ই-পেপার সোমবার ৭ অক্টোবর ২০২৪
সোমবার ৭ অক্টোবর ২০২৪

রাণীনগরে পশুরহাটে ইচ্ছা মতো টোল আদায়, দেখার কেউ নেই
প্রকাশ: বৃহস্পতিবার, ৬ জুন, ২০২৪, ৮:১৪ পিএম  (ভিজিট : ৫২০)
নওগাঁর রাণীনগর উপজেলায় পশুর হাটগুলোতে অতিরিক্ত টোল আদায় করার অভিযোগ উঠেছে। টোল আদায়কারীরা ক্রেতা-বিক্রেতাদের কাছ থেকে সরকারি নির্ধারিত রেটের (টাকার) চাইতে অতিরিক্ত টোল আদায় করে লাখ লাখ টাকা হাতিয়ে নিচ্ছেন। আর রহস্যজনক কারণে নীরব ভূমিকায় রয়েছেন উপজেলা প্রশাসন। যেন দেখার কেউ নেই। অভিযোগ উঠেছে, উপজেলা প্রশাসনের সাথে যোগসাজশে হাটের ইজারাদার এবং খাস আদায়কারীরা তাদের ইচ্ছা মতো হাটে টোল আদায় করছেন।

জানা গেছে, উপজেলার বৃহত্তম পশুরহাট আবাদপুকুর ও ত্রিমোহনী হাট। এবছর আবাদপুকুর হাটটি উপজেলা প্রশাসনের আওতায় খাস আদায় করা হচ্ছে। আর ত্রিমোহনী হাটটি টেন্ডারের মাধ্যমে হিটলার নামে এক ইজারাদার হাটটি ইজারা নিয়েছেন। সপ্তাহে রোববার ও বুধবার দুইদিন আবাদপুকুর হাট হয়। আর সপ্তাহে শনিবার ও মঙ্গলবার দুইদিন বসে ত্রিমোহনী হাট। আসন্ন পবিত্র ঈদুল আযহা (কোরবানি) উপলক্ষে রাণীনগর উপজেলা ও আশেপাশের উপজেলাসহ বিভিন্ন জেলা থেকে এই দুই হাটে গরু, মহিষ, ছাগল ভেড়া বেচা-কেনার জন্য আসেন হাজার হাজার ক্রেতা-বিক্রেতা।

সরকারি নিয়ম অনুযায়ী, গরু-মহিষ থেকে ৫০০ টাকা ও ছাগল-ভেড়া থেকে ২০০ টাকা খাজনা (টোল আদায়) করা যাবে। কিন্তু আবাদপুকুর ও ত্রিমোহনী হাটের উল্টো চিত্র। টোল আদায়কারীরা গরু, মহিষের জন্য ৬০০ থেকে ৭০০ টাকা পর্যন্ত টোল (খাজনা) নিচ্ছেন। আর ছাগল-ভেড়া থেকে ৩০০ থেকে সাড়ে ৩০০ টাকা পর্যন্ত টোল আদায় করছেন। আবার খাজনার টাকা নিলেও রশিদে লেখা হচ্ছে না টাকার পরিমাণ। এতে করে চরম ক্ষোভ প্রকাশ করেছেন হাটে আসা ক্রেতা-বিক্রেতারা।

বুধবার (৬ জুন) আবাদপুকুর হাট থেকে গরু কিনেছেন ঘাটাগন দিঘিরপাড়ের এমদাদুল হক। তিনি ক্ষোভ প্রকাশ করে বলেন, আমি হাট থেকে ৮২ হাজার টাকা দিয়ে একটি গরু কিনেছি। সেই গরুর জন্য লেখনী বাবদ ১০০ টাকা ও খাজনা (ছাপ) বাবদ ৬০০ টাকা আমার কাছ থেকে নিয়েছে টোল আদায়কারীরা। কিন্তু ৭০০ টাকা নিলেও রশিদে একটি টাকাও লিখে দেননি।

ছাগল ক্রেতা মো. বছির আকন্দ জানান, কোরবানির জন্য আবাদপুকুর হাট থেকে একটি ছাগল কিনেছি। ওই ছাগলের খাজনা বাবদ আমার কাছ থেকে ৩০০ টাকা নিয়েছে।

গরু ক্রেতা একরামুল হোসেন বলেন, মঙ্গলবার ত্রিমোহনী পশুরহাট থেকে একটি লাল ষাঁড় কয়েকজন মিলে দেড় লক্ষাধিক টাকা দিয়ে কিনেছি। গরুটির খাজনা জন্য আমাদের কাছ থেকে ৭০০ টাকা নেওয়া হয়েছে। এই হাটে ছাগল ক্রেতার কাছ থেকেও সরকারি নির্ধারিত রেটের চাইতে অতিরিক্ত খাজনা আদায় করা হয়েছে বলেও অভিযোগ বেশ কয়েকজন ক্রেতার।

নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক বেশ কয়েকজন ক্রেতা বলেন, উপজেলা প্রশাসন হাটের এসব বিষয়ে সব কিছু জানার পরেও তারা কোন পদক্ষেপ নেয় না। দ্রুত ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষ হাটে অতিরিক্ত টোল আদায় বন্ধ করতে পদক্ষেপ নিলে ক্রেতা-বিক্রেতারা ইজারাদার ও টোল আদায়কারীদের হাত থেকে রক্ষা পাবে।

অভিযোগের বিষয়ে জানতে চাইলে আবাদপুকুর হাটের টোল আদায়কারীর মধ্যে একজন হেলু মন্ডল সব অভিযোগ অস্বীকার করে বলেন, হাটে অতিরিক্ত কোন টোল আদায় করা হচ্ছে না। সরকারি রেটেই খাজনা আদায় করা হচ্ছে।

অতিরিক্ত টোল আদায়ের অভিযোগের বিষয়ে বক্তব্যের জন্য ত্রিমোহনী হাটের ইজারাদার হিটলারকে একাধিকবার মুঠোফোন ফোন দিলেও তিনি ফোন রিসিভ না করায় তার কোন বক্তব্য পাওয়া যায়নি।

এ ব্যাপারে রাণীনগর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা উম্মে তাবাসসুম বলেন, অতিরিক্ত টোল আদায়ের বিষয়ে কোন ক্রেতা-বিক্রেতার কাছ থেকে লিখিত কোন অভিযোগ পাইনি। অভিযোগ পেলে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে।

সময়ের আলো/আরআই
পশুরহাটে অতিরিক্ত টোল আদায়, নীরব প্রশাসন, রাণীনগর-নওগাঁ




https://www.shomoyeralo.com/ad/1698385080Google-News-Update.jpg

সর্বশেষ সংবাদ

সর্বাধিক পঠিত


ভারপ্রাপ্ত সম্পাদক: সৈয়দ শাহনেওয়াজ করিম, আমিন মোহাম্মদ মিডিয়া কমিউনিকেশন লিমিটেড এর পক্ষে প্রকাশক গাজী আহমেদ উল্লাহ
নাসির ট্রেড সেন্টার, ৮৯, বীর উত্তম সি আর দত্ত সড়ক (সোনারগাঁও রোড), বাংলামোটর, ঢাকা।

ফোন : +৮৮-০২-৯৬৩২৩৬৮-৭৪, ফ্যাক্স : +৮৮-০২-৯৬৩২৩৭৫ | ই-মেইল : shomoyeralo@gmail.com
close