ঘূর্ণিঝড় রিমালের কারণে স্থগিত হওয়া ১৯টি উপজেলায় ভোটগ্রহণ রোববাার (৯ জুন) অনুষ্ঠিত হবে। সকাল ৮টা থেকে শুরু বিকেল ৪টা পর্যন্ত চলবে ভোটগ্রহণ। ১৯ উপজেলার মধ্যে একটিতে ইভিএমে ও বাকি ১৮টিতে ব্যালটে ভোট নেয়া হবে। আর এ নির্বাচনের মধ্য দিয়েই সমাপ্তি ঘটবে উপজেলা পরিষদ নির্বাচনের।
গত ১৮ এপ্রিল তৃতীয়ধাপে ১১২টি উপজেলায় ভোটের তফসিল ঘোষণা করে ইসি। কিন্তু ঘূর্ণিঝড় রিমালের কারণে বরিশাল ও খুলনা জেলার ২০টি উপজেলার ভোট স্থগিত করেছিলো ইসি। কিন্তু আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি অবনতির আশঙ্কা ও বৈরী আবহাওয়ার কারণে রাঙামাটির বাঘাইছড়িতে উপজেলা পরিষদের নির্বাচন স্থগিত করেছে নির্বাচন কমিশন (ইসি)।
শনিবার (৮ জুন) রাঙামাটির সিনিয়র নির্বাচন কর্মকর্তা মোহাম্মদ মনির হোসেন বলেন, বৈরী আবহাওয়ার কারণে হেলিসর্টি কেন্দ্রগুলোতে নির্বাচনী সরঞ্জামাদি পাঠানো যাচ্ছে না। এছাড়া সার্বিক আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি বিবেচনা করে বাঘাইছড়িতে নির্বাচন স্থগিত করে ইসি। এদিকে বাঘাইছড়ি উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান ও নারী ভাইস চেয়ারম্যান প্রার্থীর এজেন্টকে হুমকি ও সুষ্ঠু নির্বাচনের দাবিতে নির্বাচনে বাঘাইছড়িতে শনিবার সকাল-সন্ধ্যা (ভোর ৬টা থেকে সন্ধ্যা ৬টা) সড়ক ও নৌপথ অবরোধ পালন করছে ইউনাইটেড পিপলস ডেমোক্রেটিক ফ্রন্ট (ইউপিডিএফ)।
যে সব উপজেলায় ভোট গ্রহণ অনুষ্ঠিত হবে:
রোববার যে সব উপজেলায় ভোটগ্রহণ হবে এরমধ্যে রয়েছে- নেত্রকোনা জেলার খালিয়াজুরী, বাগেরহাটের শরনখোলা ও মোড়লগঞ্জ, মোংলা, কয়রা, পাইকগাছ, ডুমুরিয়া, গৌরনদী, আগৈলঝাড়া, পটুয়াখালী সদর, মির্জাগঞ্জ, দুমকী,মঠবাড়ীয়া, তজুমদ্দিন, লালমোহন, রাজাপুর, কাঠালিয়া, বামনা ও পাথরঘাটা।
এ ১৯ উপজেলায় মোট প্রতিদ্বন্দ্বী প্রার্থী রয়েছে ৩৩০ জন। এরমধ্যে চেয়ারম্যান পদে ১১৯ জন, ভাইসচেয়ারম্যান পদে ১৩২ জন ও মহিলা ভাইসচেয়ারম্যান পদে ৭৯ জন। এছাড়া মোট ভোটকেন্দ্র্র রয়েছে ১ হাজার ১৮১টি ও মোট ভোটার রয়েছে ৩০ লাখ৪৬ হাজার ৮৮ জন। এনির্বাচনে ৯ জন রিটার্নি কর্মকর্তা ও ১৯জন সহকারি রিটার্নিং অফিসার দায়িত্বপালন করবেন।
ষষ্ঠ উপজেলা পরিষদের ভোট চার ধাপে নেয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছে নির্বাচন কমিশন। এরইমধ্যে শেষ হয়েছে চার ধাপের ভোটগ্রহণ। এনির্বাচনে বড় কোন সহিংসতা না ঘটলেও হতাশ করেছে ভোটের হার। প্রথম ধাপে ১৩৯ উপজেলায় ভোট হয়েছে গত ৮ মে, এই ধাপে ভোট পড়েছে ৩৬ দশমিক ১৮। দ্বিতীয় ধাপে গত ২১ মে ১৫৬ উপজেলায় ভোট পড়েছে ৩৭ দশমিক ৫৭ শতাংশ। তৃতীয় ধাপে গত বুধবার (২৯ মে) ৮৭ উপজেলার ভোট পড়েছে ৩৬ দশমিক ২৪ শতাংশ। আর চতুর্থ ধাপে (৫ জুন) ভোট পড়েছে ৩৪ দশমিক ৭৭ শতাংশ। তবে ভোটের হার কম হলেও বড় কোন সহিংসতা ছাড়াই নির্বাচন শান্তিপূর্ণ হয়েছে বলে জানিয়েছে প্রধান নির্বাচন কমিশনার (সিইসি) কাজী হাবিবুল আউয়াল।
সময়ের আলো/জিকে