ই-পেপার সোমবার ৭ অক্টোবর ২০২৪
সোমবার ৭ অক্টোবর ২০২৪

নাটোরে জমে উঠেছে পশুর হাট, বিক্রির লক্ষ্য ২৫০০ কোটি
প্রকাশ: বৃহস্পতিবার, ১৩ জুন, ২০২৪, ৫:০০ পিএম  (ভিজিট : ২৬৮)
নাটোরে শেষ মুহূর্তে জমে উঠেছে কুরবানির পশুর হাট। ঈদকে সামনে রেখে নাটোর জেলায় খামারি ও ব্যক্তিগতভাবে প্রায় ৫ লক্ষ কুরবানির পশু প্রস্তুত করা হয়েছে। এসব পশু জেলার বিভিন্ন পশুর হাটে তোলা হচ্ছে। ইতিমধ্যে বিভিন্ন হাটে, খামারে এবং অনলাইনে পশু বিক্রি শুরু হয়েছে। এ বছর জেলায় প্রায় ২৫০০ কোটি টাকার পশু কেনাবেচা হবে বলে জানিয়েছেন জেলা প্রাণী সম্পদ কর্মকর্তা।

জেলা প্রাণিসম্পদ অফিস সূত্রে জানা গেছে, চলতি বছর নাটোর জেলায় ১৮ হাজার ৪৫০টি খামারে ৪ লাখ ৭৮ হাজার ২২৭টি কুরবানির পশু প্রস্তুত করা হয়েছে। গত মৌসুমে কুরবানির ঈদে ছিল ৫ লাখ ২০ হাজার ২৩৮টি পশু। এসব পশু গুলোর মধ্যে রয়েছে জেলায় ৯৪ হাজার ৬৫৮টি ষাঁড়, ১২ হাজার ৮৫৩টি বলদ, ১৪ হাজার ৩৩৫টি গাভী, ২ হাজার ১৬৬টি মহিষ, ৩৪ হাজার ১৫০টি ভেড়া, ৩ লাখ ২০ হাজার ৩৬টি ছাগল এবং গাড়ল-দুম্বাসহ অন্যান্য ২৯টি পশু কুরবানির জন্য প্রস্তুত রয়েছে। এর মধ্যে নাটোর সদর উপজেলায় ৮৭ হাজার ৪৬০টি, বাগাতিপাড়া উপজেলায় ৩৭ হাজার ৯২২টি, নলডাঙ্গা উপজেলায় ৫৬ হাজার ১৮৪টি, লালপুর উপজেলায় ৪০ হাজার ৯৮১টি, গুরুদাসপুর উপজেলায় ৯৭ হাজার ৮৮৯টি, সিংড়া উপজেলায় ৯২ হাজার ৫৬৬টি এবং বড়াইগ্রাম উপজেলায় ৬৫ হাজার ২২৫টি কুরবানির পশু প্রস্তুত করা হয়েছে।

এসব কুরবানির পশু নাটোর শহরের তেবাড়িয়া হাট, বড়াইগ্রাম উপজেলার উপজেলার মৌখাড়া হাট, সিংড়া ফেরিঘাট হাট, বাগাতিপাড়ার পেড়াবাড়িয়া, গুরুদাসপুরের চাঁচকৈড় এবং গোপালপুর উপজেলার মধুবাড়ী হাটসহ অস্থায়ীভাবে করোটা, গোবিন্দপুর, গুনাইখারা, হাতিয়ান্দহ, জোনাইল হাটে ক্রয়-বিক্রয় হচ্ছে। এছাড়া হাটের পাশাপাশি অনলাইনে পশু বিক্রি শুরু হয়েছে। চলতি বছর জেলায় প্রায় ২৫০০ কোটি টাকার পশু কেনাবেচা হবে বলে ধারণা করা হচ্ছে বলে জানিয়েছেন জেলা প্রাণিসম্পদ কর্মকর্তা ডা. মোস্তাফিজুর রহমান।

তেবাড়িয়া এলাকার খামারি শফিকুল ইসলাম বলেন, এ বছর কুরবানির জন্য ৬টি ষাঁড় গরু বিক্রির জন্য প্রস্তুত করেছি। বর্তমানে বাজার দাম মোটামুটি ভালো আছে। যদি এ দাম থাকে তাহলে গরু প্রতি দেড় থেকে ২ লাখ টাকা বিক্রি করবেন বলে জানান।

সিংড়া উপজেলার হাতিন্দাহ এলাকার খামারি ইউসুফ মোল্লা বলেন, প্রতি বছর কুরবানিতে পশু সরবারহ করি। সেজন্য এক বছর থেকে পশু পরিচর্যা করতে হয়। তবে বর্তমানে পশু পালন করা লাভজনক নয়। সবকিছুর দাম বেড়েছে। এতে খাদ্য ও শ্রমিক দিয়ে উৎপাদন খবর উছে না। তবুও শখের বসে পালন করি। এ বছর ৮টি ষাঁড় গরু কুরবানির জন্য প্রস্তুত করেছি। আশা করছি ১৮-২০ লাখ টাকা বিক্রি হবে।

নাটোর জেলা প্রাণিসম্পদ কর্মকর্তা ডা. মোস্তাফিজুর রহমান জানান, এ বছর নাটোর জেলায় ৪ লাখ ৭৮ হাজার ২২৭টি কুরবানির পশু প্রস্তুত করা করা হয়েছে। জেলায় কুরবানির চাহিদা পূরণ করেও উদ্বৃত্ত ২ লাখ ২৬ হাজার ১৮৫টি পশু সারাদেশে বিক্রির জন্য চলে যাবে। যার বাজার মূল্য প্রায় ২৫০০ কোটি টাকা। খামারগুলোতে পশুর সঠিক পরিচর্যা ও স্বাস্থ্যসম্মত গোখাদ্য সরবরাহ করেছেন খামারিরা। নিরাপদ ও স্বাস্থ্যসম্মত পশু উৎপাদনে প্রাণিসম্পদ বিভাগ সব সময় খামারিদের সু-পরামর্শ প্রদান করে আসছে।

সময়ের আলো/আরআই


আরও সংবাদ   বিষয়:  কুরবানির পশুর হাট   নাটোর  




https://www.shomoyeralo.com/ad/1698385080Google-News-Update.jpg

সর্বশেষ সংবাদ

সর্বাধিক পঠিত


ভারপ্রাপ্ত সম্পাদক: সৈয়দ শাহনেওয়াজ করিম, আমিন মোহাম্মদ মিডিয়া কমিউনিকেশন লিমিটেড এর পক্ষে প্রকাশক গাজী আহমেদ উল্লাহ
নাসির ট্রেড সেন্টার, ৮৯, বীর উত্তম সি আর দত্ত সড়ক (সোনারগাঁও রোড), বাংলামোটর, ঢাকা।

ফোন : +৮৮-০২-৯৬৩২৩৬৮-৭৪, ফ্যাক্স : +৮৮-০২-৯৬৩২৩৭৫ | ই-মেইল : shomoyeralo@gmail.com
close