প্রকাশ: সোমবার, ১ জুলাই, ২০২৪, ৮:৫৫ পিএম (ভিজিট : ৪৭৮)
লালমনিরহাটের হাতীবান্ধায় ভাতিজার লাঠির আঘাতে আরজিনা নামে এক চাচির ১৪ দিন পর মৃত্যু হয়েছে। এর আগে গত ২৬ জুন রংপুর মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল থেকে তাকে বাড়িতে আনা হয়।
সোমবার (১ জুলাই) দুপুরে ওই উপজেলার পাটিকাপাড়া ইউনিয়নের উত্তর পারুলিয়ার গ্রামে নিজ বাড়িতে তিনি মারা যান।
স্থানীয়রা জানান, গত ২৬ জুন আহত আরজিনা বেগমকে রংপুর হাসপাতাল থেকে বাড়িতে নিয়ে আসে তার পরিবার। এমতবস্থায় আহত আরজিনা বেগম আজ (সোমবার) দুপুরে বাড়িতেই মারা যায়। এদিকে তার মৃত্যুর পর থেকে বাড়ি ছেড়ে পলাতক ভাতিজা ফরমান আলী ওরফে রিপন ও তার বাবা রফিকুল ইসলাম।
নিহত আরজিনার ছেলে মাইদুল ইসলাম বলেন, ঈদের আগের দিন রফিকুল চাচার বাড়িতে পারিবারিক কলহ চলছিল। এসময় বাড়ির পাশের রাস্তা দিয়ে আমার মা যাওয়ার পথে রফিকুল চাচার ছেলে রিপন অতর্কিত ভাবে লাঠি দিয়ে তার মাথায় আঘাত করে। এতে মাথায় প্রচণ্ড আঘাত পেয়ে রক্তাক্ত জখম হয়। ওই ঘটনার ১৪ দিন পর মা আজ (সোমবার) মারা যায়। আমার মায়ের হত্যাকারীদের বিচার চাই।
হাতীবান্ধা থানা ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) সাইফুল ইসলাম বলেন, এখন পর্যন্ত ওই ঘটনায় কোন অভিযোগ পাইনি। তবে আরজিনা বেগম নামের এক নারীর লাশ উদ্ধার করে লালমনিরহাট মর্গে পাঠানো হয়েছে। ময়নাতদন্তের প্রতিবেদন এলে তদন্ত করে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।
প্রসঙ্গত, গত ১৬ জুন উপজেলার উত্তর পারুলিয়া এলাকার রফিকুল ইসলামের পরিবারের মধ্যে কলহ হয়। ওই সময় বাড়ির পাশের রাস্তা দিয়ে চাচি আরজিনা বেগম যাওয়া পথে ভাতিজা রিপন মিয়া তার উপর হামলা চালায়। এতে গুরুত্বর আহত আরজিনা বেগমকে প্রথমে হাতীবান্ধা হাসপাতালে ও পরে উন্নত চিকিৎসার জন্য রংপুর মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। সেখানে টানা ১০ দিন চিকিৎসার পর তাকে বাড়িতে নিয়ে আসেন পরিবারের লোকজন। এমতাবস্থায় সোমবার (১ জুলাই) দুপুরে আরজিনা বেগম মারা গেলে বাড়িতে তাল দিয়ে পালিয়ে যান রফিকুল ইসলাম ও তার ছেলে রিপন মিয়া।
সময়ের আলো/আরআই