ই-পেপার সোমবার ৭ অক্টোবর ২০২৪
সোমবার ৭ অক্টোবর ২০২৪

সৈয়দপুর পৌরসভায় টাকা ছাড়া মেলেনা সেবা
অনলাইন জন্ম নিবন্ধনে অনিয়ম
প্রকাশ: মঙ্গলবার, ২৫ জুন, ২০২৪, ৯:৩৫ পিএম  (ভিজিট : ৪০৮)
তিন মাস আগে আবেদন হাতে ভুক্তভোগী এক শিক্ষার্থী

তিন মাস আগে আবেদন হাতে ভুক্তভোগী এক শিক্ষার্থী

সৈয়দপুর পৌরসভায় টাকা ছাড়া মিলছে না অনলাইন জন্ম নিবন্ধন সনদ। সেবা পেতে পদে পদে হয়রানির শিকার হলেও দেখার কেউ নেই। অনলাইন জন্মনিবন্ধন নীতিমালা অনুযায়ী এক থেকে ৪৫ দিন বয়সী শিশুর জন্ম নিবন্ধনে কোন ফি নেওয়ার বিধান নেই। এছাড়াও নতুন জন্ম নিবন্ধনের ক্ষেত্রে ৫০ টাকা, নাম ও বয়স সংশোধনে ১০০ টাকা ফি নির্ধারণ করা হয়েছে। আর শিশুদের জন্য টিকা কার্ড ও বড়দের ক্ষেত্রে জাতীয় পরিচয় পত্র কিংবা সার্টিফিকেটের কপির বয়স প্রজোয্য হবে। 

তবে নীতিমালা মানেনা সৈয়দপুর পৌরসভার জন্ম নিবন্ধন শাখার কর্মীরা। তাদের অসহযোগিতার কারণে ও জটিল জন্ম নিবন্ধন প্রক্রিয়ার ফলে নবজাতকদের অভিভাবকরা জন্মনিবন্ধে আগ্রহ হারাচ্ছেন। তাই দেড় লক্ষাধিক মানুষের এ শহরে শতকরা ৫ ভাগ শিশুও নিবন্ধনের আওতায় আসেনি। ডিজিটাল নতুন জন্ম নিবন্ধনের আবেদনের পর সেবা গ্রহীতাকে সনদ প্রাপ্তির সময় দেওয়া হয়। পরে জানানো হয় ফাইলটি হারিয়ে গেছে। নতুন আবেদন করতে হবে। সে ক্ষেত্রে পুনরায় টাকা দিতে হয়। 
এভাবে হয়রানির পর দিন, মাস, বছর পেরিয়ে গেলেও মিলছে না অনলাইন জন্ম নিবন্ধন সনদ নামক ‘সোনার হরিন’।

মোছা. বাবলী নামে দশম শ্রেণীর এক ভুক্তভোগী শিক্ষার্থী জানান, ২০২১ সালে ডিজিটাল জন্ম নিবন্ধনের জন্য আবেদন করেছি। এটি ওই বছরের ২৯ ডিসেম্বর দেওয়া হবে টোকেনে উল্লেখ করা হয়। তবে আজও পাইনি। এখন তারা বলছে ডাটা এন্ট্রির সময় তথ্য ভুলের কারণে দেরি হবে। 

উম্মে হাবিবা নামে আর এক শিক্ষার্থী জানান, এক বছর আগে ডিজিটাল জন্ম নিবন্ধন পেতে অনলাইনে আবেদন করি। এক বছর ধরে ঘোরাঘুরির পর বলছে, আবেদনে ভুল ছিল।

আশরাফুল হক নামে শহরের ১০নং ওয়ার্ডের এক বাসিন্দা জানান, বয়স পরিবর্তনের জন্য সকল কাগজ পত্র জমা দিয়েছি। ওই অফিসের কর্মরতরা তিন মাস পর জানায়, এখানে হবে না। জেলা অফিসে যান। যেতে না পারলে দুই হাজার টাকা দিলেই ঘরে বসে পাবেন ডিজিটাল বয়স সংশোধনী জন্ম নিবন্ধন।

একই অবস্থা বিরাজ করছে ডিজিটাল মৃত্যু সনদ প্রাপ্তির ক্ষেত্রেও। লাবনি আক্তার নামে এক গৃহবধু জানান, আমার স্বামী চলতি বছরের ৬ জুন মৃত্যুবরণ করেছেন। সরকারি চাকুরীজীবি হওয়ায় তার পেনশন গ্রচুয়েটি প্রাপ্তীর জন্য মৃত্যু সনদটি খুবই দরকার। এই সনদের জন্য আবেদন করে ১০ দিন পরেও মিলছে না। তারা বলছে আবেদনে ভুল। অথচ আবেদনটি তারাই লিখেছেন। এখানে টাকা দিলে সবই সহজ। না দিলেই নিয়মের বেড়াজালে আটকে দেওয়া হয় ডিজিটাল জন্ম নিবন্ধন সনদ। সংশোধনকারীদের বয়স প্রমাণে চিকিৎসকের প্রত্যায়ন পত্র, হোল্ডিংয়ের কাগজ, কাউন্সিলরের প্রত্যায়ন, মেয়র বা নিবন্ধকের প্রত্যায়ন, থানার জিডি কপিসহ নানান কাগজ পত্র চাওয়া হয়। এতে সেবা গ্রহীতারা জিম্মি দশায় অতিষ্ট হলেও দেখার কেউ নেই।

নাম না প্রকাশ করার শর্তে ওই পৌরসভার এক কর্মচারি বলেন, ওই শাখার ইনচার্জ নিয়োগ আছেন বাজার শাখায়। অথচ তিনি ইপিআই, স্যানিটারি ও তথ্য শাখা দেখাশোনা করেন।

জন্ম নিবন্ধন শাখার ইনচার্য আকমল সরকার রাজু বলেন, এ শাখায় এমন ঘটনা কখনই ঘটেনা।

সৈয়দপুর পৌরসভার প্যানেল মেয়র-১ শাহিন হোসেন বলেন, কোন সেবা গ্রহীতাকে হয়রানি বা আর্থিক লেনদেনের প্রমাণ পাওয়া গেলে অবশ্যই তদন্ত সাপেক্ষে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।

সময়ের আলো/জিকে




https://www.shomoyeralo.com/ad/1698385080Google-News-Update.jpg

সর্বশেষ সংবাদ

সর্বাধিক পঠিত


ভারপ্রাপ্ত সম্পাদক: সৈয়দ শাহনেওয়াজ করিম, আমিন মোহাম্মদ মিডিয়া কমিউনিকেশন লিমিটেড এর পক্ষে প্রকাশক গাজী আহমেদ উল্লাহ
নাসির ট্রেড সেন্টার, ৮৯, বীর উত্তম সি আর দত্ত সড়ক (সোনারগাঁও রোড), বাংলামোটর, ঢাকা।

ফোন : +৮৮-০২-৯৬৩২৩৬৮-৭৪, ফ্যাক্স : +৮৮-০২-৯৬৩২৩৭৫ | ই-মেইল : shomoyeralo@gmail.com
close