ই-পেপার সোমবার ৭ অক্টোবর ২০২৪
সোমবার ৭ অক্টোবর ২০২৪

২২০০ কেজি ওজনের গরুটি বিক্রি হয়নি গত চার বছরে
কালো মানিক কি এ ঈদে কুরবানি হবে
প্রকাশ: বৃহস্পতিবার, ১৩ জুন, ২০২৪, ২:০৯ এএম  (ভিজিট : ৩৭৬)
কুরবানির ঈদে সবার দৃষ্টি থাকে আকর্ষণীর পশুর দিকে। তেমনি এবারও আলোচিত চার বছর ধরে হাঁট কাঁপানো কালো মানিক ষাঁড়টি। কালো মানিকের মালিকের দাবি, ২২০০ কেজি ওজনের এ ষাঁড়টি এবারও দেশসেরা। ময়মনসিংহের ত্রিশালের ধানিখোলা দক্ষিণ ভাটিপাড়া গ্রামে মালিকের যত্নে দিন পার করছে কালো মানিক। এবারে তার দাম হাঁকা হচ্ছে ৩০ লাখ টাকা। গত কুরবানিতে কালো মানিকের দাম হয়েছিল ২০ লাখ টাকা।

গত চার বছর ধরে ন্যায্যমূল্য না পাওয়ায় বিক্রি হয়নি কালো মানিক। তাই কালো মানিকের মালিক জাকির হোসেন সুমন আরও এক বছর লালন-পালন করে এ কুরবানির ঈদে ২২০০ কেজি ওজনের কালো মানিকের দাম হাঁকাচ্ছেন ৩০ লাখ টাকা। মালিকের দাবি, ময়মনসিংহসহ সারা দেশে সবচেয়ে বড় গরু তার এ কালো মানিক।

জানা যায়, এটি ফ্রিজিয়ান জাতের ষাঁড়। গত আট বছর ধরে লালন-পালন করে আসছেন উপজেলার ধানীখোলা ইউনিয়নের খামারি জাকির হোসেন সুমন। এর ওজন ২২০০ কেজি। ষাঁড়টি শান্ত প্রকৃতির ও কালো রঙের হওয়ায় আদর করে এর নাম রাখা হয়েছে কালো মানিক। কালো মানিকের নাম আশপাশের এলাকায় সবার মুখে মুখে শোনা যায়। বিশাল আকারের কালো মানিককে দেখতে ক্রেতাসহ সাধারণ মানুষতো বটেই দূর-দূরান্ত থেকেও নানা বয়সের মানুষ প্রতিদিন জাকিরের বাড়িতে ভিড় জমাচ্ছে। দেখতে আসা অনেকেই এটিকে হাতির সঙ্গে তুলনা করছেন। কালো মানিককে দেখতে আসা সাহিদমান শেখর, স্বর্ণা সুলতানা, আবরার কবীর ফাইয়াদ ও মারুফ ইসলাম জানান, গত কয়েক বছর ধরে কালো মানিক ষাঁড়টির কথা শুনেছি। শুনেছি বিক্রি হয়নি। তাই দেখতে আসছি। দেখে মুগ্ধ, অনেক বড় হয়েছে কালো মানিক। কালো রঙের হওয়ায় ষাঁড়টি দেখতে খুবই সুন্দর এবং আকর্ষণীয়। তার আকৃতি এবং রঙ সবাইকে আকর্ষণ করে। আমার মতো অনেকেই এ ষাঁড়টি দেখতে আসে। কালো মানিক এবারের ঈদে কার ভাগ্যে জুটে তা দেখার অপেক্ষায়।

কালো মানিকের মালিক জাকির হোসেন সুমন জানান, অনেক শখ করে গত আট বছর ধরে এই ষাঁড়টিকে আমি দেশীয় খাবার খাইয়ে যত্ন আর ভালোবাসা দিয়ে বড় করেছি। খাবার হিসেবে প্রতিদিন ২ হাজার টাকা খরচ হয়। কৃত্রিম কোনো কিছু খাওয়ানো হয় না। প্রাকৃতিক উপায়ে খৈল, ভুসি, ভুট্টা, কলা, ভাত, খড়-ঘাস খাইয়েছি। শখ করে গরুটিকে পালন করেছি। আমি নিজের চেয়েও বেশি গরুর যত্ন নিই। গত কয়েক বছর ধরে ভালো দাম না পাওয়ায় কালো মানিককে বিক্রি করতে পারিনি। তবে এ বছর আশা করছি ভালো দামে গরুটি বিক্রি করতে পারব।

কালো মানিকের চিকিৎসক কামাল উদ্দিন জানান, আমি কালো মানিককে গত আট বছর ধরে চিকিৎসা করে আসছি। প্রাকৃতিক খাবার খাইয়ে বড় করা হয়েছে ষাঁড়টিকে। ক্ষতিকর ও মোটাতাজাকরণের কোনো ওষুধ প্রয়োগ করা হয়নি। তাই ষাঁড়টির মাংসও সুস্বাদু হবে বলে তার দাবি। এটি জেলার মধ্যে সবচেয়ে বড় গরু।

উপজেলা প্রাণিসম্পদ ও ভেটেরিনারি হাসপাতালের কর্মকর্তা ডা. নাজনীন সুলতানা সুরভী জানান, এ উপজেলায় গত চার বছর ধরে কালো মানিক সবচেয়ে বড় ষাঁড়। এটি ফ্রিজিয়ান জাতের একটি ষাঁড়। কয়েক বছর ধরে খামারি এটি প্রাকৃতিক খাবার খাইয়ে লালন-পালন করছেন।

সময়ের আলো/আরএস/ 




https://www.shomoyeralo.com/ad/1698385080Google-News-Update.jpg

সর্বশেষ সংবাদ

সর্বাধিক পঠিত


ভারপ্রাপ্ত সম্পাদক: সৈয়দ শাহনেওয়াজ করিম, আমিন মোহাম্মদ মিডিয়া কমিউনিকেশন লিমিটেড এর পক্ষে প্রকাশক গাজী আহমেদ উল্লাহ
নাসির ট্রেড সেন্টার, ৮৯, বীর উত্তম সি আর দত্ত সড়ক (সোনারগাঁও রোড), বাংলামোটর, ঢাকা।

ফোন : +৮৮-০২-৯৬৩২৩৬৮-৭৪, ফ্যাক্স : +৮৮-০২-৯৬৩২৩৭৫ | ই-মেইল : shomoyeralo@gmail.com
close