প্রকাশ: শনিবার, ৮ জুন, ২০২৪, ৬:২৬ এএম (ভিজিট : ২৬০)
রাজবাড়ীর গোয়ালন্দ উপজেলার ৭ নং ওয়ার্ডে অবস্থিত রেলওয়ে কলোনি ৪ নং সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়। এই বিদ্যালয়ের মাঠের মধ্য দিয়ে রয়েছে পাকা রাস্তা। চলছে যানবাহন। এতে ঝুঁকিতে রয়েছে কোমলমতি শিক্ষার্থীদের জীবন। পড়াশোনায় সমস্যা হওয়ার পাশাপাশি খেলাধুলা থেকে বঞ্চিত হচ্ছে তারা।
জানা যায়, তৎকালীন রেলের বড় বাবুদের, ছেলেমেয়েকে পড়ানোর জন্য রেলওয়ের ৫০ শতাংশ জমির ওপর ১৯১৭ সালে প্রতিষ্ঠিত হয়েছিল এই বিদ্যালয়। এখন আর আগের সেই জৌলুস নেই।
বিদ্যালয়ের মাঠের মধ্য দিয়ে নির্মিত হয়েছে পাকা রাস্তা। সেখানে সারা দিন দাপিয়ে বেড়ায়, মাটির ড্রামট্রাক, ইজি বাইক, মোটরসাইকেল নসিমনসহ বিভিন্ন যানবাহন। ফলে ছাত্রছাত্রীদের অভিভাবকরা সারাক্ষণ দুর্ঘটনার আতঙ্কে থাকেন। ইতিমধ্যে পাভেল ও সরমী নামের দুই শিক্ষার্থী দুর্ঘটনার শিকার হয়েছে।
রেলওয়ে কলোনি ৪ নং সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষিকা শাহানাজ পারভীন বলেন, আমাদের স্কুলে ১৫০ জন ছাত্রছাত্রী রয়েছে। কিন্তু স্কুলের মাঠের মধ্য দিয়ে পাকা রাস্তা হওয়ায় সারাক্ষণ সতর্ক হয়ে চলতে হয়। এ রাস্তায় সবসময় ইজিবাইক, ড্রামট্রাক মোটরসাইকেল চলাচল করে। এ কারণে ছাত্র-ছাত্রীদের এক রকম বন্দি অবস্থায় থাকতে হয়। শাহানাজ পারভীন বলেন, সব চাইতে খারাপ ব্যাপার হলো- যখন ছাত্র ছাত্রীদের নিয়ে জাতীয় সংগীত পরিবেশন করি, তখন দুই পাশ থেকে মোটরসাইকেল ড্রামট্রাক আর নসিমন করিমনের উচ্চ আওয়াজ আসে। এ সময় সে গিয়ে রাস্তা ফাঁকা করে দিতে হয়। স্কুলটি ১৯১৭ সালে প্রতিষ্ঠিত। তবে এই স্কুলের অনেক সমস্যা।
প্রতিষ্ঠাকাল থেকে নেই কোনো টয়লেট, বাউন্ডারি। যে কারণে স্কুলের পাশ দিয়ে বেদখল হয়ে যাচ্ছে। তিনি আরও বলেন, এই স্কুলে আমি নিজেও শিক্ষার্থী ছিলাম। তখন থেকে দেখে এসেছি স্কুলের অনেক সমস্যা। এ ব্যাপারে উপজেলা প্রশাসনকে একাধিকবার মৌখিকভাবে অবগত করা হয়েছে। আশ্বাস পাওয়া যায়, কিন্তু কোনো সমাধান হয় না।
পৌর ৭ নং ওয়ার্ডের সাবেক কমিশনার কিয়াম শিকদার বলেন, শতবর্ষী এই বিদ্যালয়ে ছাত্রছাত্রীদের জন্য স্কুলের আলাদা টয়লেট নেই, এটা দুঃখজনক। শিক্ষার্থীদের নিরাপত্তার জন্য অবশ্যই স্কুলের বাউন্ডারি ও টয়লেট প্রয়োজন। যাতে ছাত্রছাত্রীরা নিরাপদে খেলাধুলা করতে পারে।
গোয়ালন্দ উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) জ্যোতি বিকাশ চন্দ্র বলেন, বিষয়টি দেখে ব্যবস্থা গ্রহণ করব। তা ছাড়া স্কুলের বাউন্ডারি যাতে দ্রুত হয়, সে বিষয়েও চেষ্টা করব।
সময়ের আলো/আরএস/