প্রকাশ: মঙ্গলবার, ১১ জুন, ২০২৪, ৯:৩৬ পিএম (ভিজিট : ৬৯০)
উৎসুক জনতা বাজারের মধ্যখানে কি যেন দেখছে। কাছে গিয়ে দেখা যায় সাদা রং এর বিশাল দেহের এক গরু। অনেক ক্রেতা দামও জিজ্ঞেস করছেন মালিকের কাছে। দাম হাঁকা হয় ৭ লাখ টাকা। প্রায় ১২ মণ ওজনের গরুটির মালিক মোহাম্মদ এনাম চৌধুরী।
চট্টগ্রামের ফটিকছড়ি উপজেলার অন্যতম বৃহত্তম নাজিরহাট বাজারে এ গরুটি দেখা যায়। মঙ্গলবার (১১ জুন) হাটের দিন গরুটি নিয়ে আসেন মালিক। লোকজন দেখে গরুটি বারবার মাথা নাড়ছিল। মালিক গরুর শরীরে হাত বুলিয়ে শান্ত করছিলেন।
উপজেলার নাজিরজাট পৌরসভার কুম্ভারপাড়ার আমির খান চৌধুরীর বাড়িতে সাদাবাবুর জন্ম। মালিক এনাম চৌধুরী জানান, তার একটি গাভী ছিল। সেটি থেকেই সাদাবাবুর জন্ম। সাদাবাবুর বয়স এখন আড়াই বছর। দেশীয় পদ্ধতিতে গরুটি হৃষ্টপুষ্ট করেছেন তিনি। প্রয়োজনমত খাবার ও পরিচর্যা করেন। ৯ ফুট দৈর্ঘ্য ও ৫ ফুট ৩ ইঞ্চি উচ্চতার ধবধবে সাদা শরীরে কালো ছাপের একটি গরু। এটির ওজন ১২ মণ। ভালোবেসে গরুটির মালিক মোহাম্মদ এনাম চৌধুরী সাদাবাবু নাম রেখেছেন। পেশায় সার্ভেয়ার এনাম চৌধুরী ও তার ছোট ভাই আক্কাছ ২ বছর ৬ মাস ধরে গরুটি পালন করেছেন।
আক্কাছ জানান, বিশাল শরীরের অধিকারী হওয়ায় প্রায় প্রতিদিনই লোকজন বাড়িতে গরুটিকে দেখতে আসেন। বাজারেও লোকজন দেখার জন্য ভিড় জমে। বাজারে ক্রেতাদের দামাদামি চলছে। দরদাম হলেই ছেড়ে দেব।
স্থানীয় বাসিন্দা মো. লোকমান বলেন, গরুটি দেখতে অনেক সুন্দর। অনেক বড় গরু। গরুর নাম ‘সাদাবাবু’ শুনেই দেখতে এসেছি। পাঁচ লাখ টাকা বলেছি। কিন্তু বিক্রেতা আরও বেশি চাইছেন।
গরুটির মালিক মোহাম্মদ এনাম চৌধুরী বলেন, সাদাবাবু দেশি জাতের গরু। এর খাদ্য তালিকায় আছে কাঁচা ঘাস, খড় ও খুদের ভাত। সব মিলিয়ে গরুটি প্রতিদিন প্রায় ৩ বেলায় প্রায় ২৫ কেজি খাবার খায়।
তিনি বলেন, গরু লালন-পালন করতে আমার ভালোই লাগে। প্রতিদিন সার্ভেয়ারের কাজ শেরে আমার সাদাবাবুর কাছে চলে আসি। নিজের সন্তানের মতো করে গরুটি পালন করেছি। ক্রেতাদের সাথে দরদাম হলেই ছেড়ে দেব।
সময়ের আলো/আরআই