ই-পেপার সোমবার ৭ অক্টোবর ২০২৪
সোমবার ৭ অক্টোবর ২০২৪

আকাশে মেঘ দেখলেই বিদ্যুৎ উধাও, হোসেনপুরে অতিষ্ঠ গ্রাহক
প্রকাশ: শুক্রবার, ৩১ মে, ২০২৪, ১১:৩১ এএম  (ভিজিট : ৪৬৬)
হোসেনপুর পল্লী বিদ্যুতের ভেলকিবাজিতে গ্রাহক অতিষ্ঠ। আকাশে মেঘ দেখলেই গ্রাহকদের বিদ্যুৎহীন থাকতে হয়। ২০১৮ সালে নিরবচ্ছিন্ন বিদ্যুৎ সরবরাহের লক্ষ্যে সাব ষ্টেশন স্থাপন করা হলেও বিতরণ ব্যবস্থা অপরিকল্পিত হওয়ায় এর সফল পাচ্ছেন না ৫৫ হাজার গ্রাহক। যে কারণে প্রতি মাসেই কারণে অকারণেই ৬-১২ ঘণ্টা এমনকি অনেক সময় ২৪ ঘণ্টা বিদ্যুৎ বিহীন থাকতে হয় উপজেলাবাসীকে। এতে চরম ভোগান্তি ও দুর্ভোগে দিনাতিপাত করতে হয়। 

চলতি মে মাসেই ৩ দিন বিতরণ ব্যবস্থায় ক্রটি হওয়ায় কারণে চলতি মাসের ৫ তারিখে থেকে ৮ তারিখ পর্যন্ত অনেক জায়গাতেই বিদ্যুৎবিহীন থাকতে হয়েছে; এছাড়াও গত ২৫ মে ঘূর্ণিঝড় রিমালের কারণে পৌর এলাকাসহ ২৪ ঘণ্টারও অধিক সময়ে বিদ্যুৎবিহীন থাকতে হয়। গত বুধবার দিনভর কম করে হলেও ২০-২৫ বার বিদ্যুতের আসা যাওয়ার পর রাত ২টার বিদ্যুৎ গিয়ে পর দিন বৃহস্পতিবার সকাল সাড়ে ৯টায় দেখা মেলে; এরকম অবস্থা প্রায়ই পড়তে হয় গ্রাহকদের। এহেন পরিস্থিতিতে গ্রাহকরা গরমে অতিষ্ঠ হয়ে সরকারের উন্নয়ন নিয়ে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে স্মার্ট বাংলাদেশের বিনির্মাণ নিয়ে ব্যঙ্গাত্মক মন্তব্য করে আসছেন।

জানা যায়, কিশোরগঞ্জ যশোদল ট্রান্সমিশন কেন্দ্র থেকে এক সাথে ১২টি বিতরণ ব্যবস্থার মাধ্যমে সাব ষ্টেশনে বিদ্যুৎ সরবরাহ হয়ে থাকে। সেখানে ক্রুটি দেখা দিলে পুরো সিস্টেমই অচল হয়ে যায়, যে কারণে এর সাথে সম্পৃক্ত সকল এলাকাই বিদ্যুৎ বিহীন হয়ে পড়ে। 

হোসেনপুর পল্লী বিদ্যুৎ সমিতির জোনাল অফিসের ডেপুটি জেনারেল ম্যানেজার (ডিজিএম) মো. মাসুদ রানা জানান, উপজেলার ৫৫ হাজার গ্রাহকের বিপরীতে ১৫-১৬ মেগাওয়াট বিদ্যুতের চাহিদা রয়েছে। সেখানে ৬-৭ মেগাওয়াট বরাদ্দ পাওয়া যায়, যে কারণে লোডশেডিং ছাড়া উপায় নেই। এছাড়াও প্রায় ৩ হাজার কিলোমিটার খোলা তারের ওভার হেড লাইন রয়েছে। ঝড়-বৃষ্টির কারণে বিতরণ ব্যবস্থায় ক্রুটি দেখা স্বাভাবিক। এ কারণে ক্রুটি দেখা দেওয়ার পর সেটি সনাক্ত করা অনেক সময় লেগে যায়। ক্রুটি চিহ্নিত করার পর সেটি সারাইতে হলে প্রয়োজন নিরাপদ গ্রাউন্ডিং; যে কারণে সে কাজ করতে ৫-৬ ঘণ্টা সময় লেগে যায়।

বিদ্যুৎ সংশ্লিষ্ট আরেক কর্মকর্তা নাম প্রকাশ না করার শর্তে বলেন, যশোদল গ্রিড থেকে একসাথে পিডিবি ও পল্লী বিদ্যুৎ সমিতির ১২টি সঞ্চালন লাইনের মধ্যে হোসেনপুরের সাথে তারাইল, কটিয়াদি ও নান্দাইল উপজেলার মুসল্লির অংশ রয়েছে; যে কারণে তারাইল উপজেলা হোসেনপুর থেকে ৬০ কিলোমিটার দূরত্বে হলেও সেখানে ঝড়বৃষ্টির কারণে বিতরণ লাইনে ক্রুটি দেখা দিলে এর সাথে সংযুক্ত সকল লাইন বন্ধ রেখে ক্রুটি সনাক্ত করে লাইন চালু করতে হয়। তারাইল উপজেলার জন্য আলাদা সাব ষ্টেশন চালুর সকল প্রক্রিয়া শেষ হলেও পিডিবির শার্ট ডাউন না করায় তা চালু করতে পারছেন না। এটি চালু হলেও হোসেনপুর কিছুটা স্বস্তি পাবে। সেটির সকল প্রক্রিয়া শেষ হলে সাট ডাউনের কারণে চালু হচ্ছে না; এটি চালু করতে পাওয়ার গ্রিড কোম্পানি অব বাংলাদেশ এর কর্তৃপক্ষের অনুমোদন প্রয়োজন।

সময়ের আলো/আরআই


আরও সংবাদ   বিষয়:  লোডশেডিংয়ে অতিষ্ঠ গ্রাহক   পল্লী বিদ্যুৎ   হোসেনপুর-কিশোরগঞ্জ  




https://www.shomoyeralo.com/ad/1698385080Google-News-Update.jpg

সর্বশেষ সংবাদ

সর্বাধিক পঠিত


ভারপ্রাপ্ত সম্পাদক: সৈয়দ শাহনেওয়াজ করিম, আমিন মোহাম্মদ মিডিয়া কমিউনিকেশন লিমিটেড এর পক্ষে প্রকাশক গাজী আহমেদ উল্লাহ
নাসির ট্রেড সেন্টার, ৮৯, বীর উত্তম সি আর দত্ত সড়ক (সোনারগাঁও রোড), বাংলামোটর, ঢাকা।

ফোন : +৮৮-০২-৯৬৩২৩৬৮-৭৪, ফ্যাক্স : +৮৮-০২-৯৬৩২৩৭৫ | ই-মেইল : shomoyeralo@gmail.com
close