ই-পেপার সোমবার ৭ অক্টোবর ২০২৪
সোমবার ৭ অক্টোবর ২০২৪

উদ্বোধনের এক বছরেও চালু হয়নি মডেল মসজিদ, নেই প্রবেশ পথ
প্রকাশ: সোমবার, ৩ জুন, ২০২৪, ৬:১৯ পিএম  (ভিজিট : ৬৬৮)
কোটি টাকা ব্যয় করে মাননীয় প্রধানমন্ত্রীর দেওয়া উপহার মডেল মসজিদটির দৃষ্টিনন্দন সৌন্দর্য ঢাকা পড়েছে উপজেলা পরিষদের অবৈধ মার্কেট স্থাপনায়। প্রবেশ পথের কোন সঠিক সুরাহা হয়নি এখনো দৃষ্টিনন্দন এই স্থাপনাটির সৌন্দর্য হারিয়েছে এই অবৈধ মার্কেটের কারণে। 

উপজেলা পরিষদ চত্বরে ২৯ হাজার ৬০০ বর্গফুট জায়গার ওপর ১২ কোটি টাকা ব্যয় করে নির্মাণ করা হয়েছে অত্যাধুনিক তিনতলা বিশিষ্ট মডেল মসজিদ। গত ২০১৯ সালের ৫ আগস্ট মডেল মসজিদ নির্মাণ শুরু হয়। সারাদেশের ৫০টি মডেল মসজিদের সাথে গত ৩০ জুলাই পুঠিয়ার এই মসজিদটিও উদ্বোধন করেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। তবে উদ্বোধনের প্রায় এক বছর অতিবাহিত হলেও নামাজসহ অন্যান্য কার্যক্রম শুরু হয়নি। 

সারাদেশে মোট ৫৬০টি দৃষ্টিনন্দন মডেল মসজিদ ও ইসলামিক সাংস্কৃতিক কেন্দ্র নির্মাণ করেছে সরকার। এর মধ্যে রয়েছে নারী ও পুরুষদের পৃথক অজুখানা ও নামাজ আদায়ের সুবিধা, লাইব্রেরি, গবেষণা ও দীনি দাওয়া কার্যক্রম, পবিত্র কুরআন হেফজ, শিশু শিক্ষা, অতিথিশালা, বিদেশি পর্যটকদের আবাসন, মৃতদেহ গোসলের ব্যবস্থা, হজ যাত্রীদের নিবন্ধন, প্রশিক্ষণ ও ইমামদের প্রশিক্ষণ, ইমাম-মুয়াজ্জিনের আবাসনসহ সাংস্কৃতিক কেন্দ্রের।

সরজমিনে দেখা যায়, অবৈধ মার্কেট স্থাপনের জন্য মসজিদের সৌন্দর্য ব্যাপক ভাবে নষ্ট হয়েছে। পানি নিষ্কাশনের ক্যানেল বন্ধ রেখে নাটোর পানি উন্নয়ন বোর্ডের জমি দখল করে মার্কেট নির্মাণ করেছে পুঠিয়া উপজেলা পরিষদ। সে সময় ১৯৮৫ সাল থেকে ৩ ধাপে মোট ৫৬টি দোকান তৈরি করে তারা। দোকানগুলো প্রতি মাসে ৭ টাকা স্কয়ার ফিট হিসাবে ১ বছরের জন্য ভাড়া দেওয়া হয় তখন। সেখান থেকে প্রতি বছরে প্রায় লাখ-লাখ টাকা অবৈধভাবে হাতিয়ে নিচ্ছে উপজেলা পরিষদ।

শর্ত অনুযায়ী এক বছরের চুক্তিতে ভাড়া দেওয়া থাকলেও তিন-যুগ ধরে আর নবায়ন হয়নি। মার্কেটগুলো ব্যবসায়ীদের মাঝে এখনো অবৈধভাবে দখল রয়েছে। নতুন করে চুক্তি নবায়ন না করেই ব্যবসায়ীরা দোকানগুলো দখলে রেখে ব্যবসা পরিচালনা করছে। 

বরাদ্দ গ্রহীতারা শর্ত ভঙ্গ করে অন্যান্য ব্যবসায়ীদের কাছে অবৈধভাবে ভাড়া দিয়েছে বা দোকানের পজিশন বিক্রি করে দিয়েছে। বর্তমানে অধিকাংশ ব্যবসায়ীদের সাথেই বরাদ্দ দাতা উপজেলা পরিষদের সাথে চুক্তিবদ্ধ হয়নি। 

মসজিদ উদ্বোধনের পূর্বে পুরা মার্কেটটি অপসারণের সিদ্ধান্ত হয়। পরবর্তীতে পুরো মার্কেট অপসারণ না করে সুধু ৮টি দোকান অপসারণের পুন সিদ্ধান্ত হয়। কিন্তু বাস্তবে মসজিদের প্রবেশপথের সিঁড়ি বরাবর মাত্র ৩টি দোকান ভাঙ্গা হয়েছে।

এ বিষয়ে উপজেলা নির্বাহী অফিসার নূর হোসেন নির্ঝর জানায়, জায়গাটি পানি উন্নয়ন বোর্ডের এটা আমি শুনেছি। আমি এখানে আসার অনেক আগেই মার্কেট গুলো তৈরি হয়েছে। মার্কেট তৈরির জন্য পানি উন্নয়ন বোর্ডের অনুমতি আছে কিনা তা আমার জানা নেই। অপসারণের জন্য তারা চিঠি দিয়েছে কিনা তাও আমার জানার বাইরে। তবে পানি নিষ্কাশনের ড্রেন বন্ধ আছে তা জানি কিন্তু সে বিষয়ে আমার কাছে কেউ অভিযোগ করেনি। মার্কেটগুলো উপজেলা পরিষদ নিয়ন্ত্রণ করে।

এ বিষয়ে পানি উন্নয়ন বোর্ডের রাজশাহী নির্বাহী প্রকৌশলী আরিফুল রহমান আঙ্কুর বলেন, আমি এখানে নতুন এসেছি। অপসারণের নোটিশ করা আছে কিনা আমার জানা নেই। যদি নোটিশ করা থাকে তাহলে খুব শীঘ্রই আমরা ব্যবস্থা নিবো। 

সময়ের আলো/আরআই



আরও সংবাদ   বিষয়:  চালু হয়নি মডেল মসজিদ   নেই প্রবেশ পথ   পুঠিয়া-রাজশাহী  




https://www.shomoyeralo.com/ad/1698385080Google-News-Update.jpg

সর্বশেষ সংবাদ

সর্বাধিক পঠিত


ভারপ্রাপ্ত সম্পাদক: সৈয়দ শাহনেওয়াজ করিম, আমিন মোহাম্মদ মিডিয়া কমিউনিকেশন লিমিটেড এর পক্ষে প্রকাশক গাজী আহমেদ উল্লাহ
নাসির ট্রেড সেন্টার, ৮৯, বীর উত্তম সি আর দত্ত সড়ক (সোনারগাঁও রোড), বাংলামোটর, ঢাকা।

ফোন : +৮৮-০২-৯৬৩২৩৬৮-৭৪, ফ্যাক্স : +৮৮-০২-৯৬৩২৩৭৫ | ই-মেইল : shomoyeralo@gmail.com
close