ই-পেপার সোমবার ৭ অক্টোবর ২০২৪
সোমবার ৭ অক্টোবর ২০২৪

কুড়িগ্রামে বন্যা পরিস্থিতির অবনতি
ধরলা-তিস্তা নদীর পানি বিপদসীমার ওপর
প্রকাশ: বৃহস্পতিবার, ২০ জুন, ২০২৪, ৮:৩৫ পিএম আপডেট: ২০.০৬.২০২৪ ১০:০৭ পিএম  (ভিজিট : ৩২৪)
কুড়িগ্রামে ধরলা, দুধকুমার, তিস্তা ও ব্রহ্মপুত্র নদীসহ  ১৬টি নদ-নদীর পানি ক্রমানুসারে বেড়েই চলছে। বৃহস্পতিবার (২০ জুন) সকাল থেকে ধরলা নদীর পানি  বিপদসীমার ২৩ সেন্টিমিটার ও তিস্তা নদীর পানি বিপদসীমার ১৬ সেন্টিমিটার ওপর দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে। বন্যার পানি বৃদ্ধির সাথে সাথে দেখা দিয়েছে ব্যাপক ভাঙ্গন।

কুড়িগ্রাম পানি উন্নয়ন বোর্ডের উপ-বিভাগীয় প্রকৌশলী রাফসান জানি এসব তথ্য নিশ্চিত করে বলেন, ব্রহ্মপুত্র নদের পানি বৃদ্ধি অব্যাহত থাকলেও এখনো বিপদসীমার সামান্য নিচ দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে। এভাবে পানি বৃদ্ধি অব্যাহত থাকলে এসব নদ-নদীর পানিও বিপদসীমা অতিক্রম করার সম্ভাবনা রয়েছে।

স্থানীয় জনপ্রতিনিধিদের দেয়া তথ্য মতে নদীর পানি বাড়ার কারণে নদ-নদীর অববাহিকার নিম্নাঞ্চল ও চরাঞ্চলের প্রায় ১৫ হাজারেরও বেশি পরিবার পানিবন্দি হয়ে পড়েছে। ভেঙে পড়েছে এসব এলাকার যোগাযোগ ব্যবস্থা। তলিয়ে গেছে বিভিন্ন সড়ক। ডুবে গেছে সবজি ক্ষেতসহ বিভিন্ন উঠতি ফসল।

কুড়িগ্রাম পানি উন্নয়ন বোর্ড সূত্রে জানা যায়, ধরলার পানি তালুকশিমুল বাড়ি পয়েন্টে ২৩ সেন্টিমিটার এবং তিস্তা নদীর পানি কাউনিয়া পয়েন্টে ১৬ সেন্টিমিটার বিপদসীমার উপর দিয়ে বইছে।

কুড়িগ্রাম জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ সাইদুল আরীফ জানান, এ জেলার উপর দিয়ে ১৬টি নদনদী প্রবাহমান। এর মধ্যে ধরলা ও তিস্তা নদীর দুটি পয়েন্টে পানি বিপদসীমা অতিক্রম করেছে ফলে রাজারহাট, নাগেশ্বরী ও কুড়িগ্রাম সদর উপজেলার নীচু এলাকায় বন্যা পরিস্থিতি সৃষ্টি হয়েছে। দুর্যোগ কবলিত মানুষের সংখ্যা তিন হাজার ৬৯১ জন। উপজেলা পর্যায়ে ১৪৪ মে. টন জিআর চাল এবং নগদ ১০ লাখ ৩৫ হাজার টাকা ত্রাণ হিসাবে উপ বরাদ্দ দেয়া হয়েছে। ৪০৪টি বন্যা আশ্রয় কেন্দ্র খোলা হয়েছে হয়েছে। সেখানে দুর্গত মানুষ আশ্রয় নেয়া শুরু করেছেন। আশ্রয় কেন্দ্রগুলোতে সরবরাহ করা হচ্ছে খাদ্য সহায়তা। ৪টি স্প্রিরিট বোট ও ২টি নৌকা প্রস্তুত রাখা হয়েছে বন্যার্তদের উদ্ধারের জন্য। জেলার সার্বিক বন্যা পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আছে। 

কুড়িগ্রাম -২ আসনের সংসদ সদস্য ডা: হামিদুল হক খন্দকার বৃহস্পতিবার যাত্রাপুর ও পাঁচগাছি ইউনিয়নের বন্যাদুর্গত এলাকা পরিদর্শন করেন। তিনি জানান, পানি বৃদ্ধির সাথে সাথে নদী ভাঙ্গন ব্যাপক আকার ধারণ করেছে। বন্যায় কয়েক হাজার মানুষ পানিবন্দি হয়ে পড়েছে। তাদের সহায়তায় জন্য স্থানীয় প্রশাসনকে নির্দেশ দেয়া হয়েছে। নদী ভাঙ্গন রোধে পাউবোকে প্রয়োজনীয় নিতে নির্দেশ দেয়া হয়েছে।  

সময়ের আলো/জিকে




https://www.shomoyeralo.com/ad/1698385080Google-News-Update.jpg

সর্বশেষ সংবাদ

সর্বাধিক পঠিত


ভারপ্রাপ্ত সম্পাদক: সৈয়দ শাহনেওয়াজ করিম, আমিন মোহাম্মদ মিডিয়া কমিউনিকেশন লিমিটেড এর পক্ষে প্রকাশক গাজী আহমেদ উল্লাহ
নাসির ট্রেড সেন্টার, ৮৯, বীর উত্তম সি আর দত্ত সড়ক (সোনারগাঁও রোড), বাংলামোটর, ঢাকা।

ফোন : +৮৮-০২-৯৬৩২৩৬৮-৭৪, ফ্যাক্স : +৮৮-০২-৯৬৩২৩৭৫ | ই-মেইল : shomoyeralo@gmail.com
close