প্রকাশ: বৃহস্পতিবার, ৪ জুলাই, ২০২৪, ৪:২৯ পিএম (ভিজিট : ৩২৪)
ভারতের অসাম রাজ্যে বন্যা পরিস্থিতির আরও অবনতি হয়েছে। আসাম রাজ্যের ২৮ টি জেলায় ১১ লক্ষের বেশি মানুষ ভয়ঙ্কর বন্যায় ক্ষতিগ্রস্ত। নতুন করে আসামের তিনসুকিয়া ও ধেমাজিতে আরও তিন জনের মৃত্যু হয়েছে। ফলে মৃতের সংখ্যা বেড়ে দাঁড়িয়েছে ৪৪। এছাড়া গোলাঘাট এলাকায় আরও একজন নিখোঁজ বলে জানা গেছে।
আসামের ৮৪ টি ব্লকের দু’হাজার ২০৮ টি গ্রাম বন্যায় ক্ষতিগ্রস্ত। ৪২ হাজারের বেশি হেক্টর জমির ফসল নষ্ট হয়েছে। অসামের মুখ্যমন্ত্রী হিমন্ত বিশ্বশর্মা রাজ্যের মন্ত্রী ও বিধায়কদের অবিলম্বে বন্যা দুর্গত এলাকায় যাওয়ার নির্দেশ দিয়েছেন। অসামের কাজিরাঙা জাতীয় উদ্যানের ৯৫ টি চেকপোস্ট সম্পূর্ণ পানিতে ডুবে গেছে। পশু পাখিদের নিকটবর্তী পাহাড়ে নিরাপদ স্থানে সরিয়ে নিয়ে যাওয়া হচ্ছে। মূলত একটানা বৃষ্টিতে বিপর্যস্ত আসাম। ভারতের উত্তর-পূর্বাঞ্চলের বৃহত্তম রাজ্যের বিস্তীর্ণ এলাকায় এখন বন্যা কবলিত।
আসাম সরকার সূত্রের খবর, টানা বৃষ্টির কারণে বিপদসীমা ছুঁয়ে ফেলেছে ব্রহ্মপুত্র, বুড়িডিহিং, সুবনসিরি, ধানসিড়ি, জিয়া ভরালি, পুথিমারি, বেকি, গুরুং, সঙ্কোশ-সহ বিভিন্ন নদী। ব্রহ্মপুত্রে প্লাবনের কারণে কাজিরাঙা জাতীয় উদ্যানের বিস্তীর্ণ অংশ ইতিমধ্যেই পানির তলায় চলে গিয়েছে। গন্ডার, বুনো মহিষ, হরিণ-সহ বিভিন্ন বন্যপ্রাণীর মৃত্যুর আশঙ্কা বাড়ছে।
আসাম বন দফতর জানিয়েছে, কাজিরাঙার ২৩৩টি ফরেস্ট ক্যাম্পের ৬২টিই এখন সম্পুর্নভাবে পানির তলায়। প্রায় প্রতি বছরই কাজিরাঙার নীচু অংশ পানিমগ্ন হলে ৭১৫ নম্বর জাতীয় সড়ক পেরিয়ে বন্যপ্রাণীরা কার্বি আংলং পাহাড়ে আশ্রয় নেয়। সে সময় দ্রুতগতির যানবাহনের ধাক্কায় মারা পড়ে অনেকে। এই পরিস্থিতিতে ওই জাতীয় সড়কে যানবাহন নিয়ন্ত্রণে নজর দিচ্ছে আসাম বন দফতর।
সময়ের আলো/এম