ই-পেপার সোমবার ৭ অক্টোবর ২০২৪
সোমবার ৭ অক্টোবর ২০২৪

পুঠিয়ায় কাউন্সিলরের বিরুদ্ধে চাঁদাবাজির ও মারধরের অভিযোগ
প্রকাশ: বুধবার, ২৬ জুন, ২০২৪, ৭:০২ পিএম  (ভিজিট : ৬৫৪)
ওয়ার্ড কাউন্সিলর জয়নাল আবেদীন। ছবি: সংগৃহীত

ওয়ার্ড কাউন্সিলর জয়নাল আবেদীন। ছবি: সংগৃহীত

রাজশাহী পুঠিয়ায় পৌরসভার ৮ নং ওয়ার্ড কাউন্সিলর মো. জয়নাল আবেদীন (৪৫) বিরুদ্ধে ৩ লাখ টাকা চাঁদাবাজির দাবি ও মারধরের  অভিযোগ উঠেছে। 

ভুক্তভোগী ব্যবসায়ী আব্দুল আল মামুন বলেন, আমি পুঠিয়া পৌরসভা এলাকার ৮ নং ওয়ার্ডের পুঠিয়া পশু হাসপাতালের সামনে জমি কিনে ভবন নির্মাণের জন্য অনুমোদন চেয়ে আবেদন করলে পুঠিয়া পৌরসভার অফিসের ইঞ্জিনিয়ার সহিদুল ইসলাম আমার ভবন নির্মাণ করার অনুমোদন দেন। কিন্তু ৮ নং ওয়ার্ডের কাউন্সিলর জয়নাল আবেদীন আমার ভবন নির্মাণ কাজে অনুমোদন দিলেও ৮ নং ওয়ার্ডের কাউন্সিলর জয়নাল আবেদীন আমার থেকে ৩ লক্ষ টাকা দাবি করে। সাথে আমার বাড়ি তৈরি অনুমোদন পত্রে স্বাক্ষর করতে রাজি হননি। পরে মহিলা সংরক্ষিত কাউন্সিলর রজুফা বেগম আমার অনুমতি ফাইলে স্বাক্ষর করেন। 

তিনি আরও বলেন, গত মঙ্গলবার (২৫ জুন) আমি বাড়ি তৈরি জন্য ইট ও রড কিনে বাড়ির কাজ শুরু করা মাত্রই ৮ নং ওয়ার্ড কাউন্সিলর জয়নাল আবেদীন কিছু ছেলেদের সঙ্গে নিয়ে এসে আমার থেকে চাঁদা দাবি করে। আমি চাঁদা দিতে অস্বীকার করলে সবাই সামনে মারধর করে এবং অকথ্য ভাষায় গালাগালি করে। সে আরও বলে আমার ওয়ার্ডে কোন কিছু করতে হলে আমার অনুমতি নেওয়া লাগবে। 

ভুক্তভোগীর বড় ভাই সুমন হোসেন বলেন, আমরা পৌরসভাকে ভ্যাট কর যত ধরনের ট্যাক্স লাগে সব কিছু পরিশোধ করে বাড়ি তৈরির অনুমতি নিয়ে বাড়ির কাজ শুরু করলাম কিন্তু ৮ নম্বর ওয়ার্ড কাউন্সিলর এসে আমার ভাইকে এভাবে মারধর করে এবং অকাট্য ভাষায় গালাগালি করে। এবং সে আরও বলে তোকে মেরে ফেলে দিলে সর্বোচ্চ দুই বছরের জেল হবে আমার তাতে কি হয়েছে বলে হুমকি দেয়।

৮ নং ওয়ার্ডের কাউন্সিলার জয়নাল আবেদীন জানান, আমি তাদের থেকে কোন চাঁদা দাবি করিনি। আমি শুধু বলেছি রাস্তার ধারে আপনার নষ্টের রেখে দিয়েন যাতে করে রাস্তাগুলো নষ্ট না হয়। তা না হলে রাস্তার দুই পাশে দেওয়া নাই ভেঙ্গে যেতে পারে। সেজন্য আমি এর প্রতিবাদ করায় তারা আমার নামে এমন মিথ্যা একটি অভিযোগ দিয়েছে। 

পুঠিয়া পৌরসভা মেয়র আল মামুন খান জানান, বিল্ডিং বাড়ি করার জন্য আমাদের থেকে অনুমতি চেয়েছিল আমরা সকল বিষয় বিবেচনা করে বাড়ি করা অনুমোদন দিয়ে দিয়েছি। আমাদের পৌরসভার দিক থেকে কোন বাধা নেই। যদি কোন কমিশনার চাঁদা দাবি করে এটা তার একান্ত ব্যক্তিগত ব্যাপার। এ দায় কোন সময় পৌরসভার গ্রহণ করবে না।

উক্ত অভিযোগের তদন্তকারী কর্মকর্তা পরিদর্শক রফিকুল ইসলাম জানান, ঘটনা সত্যতা পাওয়া গেছে। তদন্তে যা পাওয়া গেছে সে মোতাবেক ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।  

পুঠিয়া থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) সাইদুর রহমান জানান, ভুক্তভোগীর ভাই সুমন থানায় হাজির হয়ে একটি লিখিত অভিযোগ করেছে। ঘটনাটির তদন্ত চলছে, তদন্ত সাপেক্ষে আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।  

সময়ের আলো/আরআই


আরও সংবাদ   বিষয়:  চাঁদাবাজি-মারধর   পুঠিয়ায় পৌরসভা-রাজশাহী বিভাগ  




https://www.shomoyeralo.com/ad/1698385080Google-News-Update.jpg

সর্বশেষ সংবাদ

সর্বাধিক পঠিত


ভারপ্রাপ্ত সম্পাদক: সৈয়দ শাহনেওয়াজ করিম, আমিন মোহাম্মদ মিডিয়া কমিউনিকেশন লিমিটেড এর পক্ষে প্রকাশক গাজী আহমেদ উল্লাহ
নাসির ট্রেড সেন্টার, ৮৯, বীর উত্তম সি আর দত্ত সড়ক (সোনারগাঁও রোড), বাংলামোটর, ঢাকা।

ফোন : +৮৮-০২-৯৬৩২৩৬৮-৭৪, ফ্যাক্স : +৮৮-০২-৯৬৩২৩৭৫ | ই-মেইল : shomoyeralo@gmail.com
close