প্রকাশ: শুক্রবার, ২১ জুন, ২০২৪, ২:০৫ পিএম (ভিজিট : ৮০৮)
পানি সম্পদ প্রতিমন্ত্রী জাহিদ ফারুক বলেছেন, সিলেট-সুনামগঞ্জকে বন্যা থেকে রক্ষা করতে উজান থেকে নেমে আসা পানির পরিমাণ নির্ধারণের মাধ্যমে রিজার্ভার করা হবে। যাতে উজান থেকে আসা পানির ধারণ ক্ষমতা বৃদ্ধি করা যায়। সিলেটের সুরমা-কুশিয়ারা এবং সুনামগঞ্জের ২০টি নদী খনন করা হবে। এতে করে সিলেট ও সুনামগঞ্জ বন্যা থেকে রক্ষা পাবে।
শুক্রবার (২১ জুন) সকালে সিলেট নগরীর ক্বীনব্রিজ এলাকায় সুরমা নদীর পানি দেখতে গিয়ে সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে প্রতিমন্ত্রী এ কথা বলেন। এ সময় সিলেট সিটি করপোরেশনের মেয়র আনোয়ারুজ্জামান চৌধুরী, সিলেট-৩ আসনের সংসদ সদস্য হাবিবুর রহমান হাবিব, জেলা প্রশাসক শেখ রাসেল হাসানসহ অন্যরা উপস্থিত ছিলেন।
প্রতিমন্ত্রী বলেন, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা সিলেটের বন্যার বিষয়ে সার্বক্ষণিক খোঁজ খবর নিচ্ছেন। বন্যা দুর্গতদের জন্য যা করা প্রয়োজন তা করা হচ্ছে।
সিলেটে বন্যা পরিস্থিতির উন্নতি
সিলেটের বন্যা পরিস্থিতির উন্নতি হয়েছে। ভেসে ওঠতে শুরু করেছে সিলেট নগরীর প্লাবিত রাস্তাঘাট, বাড়িঘর। জেলার বিভিন্ন উপজেলা ও নগরীর বন্যা কবলিত এলাকা থেকে পানি নামতে শুরু করেছে। এদিকে সুরমা ও কুশিয়ারাসহ সকল নদীর পানি কমছে। পানি কমলেও ৬ পয়েন্টে সুরমা ও কুশিয়ারা নদীর পানি বিপৎসীমার ওপর দিয়ে বইছে। গত ২৪ ঘণ্টায় সিলেটে মাত্র ২০ মিলিমিটার বৃষ্টি হয়েছে।
এদিকে সরকারি হিসেব মতে, সিলেট জেলার বিভিন্ন উপজেলা ও নগরীর ২৩টি ওয়ার্ডে বন্যা কবলিত হয়েছেন সাড়ে ৯ লাখের মতো মানুষ। এর মধ্যে আশ্রয়কেন্দ্রে আশ্রয় নিয়েছেন অন্তত ২০ হাজার মানুষ। পানি কমতে থাকায় আশ্রয়কেন্দ্র ছেড়ে যাওয়ার প্রস্তুতি নিচ্ছেন আশ্রিতরা।
সময়ের আলো/আরআই