ই-পেপার সোমবার ৭ অক্টোবর ২০২৪
সোমবার ৭ অক্টোবর ২০২৪

অবৈধ স্থাপনার আড়ালে দৃষ্টিনন্দন মডেল মসজিদ
প্রকাশ: বুধবার, ৫ জুন, ২০২৪, ১:৪৮ এএম  (ভিজিট : ৩৪৪)
রাজশাহীর পুঠিয়া উপজেলা পরিষদ চত্বরে ২৯ হাজার ৬০০ বর্গফুট জায়গার ওপর ১২ কোটি টাকা ব্যয়ে নির্মাণ করা হয়েছে অত্যাধুনিক তিন তলা মডেল মসজিদ। কিন্তু প্রধানমন্ত্রীর উপহার মডেল মসজিদটির দৃষ্টিনন্দন সৌন্দর্য ঢাকা পড়েছে উপজেলা পরিষদের অবৈধ স্থাপনার কারণে। প্রবেশপথের কোনো সঠিক সুরাহা হয়নি এখনও। এর মধ্যেই দৃষ্টিনন্দন স্থাপনাটির সৌন্দর্য আড়ালে চলে গেছে অবৈধ মার্কেটের কারণে। 

গত বছরের ৩০ জুলাই সারা দেশের ৫০টি মডেল মসজিদের সঙ্গে পুঠিয়ার এই মসজিদটিও উদ্বোধন করেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। তবে উদ্বোধনের প্রায় এক বছর অতিবাহিত হলেও নামাজসহ অন্যান্য কার্যক্রম এখনও শুরু হয়নি। 

সারা দেশে মোট ৫৬০টি দৃষ্টিনন্দন মডেল মসজিদ ও ইসলামিক সাংস্কৃতিক কেন্দ্র নির্মাণ করেছে সরকার। এর মধ্যে রয়েছে নারী ও পুরুষদের পৃথক অজুখানা ও নামাজ আদায়ের সুবিধা, লাইব্রেরি, গবেষণা ও দীনি দাওয়া কার্যক্রম, পবিত্র কুরআন হেফজ, শিশু শিক্ষা, অতিথিশালা, বিদেশি পর্যটকদের আবাসন, মৃতদেহ গোসলের ব্যবস্থা, হজ যাত্রীদের নিবন্ধন, প্রশিক্ষণ ও ইমামদের প্রশিক্ষণ, ইমাম-মুয়াজ্জিনের আবাসনসহ সাংস্কৃতিক কেন্দ্র।

সরেজমিনে দেখা যায়, অবৈধ মার্কেট স্থাপনের কারণে মসজিদের সৌন্দর্য অনেকটাই ঢাকা পড়ে গেছে। পানি নিষ্কাশনের ক্যানেল বন্ধ করে নাটোর পানি উন্নয়ন বোর্ডের জমি দখল করে মার্কেটটি নির্মাণ করেছে পুঠিয়া উপজেলা পরিষদ। খোঁজ নিয়ে জানা যায়, ১৯৮৫ সাল থেকে তিন ধাপে মোট ৫৬টি দোকান তৈরি করা হয়েছে এখানে। শুরুর দিকে প্রতি মাসে ৭ টাকা স্কয়ারফুট হিসেবে দোকান ভাড়া হয়। শর্ত অনুযায়ী এক বছরের চুক্তিতে ভাড়া দেওয়া হলেও তিন যুগ ধরে আর চুক্তি নবায়ন করা হয়নি। মার্কেটগুলো ব্যবসায়ীরা অবৈধভাবে দখল করে রেখেছে। নতুন করে চুক্তি নবায়ন না করেই ব্যবসায়ীরা দোকানগুলো দখলে রেখে ব্যবসা পরিচালনা করছেন। 

স্থানীয়দের অভিযোগ, এখান থেকে প্রতি বছর লাখ লাখ টাকা অবৈধভাবে চলে যাচ্ছে উপজেলা পরিষদের কাছে। বরাদ্দ গ্রহিতারা শর্ত ভঙ্গ করে অন্যা ব্যবসায়ীদের কাছে অবৈধভাবে দোকান ভাড়া দিয়েছে কিংবা দোকানের পজিশন বিক্রি করে দিয়েছে। বর্তমানে এখানকার অধিকাংশ ব্যবসায়ীর সঙ্গেই বরাদ্দদাতা উপজেলা পরিষদের কোনো চুক্তি হয়নি। মসজিদ উদ্বোধনের আগে পুরো মার্কেট অপসারণের সিদ্ধান্ত হলেও পরবর্তী সময়ে পুরো মার্কেট অপসারণ না করে শুধু ৮টি দোকান অপসারণের পুনঃসিদ্ধান্ত হয়। কিন্তু বাস্তবে মসজিদের প্রবেশপথের সিঁড়ি বরাবর মাত্র তিনটি দোকান ভাঙা হয়েছে।

এ বিষয়ে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা নূর হোসেন নির্ঝর বলেন, জায়গাটি পানি উন্নয়ন বোর্ডের বলে শুনেছি। আমি এখানে আসার অনেক আগেই মার্কেটগুলো তৈরি হয়েছে। মার্কেট তৈরির জন্য পানি উন্নয়ন বোর্ডের অনুমতি আছে কি না তা আমার জানা নেই। অপসারণের জন্য তারা চিঠি দিয়েছে কি না তাও আমার জানার বাইরে। তবে পানি নিষ্কাশনের ড্রেন বন্ধ আছে তা জানি। কিন্তু এ বিষয়ে আমার কাছে কেউ অভিযোগ দেয়নি। মার্কেটগুলো নিয়ন্ত্রণ করে উপজেলা পরিষদ।

রাজশাহী পানি উন্নয়ন বোর্ডের নির্বাহী প্রকৌশলী আরিফুল রহমান বলেন, আমি এখানে নতুন এসেছি। অপসারণের নোটিস করা আছে কি না আমার জানা নেই। যদি নোটিস করা থাকে তাহলে শিগগির আমরা ব্যবস্থা নিব।

সময়ের আলো/আরএস/ 




https://www.shomoyeralo.com/ad/1698385080Google-News-Update.jpg

সর্বশেষ সংবাদ

সর্বাধিক পঠিত


ভারপ্রাপ্ত সম্পাদক: সৈয়দ শাহনেওয়াজ করিম, আমিন মোহাম্মদ মিডিয়া কমিউনিকেশন লিমিটেড এর পক্ষে প্রকাশক গাজী আহমেদ উল্লাহ
নাসির ট্রেড সেন্টার, ৮৯, বীর উত্তম সি আর দত্ত সড়ক (সোনারগাঁও রোড), বাংলামোটর, ঢাকা।

ফোন : +৮৮-০২-৯৬৩২৩৬৮-৭৪, ফ্যাক্স : +৮৮-০২-৯৬৩২৩৭৫ | ই-মেইল : shomoyeralo@gmail.com
close