ই-পেপার সোমবার ৭ অক্টোবর ২০২৪
সোমবার ৭ অক্টোবর ২০২৪

ইউএনওকে ফুল না দেওয়ায় শিক্ষককে মারধরের অভিযোগ
প্রকাশ: রবিবার, ৯ জুন, ২০২৪, ৬:৩৬ পিএম  (ভিজিট : ৪০৬)
আহত শিক্ষক মোহাম্মদ মোজাম্মেল হক। ছবি: সংগৃহীত

আহত শিক্ষক মোহাম্মদ মোজাম্মেল হক। ছবি: সংগৃহীত

কাপাসিয়া উপজেলার কপালেশ্বর উচ্চ বিদ্যালয়ের ম্যানেজিং কমিটির সভায় ইউএনওকে ফুল দেয়নি বলে বিদ্যালয়ের শিক্ষক মোহাম্মদ মোজাম্মেল হককে (৪৪) মারপিটের অভিযোগ পাওয়া গেছে।

আহত শিক্ষক মোজাম্মেল কাপাসিয়া উপজেলার কপালেশ্বর গ্রামের ফাইজ উদ্দিন পালোয়ানের ছেলে। তিনি কপালেশ্বর উচ্চ বিদ্যালয়ের সিনিয়র শিক্ষক।

রোববার (৯ জুন) বিকেলে কাপাসিয়া উপজেলা নির্বাহী অফিসার ও কপালেশ্বর উচ্চ বিদ্যালয়ের ম্যানেজিং কমিটি সভাপতি একেএম লুৎফর রহমান বলেন, আমি বিদ্যালয়ের সভাপতি। আমার সামনে শিক্ষককে মারপিট করা হয়েছে।

সভাপতিকে ফুল দেওয়া হয়নি বলে শিক্ষককে মারধর করেছে এ বিষয়ে জানতে চাইলে তিনি বলেন, সভাপতি হিসেবে আমি ফুল প্রত্যাশা করিনি। তারপরও আমার সামনে অভিভাবক সদস্য বিল্লাল হোসেন শিক্ষককে মারধর করেছে। পরে আমি দুপক্ষকে নিভৃত করার চেষ্টা করেও পারিনি। আমি থানা থেকে পুলিশ এনে পরিবেশ শান্ত করেছি।

বিদ্যালয় প্রধান শিক্ষক মো. আফজাল হোসাইন জানান, স্কুল অভিভাবক সদস্য বিল্লাল হোসেন আমাকে বলেছিলও ইউএনও এর জন্য ফুলের ব্যবস্থা করতে। আমি বলেছি, ইউএনও স্যারকে উপজেলায় ফুল দেওয়া হয়েছে। এরপরও ফুল দিতে চাপ দিলে আমি বুঝানোর চেষ্টা করেছি। সভায় এ বিষয়ে ইউএনও স্যারের সামনে বিল্লাল হোসেন আমাকে গালি দিলে মোজাম্মেল হক প্রতিবাদ করে। তখন বিল্লাল হোসেন সাবেক সভাপতি ও তার লোকজন শিক্ষককে মেরে আহত করে। শিক্ষককে কাপাসিয়া উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করানো হয়েছে।

আহত শিক্ষক মোহাম্মদ মোজাম্মেল হক জানান, শনিবার দুপুরের পরে বিদ্যালয়ের ইউএনও উপস্থিতিতে ম্যানেজিং কমিটির সভা বসে। সভায় বিল্লাল হোসেন বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক মো. আফজাল হোসাইন এর প্রতি ক্ষিপ্ত হয়। আমি ন্যায় সঙ্গতভাবে তাদের শান্ত হতে বলি। তারা অধিক মাত্রায় ক্ষিপ্ত হয়ে আমাকে অকথ্য ভাষায় গালিগালাজ আরম্ভ করে। এক পর্যায়ে বিল্লাল হোসেন আমার নাকে, মুখসহ শরীরের বিভিন্নস্থানে এলোপাথাড়ি কিল, ঘুষি আরম্ভ করে। আমি আইনগত ব্যবস্থা নেব।

কাপাসিয়া উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান ও উপজেলা শিক্ষা কমিটির সভাপতি অ্যাডভোকেট আমানত হোসেন খান বলেন, যারা শিক্ষককে পিটিয়ে আহত করেছে তাদের দৃষ্টান্তমূলক বিচার হওয়া দরকার।

অভিভাবক সদস্য বিল্লাল হোসেনের সাথে একাধিকবার যোগাযোগের চেষ্টা করা হলেও তাকে পাওয়া যায়নি। 

সময়ের আলো/আরআই


আরও সংবাদ   বিষয়:  শিক্ষককে মারধর   কাপাসিয়া-গাজীপুর  




https://www.shomoyeralo.com/ad/1698385080Google-News-Update.jpg

সর্বশেষ সংবাদ

সর্বাধিক পঠিত


ভারপ্রাপ্ত সম্পাদক: সৈয়দ শাহনেওয়াজ করিম, আমিন মোহাম্মদ মিডিয়া কমিউনিকেশন লিমিটেড এর পক্ষে প্রকাশক গাজী আহমেদ উল্লাহ
নাসির ট্রেড সেন্টার, ৮৯, বীর উত্তম সি আর দত্ত সড়ক (সোনারগাঁও রোড), বাংলামোটর, ঢাকা।

ফোন : +৮৮-০২-৯৬৩২৩৬৮-৭৪, ফ্যাক্স : +৮৮-০২-৯৬৩২৩৭৫ | ই-মেইল : shomoyeralo@gmail.com
close