ই-পেপার রোববার ৬ অক্টোবর ২০২৪
রোববার ৬ অক্টোবর ২০২৪

রাস্তার অভাবে ভোগান্তিতে পৌর এলাকার কয়েকশ পরিবার
নদীর পার দিয়ে ঝুঁকিপূর্ণ চলাচল
প্রকাশ: মঙ্গলবার, ২ জুলাই, ২০২৪, ৭:২১ এএম  (ভিজিট : ৩৩৮)
ঝালকাঠি শহরের বুক চিরে দক্ষিণ দিক থেকে উত্তরে বয়ে চলেছে বাসন্ডা নদী। পশ্চিম ঝালকাঠির ৬ নম্বর ওয়ার্ডে বাসন্ডা নদীর পশ্চিম পারে অতুল মাঝির খেয়াঘাট থেকে বাসন্ডা ব্রিজ পর্যন্ত প্রায় দুই কিলোমিটার এলাকায় কয়েকশ পরিবারের চলাচলের কোনো রাস্তা নেই। পৌরসভার পক্ষ থেকে আধা কিলোমিটারের মতো রাস্তায় আরসিসি ঢালাই দেওয়া হলেও তা ভেঙে বিলীন হয়ে যাচ্ছে বাসন্ডা নদীতে। বাকি দেড় কিলোমিটার রাস্তা নদী ভাঙনে অনেক আগেই বিলীন হয়ে গেছে। তাই এখন নদীর পার ধরে পায়ে হেঁটে চলাচল করা ছাড়া আর কোনো উপায় নেই স্থানীয় বাসিন্দাদের।

এ বিষয়ে জানার জন্য যোগাযোগ করা হলে আশার বাণী শোনান ঝালকাঠি পৌরসভার মেয়র লিয়াকত আলী তালুকদার। তিনি বলেন, পশ্চিম ঝালকাঠির কেস্তাকাঠি আবাসন প্রকল্প থেকে সরাসরি বাসন্ডা ব্রিজ পর্যন্ত নদীর পার দিয়ে একটি সড়ক নির্মাণের প্রকল্প অনুমোদনের জন্য পাঠানো হয়েছে। আশা করছি, প্রকল্পটি দ্রুততম সময়ের মধ্যে পাস হবে। অনুমোদন পেয়ে গেলে এই সমস্যার সমাধান হয়ে যাবে।

সরেজমিন কথা হয় বাসন্ডা নদী পারের বাসিন্দা শ্রমিক আবদুল জব্বার, রফিক মাঝি, জলিল মাঝি, লাইলী বেগমসহ আরও অনেকের সঙ্গে। এ সময় তারা প্রত্যেকেই অভিযোগের সুরে বলেন, আমরা ঝালকাঠির বর্ধিত পৌর এলাকার নাগরিক হলেও আমাদের চলাচলের কোনো রাস্তা নেই। বাসন্ডা নদীর ভাঙন থামার কোনো লক্ষণ নেই। দিনের পর দিন ধরে নদীর পার ক্রমাগতভাবে ভেঙেই চলেছে। আমরা স্বেচ্ছাশ্রমে মাটি কেটে বাঁধ নির্মাণ করে নদীর পার দিয়ে কোনোরকমে চলাচলের ব্যবস্থা করেছি। কিন্তু এভাবে আর কতদিন চলতে পারব জানি না! নির্বাচন এলে জনপ্রতিনিধিরা প্রতিশ্রুতি দিলেও নির্বাচন শেষ হয়ে গেলে পরে আর কোনো ব্যবস্থা নেওয়া হয় না। আজ অবধি নদী ভাঙন প্রতিরোধে কার্যকর কোনো পদক্ষেপ নেওয়া হয়নি। একইভাবে রাস্তা নির্মাণেরও কোনো উদ্যোগ চোখে পড়েনি।

স্থানীয় বাসিন্দা বেলা রানী পাল, দুলাল কৃষ্ণ, দেবাশীসসহ আরও অনেকে বলেন, এই এলাকায় কোনো রাস্তা না থাকায় রোগী নিয়ে দ্রুত হাসপাতালে যেতে বিপাকে পড়তে হচ্ছে। মাটির আসবাবপত্র পোড়ানোর তাফালঘর একবার ভেতরে সরিয়ে এনেছি। নদী ভাঙনের কারণে আবার তাফালঘর সরিয়ে নিতে হবে। তারা আরও বলেন, বর্ষার সময় জোয়ারের আগেই এবং অতিবৃষ্টির কারণে এই এলাকা নদীর পানিতে তলিয়ে যায়। ঘর থেকে বের হওয়ার কোনোরকম উপায় থাকে না। নদীর পার পিচ্ছিল হওয়ায় হাঁটাচলা করতে খুব অসুবিধা হয়। জীবনের ঝুঁকি নিয়ে পিচ্ছিল নদীর পার দিয়ে পায়ে হেঁটে চলাচল করতে হয়। এ ছাড়া আর কোনো উপায়ও নেই।

সময়ের আলো/জিকে




https://www.shomoyeralo.com/ad/1698385080Google-News-Update.jpg

সর্বশেষ সংবাদ

সর্বাধিক পঠিত


ভারপ্রাপ্ত সম্পাদক: সৈয়দ শাহনেওয়াজ করিম, আমিন মোহাম্মদ মিডিয়া কমিউনিকেশন লিমিটেড এর পক্ষে প্রকাশক গাজী আহমেদ উল্লাহ
নাসির ট্রেড সেন্টার, ৮৯, বীর উত্তম সি আর দত্ত সড়ক (সোনারগাঁও রোড), বাংলামোটর, ঢাকা।

ফোন : +৮৮-০২-৯৬৩২৩৬৮-৭৪, ফ্যাক্স : +৮৮-০২-৯৬৩২৩৭৫ | ই-মেইল : shomoyeralo@gmail.com
close