ই-পেপার সোমবার ৭ অক্টোবর ২০২৪
সোমবার ৭ অক্টোবর ২০২৪

পরীক্ষার আগের রাতে ষান্মাসিক মূল্যায়নের প্রশ্নপত্র ফাঁস
প্রকাশ: বুধবার, ৩ জুলাই, ২০২৪, ১১:১৭ পিএম  (ভিজিট : ১২৪৬)
নতুন শিক্ষাক্রমের আওতায় মাধ্যমিক শ্রেণী অর্থাৎ ৬ষ্ঠ, ৭ম, অষ্টম ও নবম শ্রেণির ষান্মাসিক মূল্যায়ন পরীক্ষা বুধবার (৩ জুলাই) থেকে শুরু হয়েছে। তবে পরীক্ষার আগের রাতে বিভিন্ন ওয়েবসাইট ও ফেসবুকে প্রশ্ন ফাঁস হয়েছে। এমনকি ইউটিউবে এসব প্রশ্নের সমাধানও পাওয়া গেছে। এ নিয়ে অভিভাবকরা তাদের উদ্বেগ উৎকণ্ঠা প্রকাশ করেছেন। অভিভাবকরা বলছেন, শিক্ষার্থীরা পড়াশোনা করার পরিবর্তে পরীক্ষার আগের রাতে প্রশ্ন খোঁজাখুঁজি করছে।

তবে নতুন শিক্ষাক্রমের প্রশ্নপত্র ফাঁস হলেও এর কোনো প্রভাব পড়বে না বলে মন্তব্য করেছেন শিক্ষামন্ত্রী মহিবুল ইসলাম চৌধুরী নওফেল। বুধবার (৩ জুলাই) রাজধানীর বনানী বিদ্যানিকেতন স্কুলে আয়োজিত এক অনুষ্ঠানে তিনি বলেন, পরীক্ষায় কী প্রশ্ন আসবে শিক্ষার্থীরা তা জানলেও কোনো সমস্যা হবে না। এখানে ফাঁস করার কিছু নেই। প্রশ্ন ফাঁস করে লাভ নেই। শিক্ষার্থীদের অবশ্যই সংশ্লিষ্ট কার্যক্রমে অংশ নিয়ে দক্ষতার স্তর পাস করতে হবে।

সোমবার শিক্ষা মন্ত্রণালয়ে অনুষ্ঠিত হয় মাধ্যমিক স্তর এবং কারিগরি ও মাদ্রাসা স্তরের যৌথ জাতীয় শিক্ষাক্রম সমন্বয় কমিটির (এনসিসিসি) সভায় মূল্যায়নের খসড়ার চূড়ান্ত অনুমোদন দেওয়া হয়। শিক্ষামন্ত্রী মহিবুল হাসান চৌধুরীর উপস্থিতিতে অনুষ্ঠিত সভায় কিছু পর্যবেক্ষণ দেওয়া হয়।

জানা যায়, ৬ষ্ঠ, ৭ম, অষ্টম ও নবম শ্রেণির অর্ধবার্ষিক পরীক্ষা শুরুর আগের দিন মঙ্গলবার শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানগুলোর মেইলে প্রশ্ন পাঠায় এনসিটিবি। সেই প্রশ্নের ফটোকপি করে গতকাল পরীক্ষা নেওয়া হয়েছে।

পরীক্ষার প্রশ্নপত্র 'নৈপুণ্য' অ্যাপের মাধ্যমে দেওয়া হয়, শিক্ষকেরা এটা পরিচালনা করেন। নিয়ম অনুযায়ী, প্রত্যেক শিক্ষার্থীর অগ্রগতির রেকর্ড রাখার জন্য শিক্ষকরা এই অ্যাপটির অ্যাক্সেস পান।

নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক একটি স্কুলের প্রধান শিক্ষক বলেন, মঙ্গলবার ওয়েবসাইটে প্রশ্ন পেয়েছি। আমাদের বলা হয়েছিল, সেই প্রশ্নগুলো প্রিন্ট করে ছাত্রছাত্রীদের দিতে। এটা খুবই দুর্ভাগ্যজনক যে পরীক্ষার আগেই শিক্ষার্থীদের হাতে প্রশ্ন এসেছে।

