প্রকাশ: বৃহস্পতিবার, ২৭ জুন, ২০২৪, ৪:৫৬ এএম (ভিজিট : ৩৬৮)
হবিগঞ্জে সদর উপজেলা মডেল মসজিদ উদ্বোধনের ৮ মাস পরেও এখনও মসজিদের নির্মাণ কাজ শেষ হয়নি। দুই দফা সময় বাড়ানোর পরও ৩ বছরে এখনও বাকি রয়েছে প্রায় ২০ শতাংশ কাজ। চলতি মাসে কাজের মেয়াদ শেষ হয়ে যাবে বলে জানিয়েছে গণপূর্ত বিভাগ। অথচ এরই মধ্যে মসজিদের সিঁড়ি এবং অন্যান্য জায়গার টাইলসে ফাটল দেখা দিয়েছে। এ নিয়ে এলাকার সাধারণ মানুষের মাঝে মিশ্রপ্রতিক্রিয়া দেখা দিয়েছে, ফাটলের কারণে প্রশ্ন উঠেছে কাজের মান নিয়েও।
অপরদিকে গণপূর্ত বিভাগ বলছে, মসজিদের কাজের মান আমরা নিয়মিত তদারকি করছি। যদি কোনো ত্রুটি-বিচ্যুতি থাকে তা হলে সেটা মেরামত করা হবে। সবকিছু শেষ করে এক সপ্তাহের মধ্যে মসজিদটি ইসলামিক ফাউন্ডেশনের কাছে হস্তান্তর করা হবে বলে জানায় গণপূর্ত বিভাগ। আর ইসলামিক ফাউন্ডেশন বলছে, এখনও মসজিদের অনেক কাজ বাকি রয়েছে। কাজ পরিপূর্ণ ও ত্রুটিমুক্ত না হলে আমরা গ্রহণ করব না।
২০২৩ সালের ৩০ অক্টোবর প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা হবিগঞ্জ সদর উপজেলার গোপায়া ইউনিয়নের ভাদৈ এলাকায় প্রায় ১৫ কোটি ব্যয়ে নির্মিত মডেল মসজিদটির উদ্বোধন করেন। উদ্বোধনের ৮ মাস পার হলেও এখনও নির্মাণ কাজ শেষ হয়নি। মসজিদের বিভিন্ন অংশে টাইলস বসানো থেকে শুরু করে দরজা লাগানো, দেয়াল প্লাস্টার, রং করা, বিদ্যুৎ ও পানি সরবরাহসহ ইত্যাদি কাজ বাকি রয়েছে।
মঙ্গলবার দুপুরে সরেজমিন দেখা যায়, কয়েকজন লোক মসজিদের টিউবওয়েল স্থাপনের কাজ করছেন। মসজিদের নিচ তলার ভেতরে সারি সারি টাইলস রাখা। বেশ কয়েকটি দেয়ালে এখনও প্লাস্টার করা, দরজা-জানালা, রং করা, বিদ্যুৎ ও টাইলসের কাজ বাকি রয়েছে। কিন্তু কোনো কাঠ বা রাজমিস্ত্রিকে পাওয়া যায়নি। টিউবওয়েল মিস্ত্রিরা জানান, তারা এক সপ্তাহের মধ্যে টিউবওয়েল স্থাপনের কাজ শেষ করে চলে যাবেন। রাজমিস্ত্রি ও কাঠমিস্ত্রির বিষয়ে তারা কিছুই জানেন না।
এদিকে মসজিদের সামনের সিঁড়ি ও সামনের ফ্লোরের বেশ কিছু টাইলসে ফাটল দেখা দিয়েছে। এসব ফাটলে সিমেন্টের প্রলেপ দিয়ে মেরামতের চেষ্টা করা হয়েছে। মেইন ফটক থেকে শুরু করে বেশ কিছু দরজা এখনও লাগানো হয়নি। এ ছাড়া মসজিদে বিদ্যুতের কাজ বাকি রয়েছে।
স্থানীয়রা বলছেন-যেভাবে কচ্ছপগতিতে কাজ চলছে তাতে মনে হয় আরও ৬ মাস সময় লাগতে পারে। অপরদিকে দ্বিতীয় দফায় কাজের মেয়াদ শেষ হবে চলতি মাসের ৩০ জুন। অপরদিকে কাজের বিবরণ ও ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠানের সাইনবোর্ড টানিয়ে রাখার কথা থাকলেও কোথাও কোনো সাইনবোর্ডের অস্তিত্ব পাওয়া যায়নি।
গোপায়া ইউনিয়নের বহুলা এলাকার কামাল মিয়া জানান, এত সুন্দর দৃষ্টিনন্দন একটা মসজিদ আমাদেরকে প্রধানমন্ত্রী দিয়েছেন, এতদিন হয়ে গেল আজো এক ওয়াক্ত নামাজ পড়তে পারলাম না। এখনও দরজা-জানালা সেটআপ করা হয়নি, অনেক কাজ বাকি রয়েছে।
সময়ের আলো/আরএস/