দিনাজপুরে গভীর রাতে কালবৈশাখী ঝড়ে ব্যাপক তাণ্ডব চালিয়ে দোকান-বাড়ি-গাছপালার ব্যাপক ক্ষতি হয়েছে। বিভিন্ন এলাকায় সড়কে গাছ ও বিদ্যুতের পিলার ভেঙে পড়ে সড়ক যোগাযোগ বিচ্ছিন্ন হয়ে পড়েছে। উড়ে গেছে বাড়ি-দোকানঘরের টিনের চালা। বিচ্ছিন্ন রয়েছে বিদ্যুৎ সরবরাহ।
বৃহস্পতিবার (৩০ মে) সকালে দিনাজপুর আঞ্চলিক আবহাওয়া অফিসের দেয়া তথ্য মতে বুধবার দিবাগত রাত ১টা ৪৬ মিনিট থেকে ১টা ৫১ মিনিট পর্যন্ত স্থায়ী এই কালবৈশাখী ঝড়ের গতিবেগ ছিল ৫৫ থেকে ৬০ কিলোমিটার। দিনাজপুর সদরসহ বিভিন্ন উপজেলায় সড়কের পাশে গাছ পড়ে সড়ক যোগাযোগ বিচ্ছিন্ন হয়ে যায়। রাত থেকেই ফায়ার সার্ভিসের বিভিন্ন ইউনিট সড়ক থেকে গাছ অপসারণের কাজ শুরু করে।
এদিকে জেলা জুড়ে ঝড়ে কিছু টিনের বাড়ি-দোকান ক্ষতি হয়েছে। এতে প্রাণহানি না হলেও আহত হয়েছেন অনেকে। ঝড়ে বিদ্যুতের খুঁটি পড়ে এবং গাছ ভেঙ্গে বৈদ্যুতিক তার ছিঁড়ে পড়ায় দিনাজপুরের বিভিন্ন এলাকায় বিদ্যুৎ বিচ্ছিন্ন রয়েছে।
শহরের গোর এ শহীদ বড়ময়দান সংলগ্ন হকার্স মার্কেটে বড় বড় কয়েকটি গাছ দোকান ঘরের উপর পড়লে প্রায় ১২ লাখ টাকার ক্ষতিসাধন হয়েছে। এতে মালামালসহ প্রায় ৪০টি দোকান ঘরের ব্যাপক ক্ষতি হয়েছে বলে জানান হকার্স মার্কেট দোকান মালিক সমিতির সভাপতি মো. জালাল উদ্দিন।
দিনাজপুর পিডিবি কর্তৃপক্ষ বলছে, কালবৈশাখীর ঝড়ে শহরে ব্যাপক ক্ষয়ক্ষতি হওয়ায় বিদ্যুৎ বিচ্ছিন্ন রাখা হয়েছে। তবে স্বল্প সময়ের মধ্যে বিদ্যুৎ সচল রাখার জন্য কাজ শুরু হয়েছে।
গভীর রাতে থেকেই ক্ষতিগ্রস্ত এলাকাগুলো পরিদর্শন করেছেন জেলা প্রশাসক শাকিল আহমেদ ও পুলিশ সুপার শাহ ইফতেখার আহমেদ।
দিনাজপুর জেলা প্রশাসক শাকিল আহমেদ বলেন, আচমকা ঝড়ের কারণে দিনাজপুরে বেশ কয়েকটি উপজেলায় গাছপালা কাঁচা ঘরবাড়ি ও উঠতি ফসলের বেশ কিছু ক্ষয়-ক্ষতি হয়েছে। রাস্তায় রাস্তায় বিদ্যুতের পিলার ভেঙ্গে রয়েছে। এসব অপসারণে কাজ করছে ফায়ার সার্ভিস। ক্ষতিগ্রস্তদের সহায়তা প্রদান কার্যক্রম চলমান রয়েছে বলেও জানান তিনি।
সময়ের আলো/এএ/