ই-পেপার সোমবার ৭ অক্টোবর ২০২৪
সোমবার ৭ অক্টোবর ২০২৪

ঝড়ো বাতাসে ঝড়ে পড়া আমের মণ ৪০০ টাকা
প্রকাশ: মঙ্গলবার, ২৮ মে, ২০২৪, ১১:৫২ পিএম  (ভিজিট : ৩১৪)
ঘূর্ণিঝড় রিমালের প্রভাবে রাজশাহীতে ঝড়ে পড়া আম বিক্রি হচ্ছে ৪০০ টাকা মণে। এই আমগুলো ঝড়ো বাতাসে ঝড়ে পড়ে। যার প্রতিকেজি আমের দাম মাত্র ১০ টাকা। সোমবার (২৭ মে) আমগুলো পড়লেও তা মঙ্গলবার (২৮ মে) বিক্রি করা হচ্ছে।

মঙ্গলবার ছিল বানেশ্বর হাটের দিন। রাজশাহীতে ১৫ মে থেকে আম বিক্রি শুরু হলেও এতদিনে চড়া দামের কারণে হাট জমে উঠছিল না। তবে এদিন ঝড়ে পড়া এই কাঁচা আমের জন্য আমের হাট জমজমাট হয়ে উঠে।

হাটের আম বিক্রেতারা জানান, আমগুলো বাতাসে ঝড়ে পড়েছে। এগুলো শুধু আচারের জন্য ব্যবহার করা যাবে। এছাড়াও কাঁচা আম রান্না করে খাওয়া যাবে। কারণ এই আমগুলো বেশিরভাগই ফেটে গেছে। আমগুলোও পাকবে না। বেশি দাম দিয়ে এজন্য বিক্রি করা সম্ভব হচ্ছে না। তাই এগুলো কম দামে বিক্রি করে দেওয়া হচ্ছে।

তারা আরও জানান, এই আমগুলো চারঘাট, বাঘা, পুঠিয়া ও দুর্গাপুর থেকে নিয়ে আসা হয়েছে। এর মধ্যে সবচেয়ে বেশি আছে ফজলি আম। এরপর আছে হিমসাগর, আম্রপালি, ল্যাংড়া, আশ্বিনা আম। ফজলি বাদে বাকি আমগুলো কাঁচা অবস্থায় খুব টক হয়। এগুলো সেভাবে আচার বাদে খাওয়া সম্ভব না।

চারঘাট থেকে বানেশ্বর হাটে আম নিয়ে এসেছেন শহিদুল ইসলাম। তিনি বলেন, গত সোমবার সকাল থেকে আম ঝড়ে পড়া শুরু হয়েছে। এগুলো কুড়িয়ে জমিয়ে রেখে আজকে প্রায় পাঁচ মণ আম নিয়ে হাটে এসেছি। আমগুলো পাকলে বেশি দাম পাওয়া যেত। কিন্তু ঝড়ে পড়েছে সেজন্য আমের দাম নেই।

বানেশ্বর হাটের মায়ের দোয়া ফলের আড়তের স্বত্বাধিকারী আজম আলী বলেন, আমরা বিভিন্ন বাগান থেকে আম সংগ্রহ করে নিয়ে এসেছি। এখানেও ৭ টাকা থেকে ১০ টাকা কেজিতে আম কিনছি আমরা। ঢাকার বিভিন্ন কোম্পানী আমাদের সােেথ যোগাযোগও করেছে কাঁচা আমাদের জন্য। তাদের কাছে ট্রাকে করে এই আমগুলো পাঠানো হবে।

বানেশ্বর আমের হাটের ইজারাদার মাসুদ রানা বলেন, হাটে এবার আমের দামের কারণে বিক্রি হচ্ছিল না। তবে এইদিন হাটে কাঁচা আম উঠে জমজমাট হয়ে উঠে। কাঁচা এই আমগুলো ৩০০ থেকে ৪০০ টাকা মণে বিক্রি বিক্রি হচ্ছে। আবার যার আম ভালো আছে সে ৫০০ টাকা মণ বিক্রি করছে। এই আম খুচরা বিক্রেতাদের কাছে কিনে আড়ৎদাররা ঢাকাসহ বিভিন্ন যায়গায় পাঠাচ্ছে।

রাজশাহী কৃষি সম্প্রসারণ অধিদফতরের ভারপ্রাপ্ত উপপরিচালক উম্মে সালমা বলেন, বাতাসের কারণে বাঘায় সবচেয়ে বেশি আমের ক্ষতি হয়েছে। কী পরিমাণে ক্ষতি হয়েছে তা উপজেলা কৃষি অফিসারদের জানাতে বলেছি। বুধবারের মধ্যে তারা জানাবে। এরপর বোঝা যাবে কোন কোন ফসল ও ফলের ক্ষতি হয়েছে।

সময়ের আলো/জেডআই




https://www.shomoyeralo.com/ad/1698385080Google-News-Update.jpg

সর্বশেষ সংবাদ

সর্বাধিক পঠিত


ভারপ্রাপ্ত সম্পাদক: সৈয়দ শাহনেওয়াজ করিম, আমিন মোহাম্মদ মিডিয়া কমিউনিকেশন লিমিটেড এর পক্ষে প্রকাশক গাজী আহমেদ উল্লাহ
নাসির ট্রেড সেন্টার, ৮৯, বীর উত্তম সি আর দত্ত সড়ক (সোনারগাঁও রোড), বাংলামোটর, ঢাকা।

ফোন : +৮৮-০২-৯৬৩২৩৬৮-৭৪, ফ্যাক্স : +৮৮-০২-৯৬৩২৩৭৫ | ই-মেইল : shomoyeralo@gmail.com
close