ই-পেপার সোমবার ৭ অক্টোবর ২০২৪
সোমবার ৭ অক্টোবর ২০২৪

কোটালীপাড়ায় ধর্ষণ মামলার সাক্ষীকে মারধর করেছে আসামি পক্ষ
প্রকাশ: মঙ্গলবার, ২ জুলাই, ২০২৪, ৩:৪৩ পিএম  (ভিজিট : ২৪৪)
গোপালগঞ্জের কোটালীপাড়া উপজেলায় বাড়ি থেকে ডেকে নিয়ে বিপুল রায় (৫০) নামে ধর্ষণ মামলার এক সাক্ষীকে মারধর করেছে আসামি পক্ষ।

সোমবার (২ জুলাই) দুপুরে উপজেলার কান্দি ইউনিয়নের পূর্ব ধারাবাশাইল গ্রামে এ ঘটনা ঘটে। আহত বিপুল রায় বর্তমানে উপজেলা স্বাস্থ্য কেন্দ্রে চিকিৎসাধীন রয়েছে। সে পূর্ব ধারাবাশাইল গ্রামের মৃত হরিদাস রায়ের ছেলে।

জানাগেছে, ২০২২ সালের ২০ ফেব্রুয়ারি পূর্ব ধারাবাশাইল গ্রামের ভরত বিশ্বাসের ছেলে সুধীর বিশ্বাস (৪২)সহ ৪জনে মিলে বিপুল রায়ের কলেজ পড়ুয়া ভাতিজি নিপা রায়কে ধর্ষণ করে। এ ঘটনার পরের দিন মনের কষ্টে কলেজ ছাত্রী নিপা রায় গলায় ফাঁস দিয়ে আত্মহত্যা করে। নিপা রায়ের আত্মহত্যার পর তার পিতা নিপুল রায় বাদী হয়ে গোপালগঞ্জ নারী ও শিশু নির্যাতন ট্রাইব্যুনালে সুধীর বিশ্বাসসহ ৪জনকে আসামি করে একটি মামলা দায়ের করেন। এই মামলার ১নং সাক্ষী হচ্ছেন মামলার বাদী নিপুল রায়ের বড় ভাই বিপুল রায়। দীর্ঘদিন মামলাটি চলার পর আগামী ১৫জুলাই আদালত সাক্ষীদের সাক্ষ্য গ্রহণের দিন ধার্য করেছেন বলে জানিয়েছেন মামলার ১নং সাক্ষী বিপুল রায়।

তিনি বলেন, আমি যাতে সাক্ষী দিতে না যাই তার জন্য সুধীর বিশ্বাসসহ অন্য আসামিরা আমাকে নানা ভাবে প্রলোভন দিয়ে আসছিল। এই প্রলোভনে আমি রাজি না হওয়ায় সুধীর বিশ্বাসসহ অন্য আসামিরা আমাকে বাড়ি থেকে ডেকে নিয়ে মারধর করেছে। মামলার বাদী নিপুল রায় বলেন, মামলা করার পর থেকেই আমি ও আমার পরিবারের লোকজনকে আসামিরা নানা ভাবে হুমকি দিয়ে আসছিল। এরই অংশ হিসেবে আসামিরা আমার বড় ভাই বিপুল রায়কে বাড়ি থেকে ডেকে নিয়ে মারধর করেছে। আমি ও আমার পরিবারের লোকজন নিরাপত্তাহীনতায় ভোগতেছি।

আসামিদের হাত থেকে বাঁচতে ও তাদের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির জন্য আমি প্রশাসনের হস্তক্ষেপ কামনা করছি। এ বিষয়ে জানার জন্য সুধীর বিশ্বাসসহ অন্য আসামিদের বাড়িতে গিয়ে কাউকে পাওয়া যায়নি। এদিকে জমিজমা নিয়ে বিরোধের জের ধরে রহিম খান (৩০) ও কামরুল খান (৪০) নামে দুই ভাইকে মারধর করেছে প্রতিপক্ষ লেবু শেখ এবং তার লোকজন।

সোমবার সন্ধ্যায় উপজেলার আমতলী ইউনিয়নের চিত্রাপাড়া গ্রামে এ ঘটনা ঘটে। মারধরের শিকার রহিম খান ও কামরুল খান উপজেলা স্বাস্থ্য কেন্দ্রে বর্তমানে চিকিৎসাধীন রয়েছেন। এরা দু’জন চিত্রাপাড়া গ্রামের সুলতান খানের ছেলে।

অপরদিকে লেবু শেখ একই গ্রামের কলম শেখের ছেলে। কোটালীপাড়া থানার ওসি মুহাম্মদ ফিরোজ আলম বলেন, রহিম খান ও কামরুল খানকে মারধরের ঘটনায় থানায় অভিযোগ হয়েছে। এই অভিযোগের পরিপ্রেক্ষিতে লেবু শেখকে আটক করা হয়েছে। এছাড়া বিপুল রায়কে মারধরের ঘটনার কোন অভিযোগ আমরা পাইনি। অভিযোগ পেলে তদন্তপূর্বক আইনগত ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।


সময়ের আলো/এএ/




https://www.shomoyeralo.com/ad/1698385080Google-News-Update.jpg

সর্বশেষ সংবাদ

সর্বাধিক পঠিত


ভারপ্রাপ্ত সম্পাদক: সৈয়দ শাহনেওয়াজ করিম, আমিন মোহাম্মদ মিডিয়া কমিউনিকেশন লিমিটেড এর পক্ষে প্রকাশক গাজী আহমেদ উল্লাহ
নাসির ট্রেড সেন্টার, ৮৯, বীর উত্তম সি আর দত্ত সড়ক (সোনারগাঁও রোড), বাংলামোটর, ঢাকা।

ফোন : +৮৮-০২-৯৬৩২৩৬৮-৭৪, ফ্যাক্স : +৮৮-০২-৯৬৩২৩৭৫ | ই-মেইল : shomoyeralo@gmail.com
close