দৈনিক সময়ের আলোতে সংবাদ প্রকাশের পর চট্টগ্রামের সাতকানিয়া উপজেলা তথ্য বাতায়ন ওয়েবসাইটে তথ্য হালনাগাদ করা হয়েছে।
মঙ্গলবার (২৫ জুন) সকালে উপজেলা তথ্য বাতায়ন ওয়েবসাইটে প্রবেশ করে দেখা যায়, সাতকানিয়া থানার বর্তমান ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) প্রিটন সরকারের নাম, ছবি ও ফোন নম্বর হালনাগাদ করা হয়েছে। কিন্ত সংবাদ প্রকাশের আগে সাতকানিয়া উপজেলা তথ্য বাতায়নে পূর্ববর্তী দুই ওসির আগের ওসি আব্দুল জলিলের নাম অন্তর্ভুক্ত ছিল। আর ছবি ছিল তারও আগের ওসি আনোয়ার হোসেনের। অথচ তারা বদলি হয়েছেন অনেক আগেই।
একই সাথে উপজেলা প্রকৌশলী, নির্বাচন কর্মকর্তা, মাধ্যমিক শিক্ষা কর্মকর্তা, আনসার ও ভিডিপি কর্মকর্তাসহ সাতকানিয়ায় বর্তমানে কর্মরত সকল দফতরের কর্মকর্তাদের তথ্য হালনাগাদ করা হয়েছে। যদিও সংবাদ প্রকাশের আগে বেশিরভাগ দফতরে বর্তমানে কর্মরত কর্মকর্তাদের তথ্য ছিল না।
এর আগে সোমবার (২৪ জুন) দৈনিক সময়ের আলোর অনলাইনে ‘সরকারি ওয়েবসাইটে নেই সাতকানিয়ার হালনাগাদ তথ্য’ শিরোনামে সংবাদ প্রকাশের পর বিষয়টি প্রশাসনের নজরে এলে ওয়েবসাইটে তথ্য হালনাগাদ কার্যক্রম শুরু করা হয়।
এ বিষয়ে জানতে চাইলে সাতকানিয়া উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) মিল্টন বিশ্বাস বলেন, ‘সময়ের আলোর সংবাদটি পাওয়ার পর দ্রুত তথ্য বাতায়ন আপডেট করতে পদক্ষেপ গ্রহণ করি। কম সময়ের মধ্যে উপজেলার সকল দফতরের কর্মকর্তাদের তথ্য হালনাগাদ করা হয়েছে। এছাড়া নিয়মিত তথ্য হালনাগাদ করার জন্য সংশ্লিষ্টদের তাগিদ দেয়া হয়েছে।’
উল্লেখ্য, জনগণের তথ্য প্রাপ্তির অধিকার নিশ্চিতকরণ ও সরকারি দফতর থেকে প্রদেয় সেবাসমূহ প্রাপ্তির নিশ্চয়তার লক্ষ্যে সরকারের অ্যাকসেস টু ইনফরমেশন (এটুআই) প্রোগ্রামের আওতায় প্রতিষ্ঠিত হয় জাতীয় তথ্য বাতায়ন। এতে জেলা, উপজেলা
থেকে ইউনিয়ন পর্যায়ে আলাদা আলাদা ক্যাটাগরি তৈরি করা হয়েছে। যেখান থেকে নানা তথ্য সুবিধা ভোগ করেন মানুষ।
জাতীয় তথ্য বাতায়নের অধীনে সচল আছে সাতকানিয়া উপজেলা তথ্য বাতায়ন ওয়েব পোর্টাল। একটি পৌরসভা, ১৭টি ইউনিয়ন ও বিভিন্ন শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানসহ উপজেলার দফতরগুলোতে রয়েছে নানা ক্যাটাগরি।
সাতকানিয়া উপজেলা তথ্য বাতায়নের ত্রুটিপূর্ণ তথ্য নিয়ে এতদিন ‘তথ্য বিভ্রাটে’ ছিলেন উপকারভোগী বিভিন্ন শ্রেণি-পেশার মানুষ। এসব কারণে ডিজিটাল বাংলাদেশের সুফল সঠিকভাবে মিলছিল না বলে মনে করেন তারা। তবে এখন তথ্য হালনাগাদ হওয়ায় দ্রুততম সময়ে সঠিক তথ্য পাওয়া যাবে বলে মনে করেন তারা।
স্মার্ট ভিলেজের সাইফুল ইসলাম বলেন, ‘এতদিন তথ্যগুলো হালনাগাদ না থাকার কারণে বিভিন্ন সময়ে যে তথ্য প্রয়োজন হতো সেগুলো সংগ্রহ করতে গিয়ে বিভ্রান্তিতে পড়ি। এখন তথ্য হালনাগাদ হওয়ায় সঠিক তথ্যটি পাব।’
সংবাদকর্মী মো. ইকবাল হোসেন বলেন, তথ্য হালনাগাদ না থাকায় সংবাদকর্মীরা যেমন তথ্য থেকে বঞ্চিত হয়েছেন, তেমনি সাধারণ মানুষও আশানুরূপ সেবা পাননি। তথ্য হালনাগাদ হওয়ায় সকল শ্রেণি-পেশার মানুষ সঠিক তথ্যটি পাওয়ার মাধ্যমে ডিজিটাল সেবা ভোগ করতে পারবে।
সময়ের আলো/জেডআই