প্রকাশ: মঙ্গলবার, ১১ জুন, ২০২৪, ৮:১৩ পিএম (ভিজিট : ৪৩০)
নেত্রকোনা সদর থানাধীন কাইলাটি ইউনিয়নের ভাসাপাড়া (কাওলীকোনা) গ্রামে একটি জঙ্গি আস্তানা ও জঙ্গি প্রশিক্ষণ কেন্দ্র থেকে গত রোববার (৯ জুন) অভিযান চালিয়ে একটি বিদেশি পিস্তল, ১৭ রাউন্ড গুলি, জঙ্গি প্রশিক্ষণের বই, প্রশিক্ষণের জন্য খেলনা পিস্তল, হ্যান্ডকাপ, ওকিটকি, একটি ল্যাপটপ, দুইটি দূরবীন, ৫টি এন্ড্রয়েড ফোন, কোমরে বাঁধার বেল্ট, জিম করার সরঞ্জামাদি, বেশ কিছু জঙ্গি প্রশিক্ষণের ডিভাইসসহ ৮০ প্রকারের মালামাল জব্দ করে পুলিশ। বিল্ডিং থেকে ৬টি তাজা বোমা উদ্ধারের ৫টি বোমা বিল্ডিং এর ভেতরে এবং একটি বোমা বাইরে নিষ্ক্রিয় করা হয়।
এ ঘটনায় মঙ্গলবার (১১ জুন) দুপুর দেড়টার দিকে সন্ত্রাস দমন আইনের ৭ ধারায় মডেল থানায় পরিদর্শক (তদন্ত) আনিছুর আশেকিন বাদী হয়ে চারজনের নাম উল্লেখ করে অজ্ঞাত আরও কয়েকজনকে আসামি করে একটি মামলাটি দায়ের করেছেন। নেত্রকোনা পুলিশ সুপার ফয়েজ আহমেদ আজ (মঙ্গলবার) দুপুরে এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন।
তবে তদন্তের স্বার্থে এই মুহূর্তে আসামিদের নাম প্রকাশ করতে চাচ্ছেনা প্রশাসন। কাউকে আটক করা হয়েছে কি না তদন্তের স্বার্থে তাও জানাতে অস্বীকার করেছেন।
এদিকে ২৯ ঘণ্টা অভিযান চালানোর পর গত রোববার (৯ জুন) বিকেল সাড়ে ৫টার দিকে ভাসাপাড়া কাওলীকোনা ফিসারীর সামনে এক প্রেস ব্রিফিং-এ ময়মনসিংহ রেঞ্জের ডিআইজি মো. শাহ্ আবিদ হোসেন জঙ্গি আস্তানা ও প্রশিক্ষণ কেন্দ্রের অভিযান সমাপ্তি ঘোষণা করেন। গত শুক্রবার রাতে ওই এলাকায় শিক্ষক আব্দুল মান্নানের ফিসারীতে জঙ্গি আস্তানা ও প্রশিক্ষণ কেন্দ্রের সন্ধান পায় জেলা পুলিশ। যা বেশ কয়েকদিন আগে থেকে পুলিশের নজরদারিতে ছিল। এরপর শনিবার সকাল থেকে পুরো ফিসারী ঘিরে ফেলে পুলিশ। রোববার ঢাকা থেকে এন্টিটেররিজম ইউনিটের সোয়াট ও বোমা ডিসপোজাল টিম কাজ করে। সারাদিন অভিযানের পর বিকেলে ৬টি বোমা নিষ্ক্রিয় করা হয়। এছাড়াও অন্যান্য মালামাল জব্দ করে পুলিশ। ফিসারীর চতুর্দিকে সিসি ক্যামেরা বসানো ছিল। দীর্ঘদিন যাবত এখানে জঙ্গিদের নিবিড়ভাবে প্রশিক্ষণ দেয়া হত বলে জানায় পুলিশ। চতুর্দিকে উঁচু দেয়ালে ঘেরা। এলাকাটি নির্জন হওয়ায় কেউ তা বুঝতে পারত না।
সময়ের আলো/আরআই