬৮-৭৪, ফ্যাক্স : +৮৮-০২-৯৬৩২৩৭৫ | ই-মেইল : shomoyeralo@gmail.com
close