ই-পেপার সোমবার ৭ অক্টোবর ২০২৪
সোমবার ৭ অক্টোবর ২০২৪

চুরির আতঙ্কে পৌরবাসীর ঘুম হারাম
প্রকাশ: সোমবার, ২৪ জুন, ২০২৪, ৬:১১ পিএম  (ভিজিট : ৪৭০)
হোসেনপুর পৌরবাসী চোর আতঙ্কে ঘুম হারাম। রোববার (২৩ জুন) রাতে এক প্রবাসীর বাসার তালা কেটে দুর্ধর্ষ চুরির ঘটনার অভিযোগ পাওয়া গিয়াছে। তার স্ত্রী সন্তান নিয়ে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের পিছনে পৌর এলাকার ৫নং ওয়ার্ডের প্রফেসার ফেরদৌস আলমের বাসায় ভাড়া থাকেন। প্রবাসী হানিফ মিয়া দুবাই থাকেন। 

প্রবাসীর স্ত্রী আশা আক্তার জানান, ঈদুল আজহার ছুটিতে বাবার বাড়িতে বেড়াতে যান তিনি। বাড়ি থেকে একই ইউনিটের আরেক ভাড়াটিয়ার মুঠোফোনের মাধ্যমে জানতে পারেন তাদের বাসায় চুরি হয়েছে। এমন খবর পেয়ে আজ (সোমবার) সকালে ছুটে আসেন। 

পরে এ ঘটনা পুলিশকে জানানো হলে হোসেনপুর থানার এসআই সুশান্ত সরকার চুরির ঘটনায় পরিদর্শনে আসেন। তিনি জানান, বাসায় সিসি ক্যামেরাকে ফাঁকি দিতে চোরেরা একতলা বাসার পিছন দিকের আম গাছ বেয়ে বাসার ছাদে উঠেন। ছাদের দরজা খুলে কেঁচি গেইটের ভিতরে থাকা এ প্রবাসীর বাসার তালা কেটে ভিতরে ঢুকে তছনছ করে। এ বাসার পাশের ইউনিটের লোকজন যাতে বাসা থেকে বের হতে না পারেন; সেজন্য তাদের বাসার সিটকারি বাহির দিয়ে আটকিয়ে দেন। আজ (সোমবার) সকালে ভিতরের লোকজন ঘুম থেকে উঠে দরজা খোলার চেষ্টা করে দরজা খোলতে না পেরে আশপাশের লোকজনের সাহায্যে নিয়ে বের হয়ে পাশের বাসার তালা কাটা দেখতে পান। পরে বুঝতে পারেন চোরেরা রাতে এমন কাণ্ড করেছেন।

এমন ঘটনায় পৌরবাসীদের মধ্যে চোর আতঙ্ক আরও বেড়ে গেছে। পৌরবাসীর একাধিক বাসিন্দা ও ভুক্তভোগীদের সাথে কথা বলে জানা যায়, ঈদের ছুটিতে অথবা অন্য কোন কারণে বাসা-বাড়ি তালাবদ্ধ করে কোথাও বেড়ানোর উদ্দেশ্যে গেলে চুরি হওয়ার ঘটনা এখন অহরহ ঘটছে। গত ১৩ মে ২ ঘণ্টার ব্যবধানে দিন-দুপুরেই ৩ স্থানে চুরি হয়েছে। চোর আতঙ্কে চিন্তায় রয়েছে বিশেষ করে প্রবাসী, ব্যবসায়ী ও চাকরিজীবী। তাদের বাসা-বাড়িকে চোরেরা টার্গেট করে সেগুলো রেকি করে বেড়ায়। আর সুযোগ বুঝেই চোরেরা চুরি করে নগদ টাকা, স্বর্ণালংকার নিয়ে গেলেও ভুক্তভোগীরা পুলিশকে জানালেও কোন প্রতিকার পায় না। 

চুরির বিষয়ে অনেকেই থানায় অভিযোগ লিখিত অভিযোগ দায়ের করেও কোন প্রতিকার না পাওয়ার অভিযোগ রয়েছে। চুরি হওয়ার এমন ঘটনায় প্রতিকার না পাওয়ায় অনেকেই এখন আর থানা পুলিশের কাছে যেতে আগ্রহ হারিয়ে ফেলছে। যে জন্য চুরির পরিমাণ এখন দিন দিন বেড়েই চলছে। চুরি হওয়ার শিকার অনেকের সাথে কথা বললে তারা পুলিশের ভূমিকাকে দায়ী করেন। 

গত কয়েকদিনে চুরি হওয়া ভুক্তভোগীদের মধ্যে রয়েছে পৌর এলাকার ৮নং ওয়ার্ডের সৌদি প্রবাসী ফয়জুল ইসলামের এক বাসা থেকেই ৩ বার চুরি হওয়ার ঘটনা ঘটেছে। যার পাশেই এক বাসার পরই ভাড়া বাসায় বসবাস করেন হোসেনপুর থানার ওসি তদন্ত মোহাম্মদ টুটুল উদ্দিন। 
প্রবাসী ফয়জুল ইসলামের স্ত্রী জানান, তার বাসা থেকে এর আগে জানালা খোলে ভেনেটি ব্যাগে রক্ষিত মেয়ের স্বর্ণের গয়না নিয়ে যায়। এরপর আবারও গত ১৩ মে সকাল ৯টায় তারই ভাড়াটিয়া ব্যবসায়ী সোহাগ মিয়ার বাসার তালা কেটে নগদ ১ লাখ ৩৭ হাজার টাকা ও এক ভরি ওজনের স্বর্ণালংকার নিয়ে যায়, ওই দিন একই সময়ে উপজেলা পরিষদের পিছনের জীবন মিয়া ও আকরাম হোসেনের বাসা থেকে একই কায়দায় তালা কেটে নগদ টাকা ও স্বর্ণালংকার চুরি হয়। এছাড়াও আরও কয়েকটি চুরি হওয়ার তথ্য রয়েছে। যেগুলোর অভিযোগ থানায় দেওয়া হলেও কোন প্রতিকার বা চুরির রহস্য উদঘাটন হয়নি।

হোসেনপুর থানার ওসি তদন্ত মোহাম্মদ টুটুল উদ্দিন জানান, আমরা এ বিষয়টি নিয়ে কাজ করছি। আশা করছি খুব শীঘ্রই চুরির ঘটনাগুলো উদঘাটনে সক্ষম হবো।

সময়ের আলো/আরআই


আরও সংবাদ   বিষয়:  চুরির আতঙ্ক   টাকা-স্বর্ণালংকার লুট   হোসেনপুর-কিশোরগঞ্জ  




https://www.shomoyeralo.com/ad/1698385080Google-News-Update.jpg

সর্বশেষ সংবাদ

সর্বাধিক পঠিত


ভারপ্রাপ্ত সম্পাদক: সৈয়দ শাহনেওয়াজ করিম, আমিন মোহাম্মদ মিডিয়া কমিউনিকেশন লিমিটেড এর পক্ষে প্রকাশক গাজী আহমেদ উল্লাহ
নাসির ট্রেড সেন্টার, ৮৯, বীর উত্তম সি আর দত্ত সড়ক (সোনারগাঁও রোড), বাংলামোটর, ঢাকা।

ফোন : +৮৮-০২-৯৬৩২৩৬৮-৭৪, ফ্যাক্স : +৮৮-০২-৯৬৩২৩৭৫ | ই-মেইল : shomoyeralo@gmail.com
close