ঈদুল আজহার পর আজ শুক্রবার আশানুরূপ পর্যটকের সমাগম ঘটেছে কক্সবাজারে। আগমন ঘটলেও প্রায় আবাসিক হোটেলগুলোতে এখনও ৩০ শতাংশ রুম খালি রয়েছে। তবে স্থানীয় পর্যটকসহ সমুদ্র সৈকতেও উপচেপড়া ভিড় দেখা গেছে। অথচ, ঈদের প্রথম দিন থেকে পর্যটক খরায় ভূগছিল হোটেলগুলো।
রেললাইন যাতায়াতের সু-ব্যবস্থার কারণে পর্যটকরা আগের তুলনায় বেশি আসছেন বলে ধারণা করছেন সংশ্লিষ্ট ব্যবসায়ীরা। পর্যটক সমাগম হওয়ায় সংশ্লিষ্ট ব্যবসায়ীদের মাঝেও চাঙ্গাভাব দেখা গেলেও বেশকিছু পর্যটকের অভিযোগ রয়েছে অটোরিকশা ও খাবার হোটেলগুলোর বিরুদ্ধে।
নারায়ণগঞ্জ থেকে আসা পর্যটক নাছির উদ্দীন সৈকত জানান, সাপ্তাহিক ছুটিতে আজ শুক্রবার সকালে পরিবারসহ কক্সবাজার ঘুরতে এসে ভালই লাগছে। নির্মল পরিবেশে সমুদ্র সৈকতে কাটা মুহুর্তগুলো সত্যিই আনন্দদায়ক। কাল রাতে কক্সবাজার ত্যাগ করবো।
গত বৃহস্পতিবার মিরপুর থেকে আসা তোফা নামের এক মহিলা পর্যটক বলেন, কক্সবাজারে সবকিছু ভালো লাগে। তবে অটোরিকশা থেকে শুরু করে পরিবহনগুলোর চালকেরা বেয়াদব ও অতিরিক্ত টাকা আদায় করে। আর খাবার হোটেলগুলোও অতিরিক্ত টাকা নেয় বলে জানান তিনি।
হোটেল মালিক সমিতির সভাপতি আবুল কাশেম সিকদার জানান, নিম্ন ও মাঝারি মানের হোটেলে ছুটির শেষদিকে পর্যটক উপস্থিতি বেড়েছে। প্রথমদিকে পর্যটকদের উপস্থিতি কম থাকায় আমরা হতাশ ছিলাম। আশা করছি এই দুইদিনের ব্যবসায় ক্ষতি পুষিয়ে নেয়া সম্ভব হবে।
সংশ্লিষ্টরা জানিয়েছেন, ছোট বড় মিলে ৫ শতাধিক হোটেল-মোটেল, গেষ্ট হাউজ ও কটেজে প্রতি ঈদের ছুটিতে প্রায় শতভাগ বুকিং থাকে। কিন্তু এবারের ঈদুল আজহার প্রথম দিকে মাত্র ২০-২৫ ভাগ বুকিং ছিল। তবে সাপ্তাহিক ছুটিরদিনে আশানুরূপ বুকিং হয়েছে।
এদিকে, তারকা মানের হোটেল সায়মনের ফ্রন্ট ডেস্ক অফিসার সারোয়ার আলম বলেন, আমাদের হোটেলে আগে থেকে শতভাগ বুকিং ছিল।
আবাসিক হোটেল মোটেল গেস্ট হাউস মালিক সমিতির সাধারণ সম্পাদক সেলিম নেওয়াজ বলেন, কোরবানির ঈদের পর আজ শুক্রবার ও কাল শনিবার পর্যটকের সমাগম বেশি হওয়ায় আগের লোকসান পুষিয়ে নেওয়া যাবে।
ট্যুরিস্ট পুলিশ কক্সবাজার রিজিয়ন প্রধান আপেল মাহমুদ বলেন, তিন স্তরের কঠোর নিরাপত্তা ব্যবস্থা জোরদার করা হয়েছে। সিসিটিভি ক্যামরায় সার্বক্ষণিক নজরদারী করা হচ্ছে পুরো সৈকত এলাকা।
জেলা প্রশাসনের পর্যটন সেলের ম্যাজিস্ট্রেট মো. ইয়ামিন হোসেন বলেন, আবাসিক হোটেল ও রেস্তোরাগুলো যাতে অতিরিক্ত টাকা আদায় না করে সেদিকে নজর দেওয়া হয়েছে। আগত পর্যটকদের নিরাপত্তায় ট্যুরিস্ট পুলিশের পাশাপাশি মাঠে রয়েছে ভ্রাম্যমাণ আদালতের টিম।
সময়ের আলো/জিকে