প্রকাশ: শনিবার, ২৯ জুন, ২০২৪, ৪:৫৯ পিএম (ভিজিট : ৪৫৮)
বিদ্যুৎ বিল বকেয়া থাকায় কুমিল্লায় সরকারি-বেসরকারি ৯০০টির বেশি প্রতিষ্ঠানের বিদ্যুৎ সংযোগ বিচ্ছিন্ন করেছে কুমিল্লা অঞ্চলের পল্লী বিদ্যুৎ অফিস। গত জুন মাসের ১ তারিখ থেকে শনিবার দুপুর (২৯ জুন) পর্যন্ত বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানের বিদ্যুৎ সংযোগ বিচ্ছিন্ন করেন পল্লী বিদ্যুৎ সমিতির লোকজন।
বিষয়টি নিশ্চিত করেন বাংলাদেশ বিদ্যুৎ উন্নয়ন বোর্ড কুমিল্লা অঞ্চলের প্রধান প্রকৌশলী মো. তোফাজ্জল হোসেন প্রামানিক।
বিদুৎ বিভাগ সূত্রে জানা যায়, ২৪০ কোটি টাকারও বেশি বিদ্যুৎ বিল বকেয়া বৃহত্তর কুমিল্লা ও বৃহত্তর নোয়াখালীর বিভিন্ন পৌরসভা ও সিটি করপোরেশনসহ বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানে। সবচেয়ে বেশি বকেয়ার তালিকায় চাঁদপুর পৌরসভায়। চলতি বছরের জুন মাসে ৯০০টির বেশি বিশেষ অভিযানে ওই সকল প্রতিষ্ঠানের বিভিন্ন স্থাপনায় সংযোগ বিচ্ছিন্ন অভিযান পরিচালনা করছে বাংলাদেশ বিদ্যুৎ উন্নয়ন বোর্ড কুমিল্লা অঞ্চল।
৬২ লাখ টাকার বিদ্যুৎ বিল বকেয়া থাকার অভিযোগে কুমিল্লার লাকসাম পৌরসভার বেশকিছু স্থাপনায় বিদ্যুৎ সংযোগ বিচ্ছিন্ন করেছে বিদ্যুৎ বিভাগ। এছাড়া চাঁদপুর পৌরসভায় ২০ কোটি, লক্ষ্মীপুর পৌরসভায় ৪ কোটি, ফেনী পৌরসভায় ৩ কোটি, নোয়াখালী পৌরসভায় ১ কোটি ও কুমিল্লা সিটি করপোরেশনে ৯ কোটি টাকা।
লাকসাম এলাকার সবজির আড়ৎদার ফয়সাল মিয়া বলেন, আমরা প্রতি মাসের বিদ্যুৎ বিল খাজনা সবই পরিশোধ করি। কিন্তু কর্তৃপক্ষ সেগুলো বিদ্যুৎ অফিসে দেয় না। এটা কি আমাদের দোষ। আমরা আজকে সারাদিন বিদ্যুৎ পাইনি। এই গরমে আমাদের যেন দম বন্ধ হওয়ার অবস্থা হয়ে গিয়েছে।
আরেক ব্যবসায়ী কবির হোসেন বলেন, একদিকে তীব্র গরম, অন্যদিকে বিদ্যুৎ নেই। আমরা যেন অতিষ্ট হয়ে পড়েছিলাম। কর্তৃপক্ষের টনক নড়বে কবে। তারা তো এসির হাওয়া খায়, আর এদিকে আমাদের দম বন্ধ হয়ে যায়। আমরা দ্রুত এই সমস্যা সমাধান চাই।
লাকসাম পৌরসভা মেয়র আবুল খায়ের বলেন, আমরা ইতিমধ্যেই বিদ্যুৎ বিল পরিষদের কার্যক্রম শুরু করেছি। বিদ্যুৎ বিল পরিষদে আমাদের কোনো অনাগ্রহ নেই। অনাগ্রহ থাকলে আমরা আমরা এ কাজটি করতাম না। এই জুন মাসে আমরা প্রায় ২৫ লক্ষ টাকা পরিশোধ করেছি। দুই পক্ষের আলোচনার মাধ্যমে অতি শীঘ্রই আমরা এগুলো পরিশোধ করার ব্যবস্থা করব।
বাংলাদেশ বিদ্যুৎ উন্নয়ন বোর্ড কুমিল্লা অঞ্চলের প্রধান প্রকৌশলী মো. তোফাজ্জল হোসেন প্রামানিক বলেন, আমরা প্রিপেইড মিটারের কার্যক্রম শুরু করেছি। এতে করে গ্রাহকের আর কোন বকেয়া থাকবে না। কুমিল্লাতে প্রায় ৬৫ ভাগ মিটারই প্রিপেইড হয়েছে। বাকিগুলো শীঘ্রই প্রিপেইডের আওতায় চলে আসবে। এতে ভুল বিল, অতিরিক্ত বিল বা ভৌতিক বিলের আর কোনো সম্ভাবনা থাকবে না।
সময়ের আলো/জিকে