ই-পেপার সোমবার ৭ অক্টোবর ২০২৪
সোমবার ৭ অক্টোবর ২০২৪

আধুনিক যন্ত্রের সাহায্য হাতে তৈরি হচ্ছে জুতা
প্রকাশ: শুক্রবার, ১৪ জুন, ২০২৪, ১:১৯ পিএম  (ভিজিট : ৪২২)
ভেতরে ঠুকঠাক শব্দ হচ্ছে। বাহির থেকে দেখে বুঝার উপায় নেই কৃষি সমৃদ্ধ এলাকা বজ্রযোগিনী ইউনিয়নের আধুনিকতার ছোঁয়া লেগেছে। এখানে আধুনিক যন্ত্রের ব্যবহারে হাতে তৈরি হচ্ছে জুতা। শ্রমিকেরা একই ঘরের ভেতরে বসে একেকজন একেক কাজ করছেন। কেউ জুতার মাপে চামড়া কাটছেন, কেউবা তাতে সেলাইয়ের পর আঠা দিয়ে দিচ্ছেন, কেউ সুন্দর নকশা ও জুতোর নাম ফলক বসাচ্ছেন কারখানাগুলোতে।

রাজধানীর ঢাকা শহরে জুতা তৈরির কাজে জীবনের ৫০ বছর পার করে মো. ইসহাক এখন নিজেই উদ্যোক্তা। মুন্সীগঞ্জে খুলে বসেছেন মিনি কারখানা। একটি একটি করে বজ্রযোগিনী এলাকায় এখন তৈরি হয়েছে ৬টি জুতার কারখানা।

ঢাকা সিদ্দিক বাজার থেকে জুতা তৈরির সরঞ্জাম নিয়ে আসেন মুন্সীগঞ্জে। প্রথমে কাগজের তৈরি নমুনা বানিয়ে মার্কার  দিয়ে খাঁচ তৈরি করেন। সাইজ অনুযায়ী কাটেন। ল্যাদারের ভেতরে কভার ঢুকিয়ে সলিশন দিয়ে জোড়া লাগানো হয়। মেশিনের মাধ্যমে সেলাই করে জোড়ায় জোড়ায় মিলিয়ে ফিটিং করা হয়। পরে রঙ দিয়ে জুতার সৌন্দর্য করা হয়।

৩ জনে মিলে একজোড়া জুতা বানাতে সময় লাগে ৩ থেকে ৪ ঘণ্টা। মজুরি গুনতে হয় ১৫০ টাকা। এক ডজন জুতা তৈরি করতে ফিটিং মজুরি দিতে হয় ৬০০ টাকা ও কাটিং মজুরি ৮০০ টাকা। সপ্তাহে ৬ ডজন জুতা তৈরি হয় তার মিনি কারখানায়। শ্রমিকরা প্রডাকশনে কাজ করে প্রতিদিন ৫ থেকে ৬০০ টাকা রোজগার করে। তৈরি করা জুতার স্যাম্পল নিয়ে যান এলিফ্যান্ট রোড, নিউ মার্কেট, গুলিস্তান, মুগদাসহ দেশের বিভিন্ন জায়গায়। স্যাম্পল দেখে অর্ডার করে ব্যবসায়ীরা। এক জোড়া জুতা বিক্রি করে কারখানা মালিকের লাভ হয় ১ হাজার টাকা।

কারখানার মালিক-শ্রমিকদের সঙ্গে কথা বলে জানা গেছে, জুতা তৈরির প্রধান উপকরণ চামড়া, র‌্যাক্সিন, সোল, কভার, সুতা ও রাবার। ঈদুল ফিতর ও শীতের সময় তাদের ব্যস্ততা থাকে দ্বিগুণ।

জুতা তৈরির মিনি কারখানার মালিক মো. ইসহাক বলেন, আমার এখানে ১৫ আইটেমের জুতা বানিয়ে থাকি। টাকা কম তাই ছোট পরিসরে কারখানা চালু করেছি। ইচ্ছে আছে বড়সড় করে কারখানা চালু করা। দুই ছেলে এক মেয়ে নিয়ে ভাল আছি।

তিনি আরও বলেন, আমার মত এই এলাকার অনেকেই এই ব্যবসায় ঝুঁকছেন। তবে সরকারি সহায়তা পেলে আমরা আরও আগাতে পারবো।

সময়ের আলো/আরআই


আরও সংবাদ   বিষয়:  হাতে তৈরি হচ্ছে জুতা   মুন্সীগঞ্জ  




https://www.shomoyeralo.com/ad/1698385080Google-News-Update.jpg

সর্বশেষ সংবাদ

সর্বাধিক পঠিত


ভারপ্রাপ্ত সম্পাদক: সৈয়দ শাহনেওয়াজ করিম, আমিন মোহাম্মদ মিডিয়া কমিউনিকেশন লিমিটেড এর পক্ষে প্রকাশক গাজী আহমেদ উল্লাহ
নাসির ট্রেড সেন্টার, ৮৯, বীর উত্তম সি আর দত্ত সড়ক (সোনারগাঁও রোড), বাংলামোটর, ঢাকা।

ফোন : +৮৮-০২-৯৬৩২৩৬৮-৭৪, ফ্যাক্স : +৮৮-০২-৯৬৩২৩৭৫ | ই-মেইল : shomoyeralo@gmail.com
close