প্রকাশ: শুক্রবার, ২১ জুন, ২০২৪, ৭:২০ পিএম (ভিজিট : ৪০৬)
কুড়িগ্রামে ধরলা, দুধকুমার, তিস্তা ও ব্রহ্মপুত্র নদীসহ সবক'টি নদ নদীর পানি প্রতিদিনই বেড়েই চলছে। পানি বৃদ্ধি অব্যাহত থাকায় বন্যা পরিস্থিতির সার্বিক অবনতি হয়েছে।
শুক্রবার (২১ জুন) তিস্তা ও ধরলা নদীর পানি বিপদসীমার ওপর দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে। তিস্তা নদীর পানি কাউনিয়া পয়েন্টে বিপদসীমার ৫৫ সেন্টিমিটার এবং ধরলা নদীর পানি ফুলবাড়ির শিমুলবাড়ি পয়েন্টে ১৫ সেন্টিমিটার উপর দিয়ে প্রবাহিত হচেছ। ফলে নতুন নতুন এলাকা প্লাবিত হচ্ছে।
এদিন কুড়িগ্রাম পানি উন্নয়ন বোর্ডের উপ-বিভাগীয় প্রকৌশলী রাফসান জানি জানান, বিকাল ৩টায় দুধকুমার নদের পাটেশ্বরী পয়েন্টে পানি সামান্য কমে এখন বিপদসীমার ২ সেন্টিমিটার নিচ দিয়ে এবং তিস্তা নদীর কাউনিয়া পয়েন্টে পানি ২৫ সেন্টিমিটার বেড়ে বিপদসীমার ৫৫ সেন্টিমিটার ওপর দিয়ে এবং ধরলা নদীর পানি ফুলবাড়ি উপজেলার শিমুলবাড়ি পয়েন্টে ১০ সেন্টিমিটার কমে বিপদসীমার ১৫ সেন্টিমিটার ওপর দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে। এভাবে পানি বৃদ্ধি অব্যাহত থাকলে সবগুলো নদ-নদীর পানিও বিপদসীমা অতিক্রম করার সম্ভাবনা রয়েছে।
এদিকে নদীর পানি বাড়ার কারণে তিস্তা ও ধরলা নদীসহ অন্যান্য নদনদীর অববাহিকার নিম্নাঞ্চল ও চরাঞ্চলের কয়েক হাজার পরিবার পানিবন্দি হয়ে পড়েছে। ভেঙে পড়েছে এসব এলাকার যোগাযোগ ব্যবস্থা। তলিয়ে গেছে বিভিন্ন কাঁচা সড়ক। অনেকেই কলার গাছের ভেলা দিয়ে বাড়িতে যাতায়াত করছে। ডুবে গেছে বাদাম,পাটক্ষেত, ভুট্টা, মরিচ ও শাক সবজি ক্ষেতসহ বিভিন্ন উঠতি ফসল। এসব এলাকায় বন্যা পরিস্থিতির কারণে সাধারণ মানুষেরা পড়েছেন বিপাকে।
জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ সাইদুল আরীফ জানান, দুর্যোগ কবলিত মানুষের সংখ্যা প্টায় ৪ হাজার। একই সঙ্গে বিভিন্ন স্হানে ভাঙ্গন দেখা দিয়েছে। উপজেলা পর্যায়ে ১৪৪ মে. টন জিআর চাল এবং নগদ ১০ লাখ ৩৫ হাজার টাকা ত্রাণ হিসাবে বরাদ্দ দেয়া হয়েছে। তা বিতরণের প্রস্তুতি চলছে। নতুন করে ঢাকা থেকে বরাদ্দ চাওয়া হয়েছে ১০ লাখ টাকা, ৯ হাজার প্যাকেট শুকনা খাবার এবং ৫০০ মে. টন চাল।
বাংলাদেশ পানি উন্নয়ন বোর্ডের অতিরিক্ত মহাপরিচালক (ওয়েস্ট রিজিওন) এ কে এম তাহমিদুল ইসলাম উলিপুরের বেগমগঞ্জসহ বিভিন্ন ভাঙ্গন কবলিত এলাকা পরিদর্শন করেন।
তিনি বলেন, একদিকে বন্যা আবার আর একদিকে নদী ভাঙ্গন এ জেলার জন্য দুর্ভোগ। এ জেলার উপর দিয়ে প্রবাহিত ছোট বড় ১৬টি নদ নদীর সবগুলোই ভাঙ্গন প্রবন। এর মধ্যে ব্রহ্মপুত্র, তিস্তা, ধরলা ও দুধকুমার সবচেয়ে বেশি বিধ্বংসী ভাঙ্গন প্রবন। নদী ভাঙ্গন প্রতিরোধে চলমান কার্যক্রম পরিদর্শনের পাশাপাশি সাধারণ মানুষের দুঃখ-কষ্ট নিরসনে কি কি উদ্যোগ নেয়া যায় তা পানি উন্নয়ন বোর্ড বিবেচনা করবে।
সময়ের আলো/জিকে
এই ক্যাটেগরির আরো সংবাদ
যত্নে রাখুন জামদানি শাড়ি 
লেজেগোবরে জনপ্রশাসন
শাহ্জালাল ইসলামী ব্যাংকের উদ্যোক্তার শেয়ার বিক্রির ঘোষণা
হাতিয়ায় জামায়াতে ইসলামীর ব্যবসায়ী সমাবেশ
কালিহাতীতে কোটা আন্দোলনের মামলায় গ্রেফতার ৩
সোলস আমার পরিবারের একটি অংশ: তুষার
টস জিতলো ভারত, ব্যাটিংয়ে বাংলাদেশ
ছাত্রদলের নতুন কর্মসূচি ঘোষণা
চিরনিদ্রায় শায়িত হলেন সাবেক রাষ্ট্রপতি বদরুদ্দোজা চৌধুরী
স্টার কাবাবে পঁচা কাবাব পরিবেশনের প্রতিবাদ করায় সাংবাদিককে মারধর