ই-পেপার সোমবার ৭ অক্টোবর ২০২৪
সোমবার ৭ অক্টোবর ২০২৪

মাদক ব্যবসায়ীকে ধরিয়ে দেওয়ায় নারীকে হত্যার পর মাটিচাপা
প্রকাশ: বৃহস্পতিবার, ৬ জুন, ২০২৪, ১০:১৪ পিএম আপডেট: ০৬.০৬.২০২৪ ১১:০২ পিএম  (ভিজিট : ৫০১)
সাভারে গ্রেফতারে সহযোগিতা করায় নারীকে হত্যার পর মাটিচাপা। ইনসেটে নিহত সীমা বেগম। ছবি: সময়ের আলো

সাভারে গ্রেফতারে সহযোগিতা করায় নারীকে হত্যার পর মাটিচাপা। ইনসেটে নিহত সীমা বেগম। ছবি: সময়ের আলো

সাভারের বিরুলিয়ায় পুলিশকে তথ্য দিয়ে মাদক ব্যবসায়ীকে ধরিয়ে দেওয়ার ঘটনায় ক্ষিপ্ত হয়ে বাসা থেকে তুলে নিয়ে সীমা বেগম (৪২) নামের পাঁচ সন্তানের এক জননীকে হত্যা করে মরদেহ মাটি চাপা দেওয়ার ঘটনা ঘটেছে। এ ঘটনায় এক মাদক কারবারিকে আটক করেছে ঢাকা জেলা উত্তর গোয়েন্দা পুলিশ (ডিবি)।

বৃহস্পতিবার (৬ জুন) বিকেলে সাভারের বিরুলিয়া ইউনিয়নের খনিজনগর এলাকার মাদক ব্যবসায়ী স্বপনের বাড়ির আঙ্গিনা থেকে সীমা বেগমের অর্ধগলিত মরদেহ যৌথভাবে উদ্ধার করেছে ডিবি ও সাভার মডেল থানা পুলিশ। 

নিহত সীমা বেগম মাদারীপুর জেলার শিবচর থানার মুন্সীকাদিরপুর গ্রামের বাসিন্দা। তার স্বামীর নাম জাহাঙ্গীর খান তিনি সৌদি প্রবাসী। কিছুদিন আগে তার স্বামীর সাথে ডিভোর্স হয়ে হয়ে যাওয়ার পর তিনি একাই খনিজনগর এলাকায় ভাড়া বাসায় বসবাস করতেন। সীমা বেগমের ৫ জন কন্যা সন্তান রয়েছেন। এদের মধ্যে বড় মেয়ে তানিয়া আক্তারকে বিয়ে দিয়েছেন। বাকি চারজন থাকেন তাদের নানির কাছে মাদারীপুরে।

স্থানীয়রা জানান, গত ১৪ মে ৩০০পিস ইয়াবাসহ বিরুলিয়া ইউনিয়ন যুবলীগের সভাপতি ও মাদক ব্যবসায়ী স্বপনের সহযোগীর তথ্য দিয়ে ডিবি পুলিশে ধরিয়ে দেন সীমা বেগম। পরে এই ঘটনায় ক্ষিপ্ত হয়ে সীমা বেগমকে গত ২ জুন সন্ধ্যা সাড়ে সাতটায় বাসা থেকে তুলে নিয়ে যায় স্বপন, সাইফুল, রেজাউল ও আসিফ। এরপর থেকে আর খোঁজ মিলে না সীমা বেগমের।

এদিকে ঘটনার রাতেই সাভার মডেল থানায় অজ্ঞাত ব্যক্তিদের নামে অপহরণের একটি অভিযোগ দায়ের করেন সীমা বেগমের বড় মেয়ে তানিয়া আক্তার। পরে অভিযোগটি মামলা হিসেবে রজু করে যৌথভাবে অভিযানে নামে ডিবি ও সাভার থানা পুলিশ। অভিযান চালিয়ে সাইফুল ইসলাম নামে একজনকে আটক করে ডিবি। আটককৃত সাইফুল ইসলাম সাভারের ইমান্দিপুর এলাকার মাদক ব্যবসায়ী। তার দেওয়া তথ্যমতে স্বপনের বাড়ির পাশ থেকে সীমা বেগমের মরদেহ উদ্ধার করা হয়।