কেন্দ্রীয়ভাবে জাতীয় শিক্ষাক্রম ও পাঠ্যপুস্তক বোর্ডের (এনসিটিবি) তৈরি করা শিক্ষার্থী নির্দেশিকা বা প্রশ্নের ভিত্তিতে হচ্ছে এ মূল্যায়ন কার্যক্রম। বিষয় ও শ্রেণিভেদে চার থেকে সর্বোচ্চ পাঁচ ঘণ্টায় হচ্ছে এ মূল্যায়ন। যেমন, অষ্টম ও নবম শ্রেণির জন্য পাঁচ ঘণ্টা এবং ষষ্ঠ ও সপ্তম শ্রেণির জন্য চার ঘণ্টায় হচ্ছে মূল্যায়ন। সময়সূচি অনুযায়ী নির্ধারিত দিনে একটি বিষয়ের মূল্যায়ন হবে। মূল্যায়ন হবে সপ্তাহের প্রতিদিন। তবে গ্যাপ দিয়ে এ মূল্যায়নের সময়সূচি নির্ধারণ করা হয়েছে। ফলে সব মিলিয়ে মাসব্যাপী চলবে মূল্যায়ন কার্যক্রম।

এবার হাতে-কলমে কাজ এবং কার্যক্রমভিত্তিক লিখিত অংশের ভিত্তিতে হচ্ছে মূল্যায়ন। প্রশ্নের ধরন একেবারে ভিন্ন। যেমন, বাংলা বিষয়ের মূল্যায়নে হয়তো একটি অনুষ্ঠান কীভাবে আয়োজন করতে হবে, তাতে শিক্ষার্থীরা কীভাবে সক্রিয়ভাবে অংশগ্রহণ করবে ইত্যাদি জানতে চাওয়া হতে পারে। শিক্ষার্থীদের জোড়ায় আলোচনা করে এর ভিত্তিতে নিজ নিজ উত্তরপত্রে লিখতে হচ্ছে। আছে দলগত কাজও। ওই অনুষ্ঠান আয়োজন ঘিরে ব্যানার, আমন্ত্রণ, পোস্টার ইত্যাদির নমুনা তৈরির বিষয়ও আছে।

নতুন নিয়ম হওয়ায় এবার এনসিটিবি থেকে মূল্যায়নে শিক্ষার্থী নির্দেশিকা বা প্রশ্ন তৈরি করে তা পরীক্ষার আগের দিন প্রতিষ্ঠানপ্রধানের কাছে অনলাইনে পাঠানো হচ্ছে। প্রতিষ্ঠানপ্রধানেরা প্রশ্নপত্র ডাউনলোডের পর ফটোকপি করে শিক্ষার্থীদের মধ্যে সরবরাহের ব্যবস্থা করছেন। এ ব্যবস্থায় পরীক্ষার নির্ধারিত সময়ের আগে কোথাও কোথাও নির্দেশিকা বের হওয়ার আশঙ্কা থেকেই যাচ্ছে।

সময়ের আলো/জেডআই




এই ক্যাটেগরির আরো সংবাদ


https://www.shomoyeralo.com/ad/1698385080Google-News-Update.jpg

সর্বশেষ সংবাদ

সর্বাধিক পঠিত


ভারপ্রাপ্ত সম্পাদক: সৈয়দ শাহনেওয়াজ করিম, আমিন মোহাম্মদ মিডিয়া কমিউনিকেশন লিমিটেড এর পক্ষে প্রকাশক গাজী আহমেদ উল্লাহ
নাসির ট্রেড সেন্টার, ৮৯, বীর উত্তম সি আর দত্ত সড়ক (সোনারগাঁও রোড), বাংলামোটর, ঢাকা।

ফোন : +৮৮-০২-৯৬৩২৩৬৮-৭৪, ফ্যাক্স : +৮৮-০২-৯৬৩২৩৭৫ | ই-মেইল : shomoyeralo@gmail.com
close