প্রকাশ: বৃহস্পতিবার, ৬ জুন, ২০২৪, ১০:৪৯ পিএম (ভিজিট : ৬৫০)
বাঘা উপজেলা পরিষদ নির্বাচনের ফলাফল স্থগিতপূর্বক সম্পূর্ণ ভোট পুনর্গণনার দাবি জানিয়ে সংবাদ সম্মেলনে কাঁদলেন আনারস প্রতীকের পরাজিত চেয়ারম্যান প্রার্থী রোকনুজ্জামান রিন্টু। তিনি দাবি করেন চেয়ারম্যান, ভাইস চেয়ারম্যান ও নারী ভাইস চেয়ারম্যান পদে যে ভোটের সংখ্যা দেখানো হয়েছে তাতে গরমিল রয়েছে।
বৃহস্পতিবার (৬ জুন) বিকেল সাড়ে ৫টার দিকে রাজশাহী নগরীর একটি রেস্টুরেন্টে সংবাদ সম্মেলনে তিনি এই দাবি জানান। তিনি ষষ্ঠ উপজেলা পরিষদ নির্বাচনে চতুর্থ ধাপে বাঘা উপজেলা পরিষদের নির্বাচন ফলাফল পুনর্গণনার দাবি জানিয়ে সচিব নির্বাচন কমিশন বরাবর দরখাস্ত দিয়েছেন তিনি।
লিখিত বক্তব্যে রোকনুজ্জামান রিন্টু বলেন, ৫ জুন নির্বাচন শুরুর পর থেকেই বিভিন্ন কেন্দ্রে প্রতিদ্বন্দ্বী প্রার্থীর সন্ত্রাসী বাহিনীরা তার পোলিং এজেন্টদের বের করে দেয় এবং প্রিসাইডিং অফিসার ও সহকারী প্রিসাইডিং অফিসারের কাছে আমার পোলিং এজেন্টরা অভিযোগ করলে তাদের সাথে দুর্ব্যবহার করে এবং বের করে দেয়। কিছু কেন্দ্রের প্রিসাইডিং অফিসাররা তার নির্বাচনী পোলিং এজেন্টদের বের করে দিয়ে ভোট গণনা করা হয় বলে দাবি করে তিনি।
তিনি বলেন, অধিকাংশ কেন্দ্রে তার বৈধ ভোটকে বাতিল ভোট বলে ঘোষণা করা হয়। ভাইস চেয়ারম্যান ও নারী ভাইস চেয়ারম্যানের ক্ষেত্রেও নির্ধারিত ফলাফলের সাথে বাতিল ভোটের অসামঞ্জস্য ও গরমিল দেখা যায়। প্রদত্ত মোট ভোটের উপস্থিতি চেয়ারম্যান পদে ৪০ দশমিক ৪ শতাংশ, ভাইস চেয়ারম্যান পদে ৩৯ দশমিক ৯০ শতাংশ এবং নারী ভাইস চেয়ারম্যান পদে ৩৯ দশমিক ৯৮ শতাংশ ভোটার উপস্থিতি দেখানো হয়। যাতে গরমিল পাওয়া যায়।
চেয়ারম্যান, ভাইস চেয়ারম্যান ও নারী ভাইস চেয়ারম্যান তিন পদেরই বাতিলকৃত ভোটেও ব্যাপক পার্থক্য দেখানো হয়েছে। এতে প্রমাণিত হয় যে বাঘা উপজেলা পরিষদ নির্বাচন ২০২৪ কোন ভাবেই অবাধ, সুষ্ঠু ও নিরপেক্ষ হয়নি। সার্বিক বিষয় বিশ্লেষণ করে তিনি নিশ্চিত যে, প্রতিদ্বন্দ্বী প্রার্থীকে বিজয়ী করতেই গণনার ক্ষেত্রে নির্বাচন কাজে নিয়োজিত কিছু ব্যক্তিবর্গ কারচুপির আশ্রয় নিয়েছেন। সকল কেন্দ্রের ভোট পুনর্গণনার দাবি জানান তিনি।
এসময় উপস্থিত ছিলেন বাঘা উপজেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক আশরাফুল ইসলাম বাবুল, উপজেলা আওয়ামী লীগের সাবেক সাংগঠনিক সম্পাদক ওয়াহীদ সাদিক কবির, উপজেলা আওয়ামী লীগের সাবেক যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক সেরাজুল ইসলাম মন্টু, নির্বাচনী আহ্বায়ক মামুন হোসেন।
সময়ের আলো/আরআই