ই-পেপার সোমবার ৭ অক্টোবর ২০২৪
সোমবার ৭ অক্টোবর ২০২৪

সিলেটে অতিবৃষ্টি, টিলা ধসে মাটির নিচে আটকা ৩ জন
প্রকাশ: সোমবার, ১০ জুন, ২০২৪, ১২:১২ পিএম  (ভিজিট : ২৯৮)
সিলেটে অতিবৃষ্টিতে টিলাধ্বস ও নগরীর নিন্মাঞ্চলসহ প্রধান কয়েকটি সড়ক প্লাবিত হয়েছে। টিলাধ্বসের কারণে এক পরিবারের ৩ জন মাটির নিচে আটকা পড়েছেন। এছাড়া এই পরিবারের ৪ জনকে উদ্ধার করে সিলেট এমএজি ওসমানী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে প্রেরণ করা হয়েছে। সোমবার ভোর ৬টা থেকে সকাল ৯টা পর্যন্ত ১৩৬ মিলিমিটার বৃষ্টিপাত রেকর্ড করেছে সিলেট আবহাওয়া অফিস।

সোমবার (১০ জুন) সকাল সাড়ে ৭টার দিকে অতিবৃষ্টি চলাকালে সিলেট নগরীর ৩৬ নম্বর ওয়ার্ডের মেজরটিলা চামেলিবাগে হঠাৎ বিকট শব্দে টিলাধ্বসের ঘটনা ঘটে। এ সময় ২ পরিবারের ৭ জন মাটিচাপা পড়েন। দ্রুত স্থানীয়রা ৪ জনকে উদ্ধার করতে পারলেও বাকী তিনজন মাটিচাপা পড়েন। তারা হলেন চামেলিবাগের ২ নম্বর রোডের ৮৯ নম্বর বাসার মৃত আগা রফিক উদ্দিনের ছেলে মোহাম্মদ আগা করিম উদ্দিন (৩১), তার স্ত্রী শাম্মি আক্তার রাজি (২৫) ও তাদেও ২ বছর বয়সী সন্তান সানি মাটির নিচে চাপা পড়েন।

এছাড়া স্থানীয়রা ওই বাসার মৃত আগা রফিক উদ্দিনের ছেলে আগা মাহমুদ উদ্দিন, আগা বাবুল উদ্দিন, আগা বাচ্চু উদ্দিন ও আগা শফিক উদ্দিনকে উদ্ধার করে সিলেট এমএজি ওসমানী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে প্রেরণ করেন।

এদিকে টিলাধ্বসের খবর পেয়ে ফায়ার সার্ভিস ও সিটি করপোরেশনের ৩০ সদস্যের উদ্ধারকারী টিম ঘটনাস্থলে গিয়ে উদ্ধার কার্যক্রম শুরু করে। লন্ডন থেকে সিলেট ফিরে সরাসরি সিটি করপোরেশনের মেয়র আনোয়ারুজ্জামান চৌধুরী ঘটনাস্থলে গিয়ে উদ্ধার কার্যক্রম পরিদর্শন করেন।

প্রত্যক্ষদর্শী একজন জানিয়েছেন, সকাল সাড়ে ৭টার দিকে হঠাৎ করেই বিকট শব্দে টিলাধ্বস হয়। এতে দুই পরিবারের লোকজন মাটিচাপা পড়েন। স্থানীয়রা ৪ জনকে উদ্ধার করে হাসপাতালে পাঠিয়েছে।

সিলেটের শাহপরান (র.) থানার ওসি মোহাম্মদ হারুনুর রশিদ সকাল সাড়ে ১১টায় জানান, উদ্ধার কাজ চলছে। ভারী যন্ত্রপাতি ব্যবহার করা যাচ্ছে না। তাই উদ্ধার কাজে দেরি হচ্ছে।

এদিকে ভোর থেকে অতিবৃষ্টিতে তলিয়ে গেছে সিলেট নগরীর বেশ কয়েকটি প্রধান সড়ক। পানি উঠেছে তালতলা, পায়রা, উপশহর, তেররতন, মেন্দিবাগসহ বিভিন্ন এলাকায়। প্রধান সড়কগুলোতে পানি ওঠায় ঝুঁকি নিয়ে যান চলাচল করছে।

সিলেট সিটি করপোরেশনের মেয়র আনোয়ারুজ্জামান চৌধুরী বলেন, টিলা নিচে ঝুঁকিপূর্ণ বসবাসের ব্যাপারে সিটি করপোরেশন জিরো টলারেন্স। যারা টিলা কাটছে, তারা রাতে আঁধারে কাটছে। আমরা চাই না এ ধরণের আর কোনো ঘটনা ঘটুক। এদিকে মেয়র বলেন, বিগত সময়ে বন্যায় নিজে দেশে থাকতে না পারলেও সিটি করপোরেশনের টিম কাজ করে গেছে। আমি যখন যাই, তখন বৃষ্টিবাদল ছিলো না। আমি নিজেও লন্ডন থেকে নিয়মিত আপডেট নিয়েছি। নগরবাসীর দূর্ভোগের সময় নির্বাচিত প্রতিনিধি হয়ে পাশে না থাকতে পারায় আমি দুঃখিত।


সময়ের আলো/এএ/




https://www.shomoyeralo.com/ad/1698385080Google-News-Update.jpg

সর্বশেষ সংবাদ

সর্বাধিক পঠিত


ভারপ্রাপ্ত সম্পাদক: সৈয়দ শাহনেওয়াজ করিম, আমিন মোহাম্মদ মিডিয়া কমিউনিকেশন লিমিটেড এর পক্ষে প্রকাশক গাজী আহমেদ উল্লাহ
নাসির ট্রেড সেন্টার, ৮৯, বীর উত্তম সি আর দত্ত সড়ক (সোনারগাঁও রোড), বাংলামোটর, ঢাকা।

ফোন : +৮৮-০২-৯৬৩২৩৬৮-৭৪, ফ্যাক্স : +৮৮-০২-৯৬৩২৩৭৫ | ই-মেইল : shomoyeralo@gmail.com
close