ই-পেপার সোমবার ৭ অক্টোবর ২০২৪
সোমবার ৭ অক্টোবর ২০২৪

তীব্র গ্যাস সংকটে বেড়েছে ভোগান্তি,পরিস্থিতি উত্তরণে দ্রুত পদক্ষেপ নিন
প্রকাশ: রবিবার, ৯ জুন, ২০২৪, ১:১৪ এএম  (ভিজিট : ৩২০)
বেশ কিছু দিন ধরে গ্যাসের চাপ কম থাকায় রাজধানীসহ সারা দেশে বাসাবাড়ি থেকে শুরু করে শিল্প-কারখানাগুলোতে তীব্র গ্যাস সংকট দেখা দিয়েছে। কোথাও কোথাও সারা দিনে একবারও রান্না করার চুলা জ্বলে না। কারণ হিসেবে উল্লেখ করা হয়েছিল-পাইপলাইনে হাজার হাজার ছিদ্র ধরা পড়েছে।

এ পরিপ্রেক্ষিতে কর্তৃপক্ষ জানিয়েছিল ছিদ্রগুলো মেরামত না হওয়া পর্যন্ত গ্যাস সরবরাহ কমিয়ে দেওয়া হয়েছে, যাতে কোনো প্রকার দুর্ঘটনা না ঘটে এবং গ্যাস অপচয় রোধ করা যায়। তার রেশ কাটতে না কাটতেই ঘূর্ণিঝড় রিমালে সামিট গ্রুপের ফ্লোটিং স্টোরেজ রিগ্যাসিফিকেশন ইউনিট ক্ষতিগ্রস্ত হওয়ায় বন্ধ রয়েছে গ্যাস সরবরাহ। যা এখনও মেরামত করা সম্ভব হয়নি।

ফলে প্রতিদিন ৫০০ মিলিয়ন ঘনফুট গ্যাস কম সরবরাহ হচ্ছে পাইপলাইনে। পেট্রোবাংলা জানিয়েছে, বিকল টার্মিনাল স্থায়ীভাবে মেরামত করার জন্য সিঙ্গাপুর নিতে হবে। তাতে এক মাস সময় লাগবে। ততদিন ৫০০ মিলিয়ন ঘনফুট গ্যাস সরবরাহ কমই থাকবে। 

পেট্রোবাংলা জানায়, দেশে দুটি ভাসমান এলএনজি টার্মিনাল দিয়ে বিদেশ থেকে গ্যাস আমদানি করা হয়। এর মোট সরবরাহ সক্ষমতা রয়েছে ১ হাজার ১০০ মিলিয়ন। রিমালের সময় একটি পন্টুনের সঙ্গে ধাক্কা লেগে সামিটের এফএসআরইউয়ের পাইপ ক্ষতিগ্রস্ত হয়। ওই ঘটনার পর থেকেই এফএসআরইউ থেকে ৫০০ মিলয়ন ঘনফুট গ্যাস কম সরবরাহ হচ্ছে। 

এ ছাড়া ১১৬টি গ্যাসকূপ থেকে উৎপাদন সক্ষমতা ২ হাজার ৭২৯ মিলিয়ন ঘনফুট গ্যাস। গত বুধবার এলএনজি সরবরাহ করা হয়েছে মাত্র ৬১২ মিলিয়ন ঘনফুট। আর কূপ থেকে উৎপাদিত ২ হাজার ৩১ মিলিয়ন ঘনফুট গ্যাস সরবরাহ করা হয়।

ঘূর্ণিঝড় রিমালের পর গ্যাসের চাপ আরও কমেছে, নতুন নতুন এলাকায় গ্যাস সংকট এতই তীব্র যে, তিতাসের পাশাপাশি এলপিজি সংযোগও নিতে বাধ্য হচ্ছেন অনেক গ্রাহক।

এদিকে বিটিএমএ বলছে, ঢাকার সাভার, আশুলিয়া, নারায়ণগঞ্জ, গাজীপুর ও নরসিংদীসহ দেশের বিভিন্ন জায়গায় তাদের মিলগুলোতে গত দেড় বছরে এ সংকট এতটাই তীব্র হয়েছে যে, কারখানাগুলোর উৎপাদন ক্ষমতা কমে নেমে এসেছে ৪০-৫০ শতাংশে। 

গ্যাস সংকটে পড়েছেন শিল্প-কারখানা ও বাসাবাড়ির গ্রাহকরা। শিল্পে উৎপাদন কমলে ক্ষতিগ্রস্ত হবে রফতানি। বাংলাদেশে শিল্প-কারখানায় ব্যবহৃত বিদ্যুতের বড় অংশ আসে গ্যাসচালিত বিদ্যুৎকেন্দ্র থেকে। প্রাকৃতিক কারণে সামিট গ্রুপের গ্যাস সরবরাহ টার্মিনাল ক্ষতিগ্রস্ত হওয়ায় সরবরাহে বিঘ্ন ঘটছে। সেটি দ্রুত সচল করার উদ্যোগ নিতে হবে। বিশেষজ্ঞরা মনে করেন, জ্বালানির খাতে পরনির্ভরশীলতা কমাতে হবে। '

জ্বালানির নতুন উৎস খুঁজে বের করতে হবে। দেশের স্থল ও সাগরে গ্যাস অনুসন্ধান ও আহরণের প্রচেষ্টা আরও বাড়াতে হবে। যত দ্রুত বিদ্যুৎ ও গ্যাস পরিস্থিতির উত্তরণ হবে অর্থনীতির জন্য ততই মঙ্গল। সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষ এ বিষয়ে আরও আন্তরিক তৎপরতা চালাবে-এটাই আমাদের প্রত্যাশা।

সময়ের আলো/আরএস/ 




https://www.shomoyeralo.com/ad/1698385080Google-News-Update.jpg

সর্বশেষ সংবাদ

সর্বাধিক পঠিত


ভারপ্রাপ্ত সম্পাদক: সৈয়দ শাহনেওয়াজ করিম, আমিন মোহাম্মদ মিডিয়া কমিউনিকেশন লিমিটেড এর পক্ষে প্রকাশক গাজী আহমেদ উল্লাহ
নাসির ট্রেড সেন্টার, ৮৯, বীর উত্তম সি আর দত্ত সড়ক (সোনারগাঁও রোড), বাংলামোটর, ঢাকা।

ফোন : +৮৮-০২-৯৬৩২৩৬৮-৭৪, ফ্যাক্স : +৮৮-০২-৯৬৩২৩৭৫ | ই-মেইল : shomoyeralo@gmail.com
close