ই-পেপার সোমবার ৭ অক্টোবর ২০২৪
সোমবার ৭ অক্টোবর ২০২৪

তিস্তা-ব্রহ্মপুত্রর পানি কমেছে, বাড়ছে করতোয়া ও ঘাঘটে
প্রকাশ: শনিবার, ২২ জুন, ২০২৪, ৮:০৪ পিএম  (ভিজিট : ৪৮০)
গাইবান্ধার সুন্দরগঞ্জ উপজেলায় তিস্তার পানি ও ফুলছড়িতে ব্রহ্মপুত্র নদের পানি কমেছে। অন্যদিকে গোবিন্দগঞ্জ উপজেলায় করতোয়া নদীর পানি এবং শহরের পাশে ঘাঘট নদের পানি বাড়ছে। তবে তিস্তা এখনও বিপৎসীমার ৩ সেন্টিমিটার উপর দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে। শুক্রবার (২১ জুন) বিকেল ৩টা থেকে শনিবার (২২ জুন) বিকেল ৩টা পর্যন্ত এই পরিস্থিতি দেখা গেছে। 

তিস্তা ও ব্রহ্মপুত্র নদের পানি কমতে শুরু করায় নদী তীরবর্তী সুন্দরগঞ্জ, গাইবান্ধা সদর, ফুলছড়ি ও সাঘাটা উপজেলার চরের নিম্নাঞ্চল থেকে পানি নামতে শুরু করেছে।

গাইবান্ধা পানি উন্নয়ন বোর্ডের (পাউবো) তথ্য অনুযায়ী, গত ২৪ ঘণ্টায় তিস্তার পানি সুন্দরগঞ্জ উপজেলা সংলগ্ন কাউনিয়া পয়েন্টে ৫২ সেন্টিমিটার হ্রাস পেয়ে বিপদসীমার ৩ সেন্টিমিটার উপর দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে এবং ব্রহ্মপুত্র নদের পানি ফুলছড়ি উপজেলার তিস্তামুখঘাট পয়েন্টে ৭ সেন্টিমিটার হ্রাস পেয়ে বিপৎসীমার ৮৩ সেন্টিমিটার নিচ দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে। অপরদিকে করতোয়ার পানি গোবিন্দগঞ্জ উপজেলার চকরহিমাপুর পয়েন্টে ৩৩ সেন্টিমিটার বেড়ে বিপৎসীমার ১৪৩ সেন্টিমিটার নীচ দিয়ে এবং ঘাঘট নদের পানি জেলা শহরের নতুন ব্রিজ পয়েন্টে ৫ সেন্টিমিটার বেড়ে বিপৎসীমার ১২৪ সেন্টিমিটার নীচ দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে।

এদিকে চরাঞ্চলের নিচু এলাকা, আবাদি জমি ও রাস্তাঘাট জাগতে শুরু করেছে। তবে পানি কমার সঙ্গে সঙ্গে তিস্তা ও ব্রহ্মপুত্র নদ তীরবর্তী এলাকা সদরের মোল্লারচর, সুন্দরগঞ্জের হরিপুর, কাপাশিয়া, চন্ডিপুর, তারাপুর ইউনিয়ন ও ফুলছড়ির ফজলুপুর ইউনিয়নের বিভিন্ন স্থানে নদী ভাঙন দেখা দিয়েছে।

পাউবোর নির্বাহী প্রকৌশলী মো. হাফিজুল হক বলেন, উজান থেকে নেমে আসা ঢলে করতোয়া ও ঘাঘটের পানি বৃদ্ধি অব্যাহত আছে। তিস্তা ও ব্রহ্মপুত্র নদের পানি কমেছে। আমরা সার্বিক পরিস্থিতির ওপর নজর রাখছি।

গাইবান্ধা সদর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) মাহমুদ আল হাসান বলেন, জেলা ও উপজেলায় দুর্যোগকালীন সভা করে বন্যা পরিস্থিতি মোকাবেলায় প্রাথমিক সব প্রস্তুতি নেওয়া হয়েছে। সদরে নদী বেষ্টিত যে চারটি ইউনিয়ন রয়েছে, সেসব ইউনিয়নের নদী তীরবর্তী গ্রামগুলো সার্বক্ষণিক নজরদারিতে রাখার জন্য সংশ্লিষ্ট ইউপি চেয়ারম্যান ও ইউপি সদস্যদের নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। এছাড়া এসব এলাকায় শুকনা খাবার বিতরণের জন্য প্রস্তুতি নেওয়া হচ্ছে।

গাইবান্ধার জেলা প্রশাসক ও জেলা ম্যাজিস্ট্রেট কাজী নাহিদ রসুল জানান, সম্ভাব্য দুর্যোগ প্রবণ ৪টি উপজেলার প্রতিটি উপজেলায় ৫০ ব্যাগ শুকনা খাবার, নগদ অর্থ ১৫ লাখ টাকা, শিশু খাদ্য ক্রয় বাবদ ২ লাখ টাকা এবং গো-খাদ্য ক্রয় বাবদ ৫ লাখ টাকা করে উপ-বরাদ্দ প্রদান করা হয়েছে। বন্যা পরিস্থিতি মোকাবেলার জন্য চারটি রেসকিউ বোট ও ৩৮৪ মেট্রিক টন চাল মজুদ রয়েছে এবং স্থায়ী-অস্থায়ী বন্যা আশ্রয়কেন্দ্র প্রস্তুত রাখা হয়েছে। 

তিনি আরও বলেন, ৫০০ মেট্রিক টন চাল, ১০ লাখ টাকা (নগদ), পাঁচ হাজার প্যাকেট শুকনা খাবার, এক হাজার বান্ডিল ঢেউটিন, গৃহনির্মাণ মঞ্জুরি বাবদ ৩০ লাখ টাকা, শিশু খাদ্য ও গো-খাদ্য ক্রয় বাবদ ১০ লাখ টাকার বরাদ্দের চাহিদা প্রেরণ করা হয়েছে।

সময়ের আলো/আরআই


আরও সংবাদ   বিষয়:  তিস্তা নদী   ব্রহ্মপুত্র নদী   বিপৎসীমার ওপরে পানি   গাইবান্ধা   




https://www.shomoyeralo.com/ad/1698385080Google-News-Update.jpg

সর্বশেষ সংবাদ

সর্বাধিক পঠিত


ভারপ্রাপ্ত সম্পাদক: সৈয়দ শাহনেওয়াজ করিম, আমিন মোহাম্মদ মিডিয়া কমিউনিকেশন লিমিটেড এর পক্ষে প্রকাশক গাজী আহমেদ উল্লাহ
নাসির ট্রেড সেন্টার, ৮৯, বীর উত্তম সি আর দত্ত সড়ক (সোনারগাঁও রোড), বাংলামোটর, ঢাকা।

ফোন : +৮৮-০২-৯৬৩২৩৬৮-৭৪, ফ্যাক্স : +৮৮-০২-৯৬৩২৩৭৫ | ই-মেইল : shomoyeralo@gmail.com
close