ই-পেপার সোমবার ৭ অক্টোবর ২০২৪
সোমবার ৭ অক্টোবর ২০২৪

হাতুড়ির টুংটাংয়ে মুখর কামারশালা
প্রকাশ: শুক্রবার, ১৪ জুন, ২০২৪, ২:১৬ এএম  (ভিজিট : ৩৫৮)
ঈদ যতই ঘনিয়ে আসছে বাড়ছে কামারদের ব্যস্ততা। একদিকে হাপরে আগুনের শিখা অন্যদিকে হাতুড়ির টুংটাং শব্দে তৈরি হচ্ছে দা, বঁটি, ছুরি ও চাপাতি। উত্তরের জেলা গাইবান্ধা শহর কিংবা গ্রাম সব জায়গায় কামারবাড়ির চিত্র এখন এমনই। কুরবানির ঈদের ঠিক আগে আগে দা-বঁটি-ছুরি, কুড়াল ধার বা শান দেওয়ার ব্যস্ততা বেড়েছে। কুরবানির পশু জবাই করা, চামড়া ছাড়ানো ও মাংস কাটার জন্য দরকার তীক্ষ্ণ ধারালো ছুরি, চাপাতি, কুড়াল, দা, বঁটি। যে কারণে পশু কেনার পাশাপাশি মানুষের উপচেপড়া ভিড় থাকে কামারশালায়। এ পেশার মানুষের ইদানীং দুদণ্ড দম ফেলার যেন ফুরসত নেই। কেউ নতুন করে চাপাতি, দা, ছুরি বানাতে ভিড় করছেন। আবার কেউ আসছেন শান দিতে। সব মিলিয়ে এখন ব্যস্ততা কামারবাড়িতে।

ঈদ উপলক্ষে গাইবান্ধার শহর-গ্রামের হাটবাজারগুলোতে ছড়িয়ে-ছিটিয়ে থাকা কামার দোকানে গ্রাহকের আনাগোনা বেড়েছে। কামাররাও দা, বঁটি, ছুরি, ধামাই শান দিতে ব্যস্ত সময় পার করছেন। দোকানের সামনে বিক্রির জন্য সাজিয়ে রেখেছেন নতুন দা, ছুরি, বঁটি। মানভেদে নতুন দা ২৫০ থেকে ৪০০ টাকায়, ছুরি ১২০ থেকে ২০০ টাকায়, বঁটি ৩৫০ থেকে ৬০০ টাকায়, জবাই ছুরি ২৫০ থেকে ৫০০ টাকায় এবং ধামা ৪০০ থেকে ১০০০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে।

জেলা শহরের সার্কুলার রোডের গোরস্তান মোড় এলাকায় মদিনা মার্কেটে এক কামারশালার মালিক আবদুল কুদ্দুস জানান, কুরবানির ঈদ সামনে রেখে গ্রাহকের অর্ডার সামাল দিতে ইতিমধ্যে আমরা দোকানে বাড়তি কর্মচারী নিয়োগ দিয়েছি। কুরবানির আয়ে আমাদের সারা বছর চলতে হয়, বিধায় গ্রাহকের চাপ সামাল দিতে সব ধরনের প্রস্তুতি নিয়ে রেখেছি। ইতিমধ্যে বেশকিছু গ্রাহক দা, বঁটি, ছুরি বানানোর অর্ডার দিয়ে গেছেন এবং শান দিতে অর্ডার পেয়েছি। পাশাপাশি নতুন বঁটি, ছুরি তৈরি করছি। বিশেষ করে কুরবানির আগের দিন গ্রাহকের আনাগোনা বেড়ে যাবে বলেও জানান তিনি।

জাহাঙ্গীর আলম নামে এক ক্রেতা জানান, গরুর বাজারে গিয়েছিলাম। এখনও গরু কেনা হয়নি। এ ফাঁকে কুরবানির জন্য বাসায় থাকা দা, ছুরি ও বঁটিগুলো শান দিতে নিয়ে এলাম। দা শান করাতে ২০ টাকা, ছুরি ১৫ টাকা, বঁটি ৩০ টাকা করে নিচ্ছেন কামাররা।

কামারবাড়ি ছাড়াও অনেকেই পাড়া-মহল্লায় বাড়ি বাড়ি গিয়ে মোটরচালিত মেশিনে শান দেওয়ার কাজ করছেন। যারা এখন পর্যন্ত কামারবাড়ি গিয়ে দা-বঁটি শান দেননি, তারা এসব ভ্রাম্যমাণ শান কারিগর দিয়ে বাড়িতে বসেই শান দিয়ে নিচ্ছেন।

ভ্রাম্যমাণ শান কারিগরদের কাছ থেকে জানা যায়, পেশায় কৃষিজীবী হলেও প্রতি বছর ঈদে বাড়তি আয়ের জন্য তারা এ শান দেওয়ার কাজ করেন। দা-বঁটি, চাপাতি, ছুরি শান করতে এগুলোর আকারভেদে দাম নির্ধারণ করা হয়।

সময়ের আলো/জিকে




https://www.shomoyeralo.com/ad/1698385080Google-News-Update.jpg

সর্বশেষ সংবাদ

সর্বাধিক পঠিত


ভারপ্রাপ্ত সম্পাদক: সৈয়দ শাহনেওয়াজ করিম, আমিন মোহাম্মদ মিডিয়া কমিউনিকেশন লিমিটেড এর পক্ষে প্রকাশক গাজী আহমেদ উল্লাহ
নাসির ট্রেড সেন্টার, ৮৯, বীর উত্তম সি আর দত্ত সড়ক (সোনারগাঁও রোড), বাংলামোটর, ঢাকা।

ফোন : +৮৮-০২-৯৬৩২৩৬৮-৭৪, ফ্যাক্স : +৮৮-০২-৯৬৩২৩৭৫ | ই-মেইল : shomoyeralo@gmail.com
close