নিহতের মেয়ে তানিয়া আক্তার বলেন, গত ১৩ মে ঢাকা জেলা উত্তর গোয়েন্দা পুলিশের (ডিবি) একটি টিম স্বপনের বাড়িতে অভিযান পরিচালনা করেন। এ সময় মাদকসহ স্বপনের সহযোগী ও যুবলীগ নেতা হামিদকে গ্রেফতার করে পুলিশ। এ সময় স্বপন পালিয়ে যায়। এর কিছু দিন পর মা আমাকে ফোন দিয়ে বলেন, স্বপন লোকজন ঠিক করেছে তাকে মারার জন্য। এর দুইদিন পর ২ জুন সন্ধ্যা থেকে আমার মা নিখোঁজ। আজ স্বপনের বাড়ির পাশ থেকে আমার মায়ের মরদেহ উদ্ধার করেছে পুলিশ।

তানিয়া আরও বলেন, ডিবির অভিযানে আমার মা নাকি সহযোগিতা করেছিলেন। ডিবি নাকি আমার মায়ের কাছে স্বপনের বাড়ি কোথায় জানতে চেয়েছিল। আমার মা স্বপনের বাড়ি পুলিশকে দেখিয়ে দিয়েছিল। স্বপন, রেজাউল ও সাইফুলসহ আরও কয়েকজন মিলে আমার মাকে হত্যা করে মাটিচাপা দিয়েছে।

পুলিশ জানায়, গোপন তথ্যের ভিত্তিতে সন্দেহভাজন হিসেবে মাদক কারবারি সাইফুল ইসলামকে গ্রেফতার করা হয়। পরে তাকে জিজ্ঞাসাবাদ করে তার দেওয়া তথ্যমতে বিরুলিয়ার ওই এলাকা থেকে সীমা বেগমের মরদেহ উদ্ধার করা হয়।

এই ঘটনায় সাংবাদিকদের ডিবির অতিরিক্ত পুলিশ সুপার মোবাশ্শিরা হাবিব খান বলেন, নিখোঁজের ঘটনায় একটি লিখিত অভিযোগ করেন নিহত সীমা বেগমের বড় মেয়ে তানিয়া আক্তার। পরে পুলিশ বিভিন্ন জায়গায় অভিযান চালিয়ে সাইফুল ইসলামকে আটক করে। পাশাপাশি হত্যাকাণ্ডের ঘটনায় সংশ্লিষ্ট যারা রয়েছে তাদেরকে দ্রুতই গ্রেফতার করা হবে বলে জানান ডিবির এই কর্মকর্তা‌।

সময়ের আলো/আরআই


আরও সংবাদ   বিষয়:  নিখোঁজ নারীর মরদেহ উদ্ধার   সাভার   




https://www.shomoyeralo.com/ad/1698385080Google-News-Update.jpg

সর্বশেষ সংবাদ

সর্বাধিক পঠিত


ভারপ্রাপ্ত সম্পাদক: সৈয়দ শাহনেওয়াজ করিম, আমিন মোহাম্মদ মিডিয়া কমিউনিকেশন লিমিটেড এর পক্ষে প্রকাশক গাজী আহমেদ উল্লাহ
নাসির ট্রেড সেন্টার, ৮৯, বীর উত্তম সি আর দত্ত সড়ক (সোনারগাঁও রোড), বাংলামোটর, ঢাকা।

ফোন : +৮৮-০২-৯৬৩২৩৬৮-৭৪, ফ্যাক্স : +৮৮-০২-৯৬৩২৩৭৫ | ই-মেইল : shomoyeralo@gmail.com
close