প্রকাশ: শনিবার, ১৫ জুন, ২০২৪, ১:১৮ এএম আপডেট: ১৫.০৬.২০২৪ ৩:৫৪ এএম (ভিজিট : ৪৭৯)
অনেকটা শখের বশেই দশটি গরু কিনে ছোট একটি খামার করা হয়। কিন্তু কিছুদিন যেতেই মাথায় আসে দেশের নিরাপদ প্রাণিজ আমিষের চাহিদার কথা। এক পর্যায়ে দেশে গবাদিপশুর সেই চাহিদাকে মাথায় নিয়ে আনুষ্ঠানিকভাবে শুরু হয় ‘আমিন মোহাম্মদ এগ্রো লিমিটেডের’ বাণিজ্যিক যাত্রা। যেই ভাবনা সেইমতো কাজ। এরপর ফলাফল মাত্র ছয় বছরে আমিন মোহাম্মদ এগ্রোর খামারে কেবল গরুর সংখ্যা সাড়ে ৪ শতাধিক। এ ছাড়া রয়েছে মহিষ, ছাগল, ভেড়া, এমনকি উটের মতো দামি গবাদিপশুও।
শুক্রবার সরেজমিন সাভারের বিরুলিয়া ইউনিয়নের আমিন মোহাম্মদ এগ্রো ফার্মে গিয়ে দেখা যায়, বিশাল দেহের এই গরুটি রয়েছে এই এগ্রো ফার্মে। প্রায় ৯শ কেজি ওজনের গরুটিকে শখ করে নাম রাখা হয়েছে ‘সুলতান’। এবারের ঈদে সুলতানের দাম হাঁকা হচ্ছে ৩০ লাখ টাকা। শুধু সুলতানই নয়, ঈদ উপলক্ষে এই ফার্মে প্রাকৃতিক উপায়ে প্রস্তুত করা হয়েছে আরও দুই শতাধিক গরু।
খামার-সংশ্লিষ্টরা জানান, এসব গুরু মোটাতাজা করা হয়েছে কাঁচা ঘাস, ধানের কুঁড়া, গমের ভুসি, ভুট্টাসহ দেশীয় খাবার খাইয়ে। যে কারণে এই খামারের গরুর প্রতি রয়েছে ক্রেতাদের বাড়তি চাহিদা। ইতিমধ্যেই বিক্রি হয়ে গেছে ঈদ উপলক্ষে প্রস্তুত করা ৯০ শতাংশ পশু। অন্যদিকে খামারে এসে প্রাকৃতিক উপায়ে মোটাতাজা করা কুরবানির পশু কিনতে পেরে ক্রেতারাও খুশি হচ্ছেন বলে জানান খামার-সংশ্লিষ্টরা।
এ প্রসঙ্গে আমিন মোহাম্মদ গ্রুপের ব্যবস্থাপনা পরিচালক মো. আমিনুল হক নাবিল সময়ের আলোকে বলেন, ‘আমাদের প্রথম চিন্তায় ছিল পারিবারিক চাহিদা পূরণের জন্য কিছু গরু পালন করা। পরবর্তীতেই আমরা দেশের সাধারণ মানুষের প্রাণিজ আমিষের চাহিদা মেটানোর কথা চিন্তা করি। সেখান থেকেই আমিন মোহাম্মদ এগ্রো এখন এক বিশাল খামারে পরিণত হয়েছে। দেশের সাধারণ মানুষের প্রাণিজ আমিষের চাহিদা পূরণে আমরা ভূমিকা রাখছি।’ তিনি বলেন, ‘এখান থেকে সাধারণ মানুষ কুরবানি করার জন্য স্বাচ্ছন্দ্যে গরু কিনে নিয়ে যাচ্ছে। এখানকার গবাদিপশুকে প্রাকৃতিক পরিবেশে যত্নের সঙ্গে বড় করে তোলা হয়। যার ফলে গুণগত মানের দিক থেকেও এটি নিঃসন্দেহে অনেক ভালো বলে আমরা মনে করি।’
খামারের কর্মকর্তা ও কর্মজীবীরা জানান, শখের বশে ১০ বছর আগে ১০টি গরু দিয়ে গাজীপুরের গোবিন্দবাড়ি এলাকায় শুরু হয়েছিল কার্যক্রম। পরবর্তীতে ২০১৮ সালে দেশের নিরাপদ প্রাণিজ আমিষের চাহিদা পূরণে নিজেদের অংশীদার করতে বাণিজ্যিকভাবে সাভারের বিরুলিয়া ইউনিয়নে কার্যক্রম শুরু করে আমিন মোহাম্মদ এগ্রো লিমিটেড। বর্তমানে এ খামারে রয়েছে নানা জাতের সাড়ে চার শতাধিক গরু। এ ছাড়া মহিষ, ছাগল, ভেড়া, রয়েছে উটও। তারা আরও বলেন, আমিন মোহাম্মদ এগ্রো খামার থেকে গরু কিনলে দেওয়া হচ্ছে ফ্রি হোম ডেলিভারির সুবিধা।
এ সময় খামারে আসা কয়েকজন ক্রেতা সময়ের আলোকে বলেন, এখানকার প্রাকৃতিক পরিবেশে তথা ঘাসপাতা, দানাদারজাতীয় খাবার খাইয়ে গরু পালনের বিষয়টি জেনে আমিন মোহাম্মদ এগ্রোতে আসা। গরুগুলো দেখেও ভালো লাগছে। গরুভেদে দামও মোটামুটি স্বাভাবিক।
সময়ের আলো/আরএস/