প্রকাশ: বুধবার, ৩ জুলাই, ২০২৪, ৭:১৯ পিএম (ভিজিট : ৩০৪)
অবিরাম বর্ষণ আর উজান থেকে নেমে আসা পাহাড়ি ঢলে কুড়িগ্রামের ধরলা, দুধকুমার, তিস্তা ও ব্রহ্মপুত্র নদীর পানি বৃদ্ধি অব্যাহত রয়েছে। বন্যার পানিতে নিমজ্জিত হয়েছে নদ-নদী তীরবর্তী চর-দ্বীপ ও নিম্নাঞ্চলগুলো। তলিয়ে গেছে কিছু ঘরবাড়ি ও সবজির খেত।
বুধবার (৩ জুলাই) দুপুরে স্থানীয় পানি উন্নয়ন বোর্ড জানায়, ব্রহ্মপুত্র নদের নুন খাওয়া পয়েন্টে বিপৎসীমার ২৬.১৭ সেন্টিমিটার ও ধরলা নদীর পানি বৃদ্ধি পেয়ে শিমুলবাড়ী পয়েন্টে বিপৎসীমার ৩০.৭২ উপর দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে। এছাড়াও অন্যান্য সবকটি নদ-নদীর পানি ক্রমেই বৃদ্ধি পেয়ে বিপৎসীমার কাছাকাছি অবস্থান করছে।
অন্যদিকে নদীর তীরবর্তী উলিপুর, চিলমারী, রাজারহাট, রাজিরপুর ও রৌমারী উপজেলার প্রায় ১৮টি পয়েন্টে নদী ভাঙ্গন দেখা দিয়েছে ।
সদর উপজেলার মোগলবাসা ইউনিয়নের নয়ারহাট এলাকার বাসিন্দা আজমল হোসেন বলেন, দেড় একর জমিতে পটলের চাষ করেছি। পটলের ধরতি ভাল। বিক্রিও শুরু করেছি। এমন সময় পানি ঢুকে গেল। তাড়াতাড়ি পানি না নামলে ভীষণ বিপদে পড়ে যাবো।
উলিপুর উপজেলার হাতিয়া ইউনিয়নের আরেক পটলচাষী মমিনুল ইসলাম বলেন, নদীর পানি বৃদ্ধির ফলে আমার পটল ক্ষেত পানিতে তলিয়ে গেছে। পটলের গাছ মরে যাচ্ছে। ফলে মনে হচ্ছে লোকসান গুনতে হবে। তাড়াতাড়ি পানি নেমে গেলে হয়তো পটল বিক্রি করে লাভ না হলেও ক্ষতি পুষিয়ে উঠতাম।
কুড়িগ্রামের রাজারহাট কৃষি আবহাওয়া অফিসের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা সুবল চন্দ্র সরকার জানান, গত ২৪ ঘণ্টায় জেলায় ১৩০ মিলিমিটার বৃষ্টিপাত রেকর্ড করা হয়েছে তবে আগামী ২/১দিন বৃষ্টি অব্যাহত থাকতে পারে।
কুড়িগ্রাম পানি উন্নয়ন বোর্ডের (পাউবো) নির্বাহী প্রকৌশলী মো. রাকিবুল হাসান জানান, এভাবে পানি বৃদ্ধি হলে আগামী ২৪ ঘণ্টায় কাউনিয়া পয়েন্টে তিস্তার পানি, শিমুলবাড়ী পয়েন্ট ধরলার পানি, পাটেশ্বরী পয়েন্টে দুধকুমার নদের পানি ও কাউনিয়া পয়েন্টে তিস্তা নদীর পানি বিপৎসীমার উপর উঠতে পারে।
সময়ের আলো/আরআই