ই-পেপার সোমবার ৭ অক্টোবর ২০২৪
সোমবার ৭ অক্টোবর ২০২৪

মিরকাদিমের ধবল গরু চাহিদার শীর্ষে
প্রকাশ: শনিবার, ৮ জুন, ২০২৪, ১:২৮ এএম  (ভিজিট : ৪৮০)
মুন্সীগঞ্জ সদর উপজেলার ঐতিহ্যবাহী মিরকাদিমের গরু অত্যন্ত প্রসিদ্ধ। হোক লাল, কালো, সাদা বা মিশ্র মিরকাদিমের গরুর চাহিদা সবসময়ই তুঙ্গে। তবে দেখতে খুব শান্ত ও সুন্দর হওয়ার কারণে ধবল (সাদা) গরুর চাহিদা একটু বেশি। আর পুরান ঢাকার মানুষের কাছে বরাবরই চাহিদার শীর্ষে থাকে মিরকাদিমের ধবল গরু। তাই চাহিদা বাড়তে থাকায় গরু পালনে আগ্রহ বাড়ছে খামারিদের।

মুন্সীগঞ্জের মিরকাদিমে অত্যন্ত যত্নসহকারে গরু লালনপালন করা হয়। এ অঞ্চলে ধান-চাল, ডাল, তেলের মিল থাকার কারণে গোখাদ্য সহজলভ্য। গরুকে প্রধানত শুকনো খাবার বেশি খাওয়ানো হয়-খৈল, ডালের ভুসি, ধানের কুঁড়া, খুদের খিচুড়ি, সঙ্গে দেওয়া হয় সবুজ ঘাস। ফলে গরুর মাংস অত্যন্ত সুস্বাদু হয়। সুলভে গোখাদ্য ও পরিবেশ অনুকূলে থাকায় কৃষক বা খামারিরা গরু মোটাতাজাকরণে উদ্বুদ্ধ হয়। এ অঞ্চলে গরু মোটাতাজা করার ক্ষেত্রে স্টেরয়েড বা হরমোনের ইনজেকশন, ট্যাবলেট ব্যবহার করা হয় না। দেশজুড়ে কুরবানিতে বিদেশি গরুর চাহিদ থাকলেও মিরকাদিমের ঐতিহ্য দেশি গরু। মূলত দেশীয় বিভিন্নজাতের ও রঙের গরু মোটতাজা করার ব্যাপারটি ধরে রেখেছেন খামারিরা। কুরবানির ঈদকে সামনে রেখেই শুরু হয় তাদের বিশাল কর্মযজ্ঞ। 

প্রায় দুইশ বছর ধরে মিরকাদিমের গরু সুনামের সঙ্গে তাদের ঐতিহ্য ধরে রেখেছে। দেশি জাতের গরুকে এত যত্ন করে আর কোথাও লালনপালন করা হয় না বলে দাবি করেন স্থানীয় খামারিরা। খামারে বয়স ভেদে চার মাস বয়সি থেকে শুরু করে এক বছর বয়সি গরুকে আলাদাভাবে লালনপালন করা হয়। গরুর স্বাস্থ্য ঠিক রাখার জন্য খামার নিয়মিত পরিষ্কার-পরিচ্ছন্ন রাখা এবং গরুকে নিয়মিত গোসল করানো জরুরি। এসব দিকে খামারিদের থাকে কড়া খেয়াল। প্রতিটি খামারে প্রশিক্ষিত লোকমাধ্যমে খামার রক্ষণাবেক্ষণ করা হয়। এসব খেয়াল রাখেন বলেই হাটে তোলার আগেই বিক্রি হয়ে যায় এসব গরু। 

মিরকাদিমে গরুর খামারগুলোর পাশেই রয়েছে বিশাল বিশাল চাল, কুঁড়া, ভুসি, খৈলের আড়ত। এসব আড়ত মালিকরাই আড়তের আশপাশে গড়ে তুলেছেন গরুর খামার। নিজস্ব খামারে ভুসি, কুঁড়াসহ বিভিন্ন উন্নতমানের গোখাদ্য মিনিকেট চালের খুদ, এক নম্বর খৈল, ভাতের মাড়, সেদ্ধ ভাত, খেসারির ভুসি, গমের ভুসি, বুটের ভুসি খাওয়ানো হয় গরুকে।

মিরকাদিমের গরুর দাম ১ লাখ থেকে শুরু করে ১০ লাখ টাকা পর্যন্ত হয়ে থাকে। কিন্তু ভালো মানের গরুর আশায় ক্রেতারা কুরবানির হাটের অপেক্ষায় না থেকে খোদ মিরকাদিমে খামারে এসে কিনে নিয়ে যান। কেউ কেউ অগ্রিম টাকা দিয়ে যান খামারির মালিককে, গরু কিনে খামারেই রেখে যান এবং ঈদের দুয়েকদিন আগে নিয়ে যান।

জেলা প্রাণিসম্পদ অফিস জানায়, জেলায় ৫ হাজার ২৬০টি গরুর খামার রয়েছে। এতে গরু রয়েছে ৫৫ হাজার ৫১২টি। গত বছরের চেয়ে এবার গরুর সংখ্যা বেড়েছে ১০ শতাংশ। লাভের মুখ দেখায় বেড়েছে খামারি। 

একসময় রাজধানীতে পুরান ঢাকার হাটে কুরবানির ঈদের প্রধান আকর্ষণ ছিল মুন্সীগঞ্জের মিরকাদিমের ধবল গরু। শুধু মিরকাদিমের ধবল গরু বিক্রির জন্য পুরান ঢাকার রহমতগঞ্জের গনি মিয়ার হাটের প্রচলন শুরু হয়। মিরকাদিমের দুই শতাধিক খামারি কয়েক হাজার ধবল গরু পালন করে কুরবানির ঈদের আগে সেই হাটে নিয়ে যেতেন বিক্রি করতে। গোখাদ্যের দাম বৃদ্ধি ও স্টেরয়েড ইনজেকশন দিয়ে গরু মোটাতাজাকরণের অসাধু প্রতিযোগিতাসহ নানা প্রতিকূলতায় ভাটা পড়েছে সেই ঐতিহ্যে। পূর্বপুরুষের শৌখিন ঐতিহ্যকে ধরে রাখা খামারির সংখ্যা কমতে কমতে মাত্র ১০-১২ জনে এসে ঠেকেছে। তবে পুরান ঢাকার শৌ

সময়ের আলো/আরএস/ 




https://www.shomoyeralo.com/ad/1698385080Google-News-Update.jpg

সর্বশেষ সংবাদ

সর্বাধিক পঠিত


ভারপ্রাপ্ত সম্পাদক: সৈয়দ শাহনেওয়াজ করিম, আমিন মোহাম্মদ মিডিয়া কমিউনিকেশন লিমিটেড এর পক্ষে প্রকাশক গাজী আহমেদ উল্লাহ
নাসির ট্রেড সেন্টার, ৮৯, বীর উত্তম সি আর দত্ত সড়ক (সোনারগাঁও রোড), বাংলামোটর, ঢাকা।

ফোন : +৮৮-০২-৯৬৩২৩৬৮-৭৪, ফ্যাক্স : +৮৮-০২-৯৬৩২৩৭৫ | ই-মেইল : shomoyeralo@gmail.com
close