প্রকাশ: বৃহস্পতিবার, ৩০ মে, ২০২৪, ৩:০৭ এএম (ভিজিট : ৩৩০)
প্রবল ঘূর্ণিঝড়ের তাণ্ডবে বৃষ্টি ঝরেছে দেশজুড়ে। এখন আকাশ পরিষ্কার। তাই সূর্যের কিরণ সরাসরি ভূপৃষ্ঠকে উত্তপ্ত করছে। এর ফলে দিনের তাপমাত্রা ১ থেকে ৩ ডিগ্রি সেলসিয়াস বৃদ্ধি পেয়েছে। তবে রাতের তাপমাত্রা কিছুটা সহনীয় থাকতে পারে বলে জানিয়েছে আবহাওয়া অফিস ।
এদিকে আকাশে মেঘের ভেলা নেই। নেই বাতাসের ঝাপটা। ভ্যাপসা গরমে জনজীবন অতিষ্ঠ। রিমালের তাণ্ডবের প্রভাবে দুদিন ঢাকাসহ সারা দেশে বৃষ্টি ঝরে। কিন্তু গত মঙ্গলবার থেকে ওই বৃষ্টির কোনো প্রভাব নেই, বরং এক ধরনের বিরূপ প্রভাব পড়েছে প্রকৃতিতে।
বুধবার সর্বোচ্চ তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয়েছে টেকনাফে ৩১ দশমিক ৩ ডিগ্রি সেলসিয়াস। পটুয়াখালীতে রিমালের তাণ্ডবের পরও সেখানে গতকাল তাপমাত্রা ছিল ৩১ ডিগ্রি সেলসিয়াস। আর ঢাকার তাপমাত্রা ছিল ২৭ দশমিক ১ ডিগ্রি সেলসিয়াস।
আবহাওয়া অফিস তাদের বুলেটিনে উল্লেখ করেছে, আজ রংপুর, ঢাকা, ময়মনসিংহ ও সিলেট বিভাগের কোনো কোনো অঞ্চলে অস্থায়ীভাবে দমকা হাওয়াসহ মাঝারি ধরনের বৃষ্টি ও বজ্রবৃষ্টি হতে পারে। আংশিক মেঘলা আকাশসহ আবহাওয়া প্রধানত শুষ্ক থাকতে পারে।
ভারতে এখন তাপমাত্রা ৫২ দশমিক ৩ ডিগ্রি সেলসিয়াস। এর পাশাপাশি পাকিস্তানেও তাপমাত্রা এখন চরমে। গতকাল সেখানে ৫২ ডিগ্রি সেলসিয়াস তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয়েছে। একজন আবহাওয়া বিশেষজ্ঞ বলেছেন, কোথাও কোথাও তাপমাত্রা এতই বৃদ্ধি পেয়েছে যে তা সাধারণ মানুষের সহ্যসীমার বাইরে চলে যাচ্ছে। ‘এল নিনো’র কারণে গত দুই বছর ধরে দক্ষিণ এশিয়ার দেশগুলোতে অস্বাভাবিক তাপমাত্রা পরিলক্ষিত হচ্ছে।
সময়ের আলো/আরএস/