ফরিদপুরের ভাঙ্গা উপজেলায় পুকুরে গোসল করতে যাওয়া এক কিশোরীকে ধর্ষণের পর সালোয়ার গলায় পেঁচিয়ে শ্বাস রোধ করে হত্যারে ঘটনা ঘটেছে।
শুক্রবার ( ২৮ জুন) দুপুরে উপজেলার পৌর সদরের ৮ নং ওয়ার্ডের বাসিন্দা আব্দুল হাই মাতুব্বরের মেয়ে কিশোরী রেখা আক্তারের (১৪) সঙ্গে এই ঘটনা ঘটে। ঘটনার তদন্তে কাজ করছে ভাঙ্গা থানা পুলিশ ও পুলিশের একাধিক টিম । মরদেহ ময়নাতদন্তের জন্য শনিবার (২৯ জুন) সকালে ফরিদপুর বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে।
এদিকে শনিবার বেলা ১১ টার দিকে কিশোরী রেখা আক্তারের মা মেরিনা আক্তার বাদী হয়ে ধর্ষণ ও হত্যার অভিযোগে অজ্ঞাত আসামি করে ভাঙ্গা থানায় মামলা করেছেন।
শনিবার (২৯ জুন) দুপুর ১২ টার দিকে ফরিদপুরের পুলিশ সুপার মোহাম্মদ মোর্শেদ আলম ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছেন।
এ সময় ফরিদপুরের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার শৈলেন চাকমা, ভাঙ্গা সার্কেলের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার তালাত মাহমুদ শাহানশাহ, ভাঙ্গা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা মোঃ মামুন আল রশিদসহ আইন-শৃঙ্খলা বাহিনীর বিভিন্ন সংস্থার লোক উপস্থিত ছিলেন। ফরিদপুরের পুলিশ সুপার ঘটনাস্থলে আসলে কিশোরীর মা মেরিনা আক্তার ও বাবা আব্দুল হাই মাতুব্বর কান্নায় ভেঙে পড়েন। তারা ন্যায় বিচারের জন্য দাবি করেন।
বাবা আব্দুল হাই মাতুব্বর বলেন, আমার মাকে যারা হত্যা করেছে তাদের বিচার চাই, ফাঁসি চাই । আমার মা নাবার (গোসল) গেছে। তারে ধইরা নিয়ে পাটক্ষেতে মাইরা ফ্যালাইছে।
মা মেরিনা আক্তার বলেন, মেয়ে আমার গোসল করতে যায়। গোসল শেষে ভিজা কাপড় পুকুর পাড়েই পরিবর্তন করে। ভিজা কাপড় পুকুর ঘাটে সেভাবেই পড়ে ছিলো। আমার মেয়েকে খুন যারা করেছে তাদের শাস্তি চাই। এবং সঠিক বিচার চাই।
এলাকাবাসী সূত্রে জানা যায়, বছর খানেক আগে রেখা আক্তার পার্শ্ববর্তী চৌধুরীকান্দা সদরদী গ্রামের সাব্বির মাতুব্বর (১৮) নামক এক ছেলে কর্তৃক ধর্ষণের শিকার হয়। সেই ছেলেটি রেখার পরিবারের আত্মীয় হওয়ার পারিবারিকভাবে বিষয়টি গোপনভাবে মামলা না করে অর্থের বিনিময়ে স্থানীয় সালিশপক্ষ মীমাংসা করে দেয়।
এলাকাবাসীরা আরও বলেন, আগে সঠিক বিচার যদি হতো তাহলে আজ মেয়েটির এমন মৃত্যু হতো না। এর সঙ্গে যারা জড়িত রয়েছে সঠিক তদন্ত সাপেক্ষে তাদের গ্রেফতার করে বিচার করা হোক।
ভাঙ্গা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা মামুন আল রশিদ বলেন, শুনেছি মেয়েটি বছর খানেক আগে ধর্ষণের শিকার হয়েছিল। বিষয়টি ওই সময় থানায় আসেনি। দুই পরিবার স্থানীয়ভাবে মীমাংসা করেছিলো। সেই ছেলেও আমাদের সন্দেহের বাইরে নয় এবং এর সাথে যারা জড়িত রয়েছে চিহ্নিত করে দ্রুত আটক করা হবে।
ফরিদপুরের পুলিশ সুপার মোহাম্মদ মোর্শেদ আলম বলেন, প্রাথমিক তদন্তে বোঝা যায় মেয়েটিকে ধর্ষণ করে সালোয়ার গলায় পেঁচিয়ে শ্বাসরোধ করে হত্যা করা হয়েছে। থানায় মামলা হয়েছে। পুলিশের একাধিক টিম তদন্ত করছে। সন্দেহভাজন কেউ যাতে পালিয়ে যেতে না পারে সেজন্য ডিবি পুলিশ তৎপর রয়েছে। আমরা দ্রুতই অপরাধী শনাক্ত করে গ্রেফতার করতে পারবো বলে আশা করি।
সময়ের আলো/এম
এই ক্যাটেগরির আরো সংবাদ
সংকট সমাধানে আন্তর্জাতিক সম্মেলন জরুরি
দুর্দান্ত প্রত্যাবর্তনেও অস্বস্তিতে রিয়াল
দিয়াবাতেকে ছাড়বে না মোহামেডান
বিসর্জনে অর্জন
মৃত্যুঞ্জয়ী গাজা
হাতিয়ায় জামায়াতে ইসলামীর ব্যবসায়ী সমাবেশ
কালিহাতীতে কোটা আন্দোলনের মামলায় গ্রেফতার ৩
সোলস আমার পরিবারের একটি অংশ: তুষার
ছাত্রদলের নতুন কর্মসূচি ঘোষণা
টস জিতলো ভারত, ব্যাটিংয়ে বাংলাদেশ
চিরনিদ্রায় শায়িত হলেন সাবেক রাষ্ট্রপতি বদরুদ্দোজা চৌধুরী
শেয়ারবাজারে এক সপ্তাহে হাওয়া ১৩ হাজার কোটি টাকা!