গাজীপুরের কালিয়াকৈরে ভূমিহীনদের ব্যবসা প্রতিষ্ঠান গুড়িয়ে দিলো বন বিভাগ। এসময় বাধা দিতে গেলে বন বিভাগের কর্মকর্তাদের হাতে পুরুষ ও নারীদের হেনস্তা ও মালামাল লুঠ করার অভিযোগ উঠে ও কর্মকর্তাদের বিরুদ্ধে। ওই ঘটনায় দু'পক্ষের কমপক্ষে দশজন আহত হয়েছে।
বৃহস্পতিবার (৩০ মে) সকালে উপজেলার কালামপুর খাজার ডেক এলাকায় এ ঘটনা ঘটেছে।
এলাকাবাসীর সূত্রে জানা গেছে, ভূমিহীন দেশটি পরিবার দীর্ঘদিন ৫০ বছর ধরে এলাকায় তারা ঘরবাড়ি করে বসবাস করে আসছে। জানা গেছে উপজেলার চন্দ্রা হইতে কালামপুর রেললাইন পর্যন্ত একটি আঞ্চলিক সড়ক রয়েছে। ওই আঞ্চলিক সড়কটি প্রশস্ত করার জন্য পৌরসভা থেকে প্রায় ১ কোটি টাকার টেন্ডার করা হয়। পরে সড়কটি দু'পাশে দুই ফিট করে প্রশস্ত কাজ শুরু করে। কিন্তু কালামপুর খাজার ডেক এলাকায় সড়কের দুই পাশে প্রায় ১৫ থেকে ২০ টি দোকান ঘর রয়েছে।
সড়কটির প্রশস্ত কাজে ওই ভূমিহীন পরিবার নিজ উদ্যোগে তাদের দোকান ঘর ভেঙে দেয়। পরে ভাঙ্গা দোকান ঘর মেরামত করতে গেলে বনবিভাগের কিছু অসাধু কর্মকর্তা তাদের কাছে ৫ লাখ টাকা দাবি করে। পরে ভূমিহীনরা তোফাজ্জল নামে এক বন কর্মকর্তাকে ৩ লাখ টাকা দেয়। তারপরেও বন কর্মকর্তারা ক্ষ্যান্ত নয়। ভূমিহীনদের কাছে আরও টাকা দাবি করে ওই বন কর্মকর্তারা। টাকা দিতে অস্বীকার করলে বৃহস্পতিবার সকালে বন বিভাগের ৭ থেকে ৮ জন কর্মচারী কর্মকর্তারা ওই দোকান ঘর ভাঙতে যায়।
এ সময় দোকান ঘরের মালিকদের সাথে কথা কাটাকাটির এক পর্যায়ে ধস্তাধস্তি হয়। পরে নারীরা বাধা দিতে গেলে তাদের ওপর ক্ষিপ্ত হয়ে বন কর্মকর্তারা ও কর্মচারীদের হাতে নারীদের হেনস্থা করার অভিযোগ উঠেছে। দোকান থাকা নগদ টাকা ও মালামাল লুট করে নিয়ে যায়।
চন্দ্রা বন বিভাগের কর্মচারী (ঘাঠ) তোফাজ্জল হোসেনকে টাকা নিয়েছে বিষয়ে জানতে বার বার তার মোবাইলে ফোন করলেও তিনি ফোন রিসিভ করেননি।
কালিয়াকৈরে চন্দ্রা বনবিভাগ কর্মকর্তা আব্দুল মান্নান জানান, টাকার বিষয়টি জানতে চাইলে তিনি বলেন ..... পুতেরা তো কত কথাই বলবে বলে ফোন কেটে দেয়।
সময়ের আলো/এএ/