ই-পেপার সোমবার ৭ অক্টোবর ২০২৪
সোমবার ৭ অক্টোবর ২০২৪

খালে ময়লা ফেললে গুণতে হবে জরিমানা: মেয়র আতিক
প্রকাশ: মঙ্গলবার, ২৮ মে, ২০২৪, ৮:৩৯ পিএম  (ভিজিট : ৩৭৪)
ঢাকা উত্তর সিটি কর্পোরেশনের মেয়র আতিকুল ইসলাম বলেছেন, খালে কেউ ময়লা ফেলেছে এটা প্রমাণিত হলে তাকে জরিমানা করা হবে। 

মঙ্গলবার (২৮ মে) ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের নওয়াব নবাব আলী চৌধুরী সিনেট ভবনে অনুষ্ঠিত ‘৮ম আরবান ডায়ালগ-২০২৪’ এ প্রধান অতিথির বক্তব্যে এ কথা বলেন তিনি। 

ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের নওয়াব নবাব আলী চৌধুরী সিনেট ভবনে সংলাপটি যৌথভাবে আয়োজন করেছে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ডিজাস্টার সায়েন্ট এন্ড ক্লাইমেট রেজিলিয়েন্স বিভাগ এবং ২০টি আন্তর্জাতিক বেসরকারি উন্নয়ন সংস্থার কনসোর্টিয়াম আরবান আইএনজিও ফোরাম।

অনুষ্ঠানে মেয়র আতিক বলেন, মানুষ সচেতন না। ময়লা ফেললে জরিমানার ব্যবস্থা করা হলে মানুষের মাঝে কিছুটা সচেতনতা বাড়বে। সিটি কর্পোরেশন থেকে খালের আশেপাশে অনেকগুলো উচ্চ প্রযুক্তিসম্পন্ন ক্যামেরা লাগানো হয়েছে। কেউ খালে ময়লা ফেলেছে এটা প্রমাণিত হলে তাদের শনাক্ত করে তাদেরকে জরিমানা করতে হবে।

তিনি আরও বলেন, বিশ্বের উন্নত ছয়টি দেশ কার্বন এমিশনের জন্য দায়ী। তাদেরকেই বিশ্বের সমস্যা দূর করতে এগিয়ে আসতে হবে। তারা যুদ্ধের জন্য যা ব্যয় করছে তার ১০ শতাংশও যদি জলবায়ু পরিবর্তনের জন্য ব্যয় করতো স্বল্পোন্নত দেশগুলো এত ক্ষতিগ্রস্ত হতে হতো না। তারা কথার ঝুড়ি নিয়ে ভালো ভালো সবক দেন কিন্তু তারাই আসলে মূল অপরাধী। বিশ্বের স্বল্পোন্নত দেশগুলোকে বাঁচাতে বড় ফান্ড গঠন করতে হবে।

মেয়র বলেন, আমরা স্মার্ট সিটি কর্পোরেশন গড়তে ২৪টি পার্ক উদ্ধার করেছি, ৫৪টি খাল দখলমুক্ত করেছি। আমাদের ট্যাক্স প্রদানে সমস্যা দূর করতে অনলাইনে করেছি। ট্রেড লাইসেন্স অনলাইন ভিত্তিক করেছি। অনলাইনে অভিযোগ প্রদানের ব্যবস্থা করেছি। সবার ঢাকা অ্যাপস’ চালু করেছি যেখানে কেউ সমস্যার ছবি তুলে জানাতে পারবে। ফলে আমাদের লোকেরা সাথে সাথে সেখানে গিয়ে সমস্যা সমাধান করে আসবে। জলবায়ু পরিবর্তনের জন্য ক্লাইমেট অ্যাকশন প্ল্যান গ্রহণ করেছি। এডিস মশা দূর করার জন্য অভিযান চালাচ্ছি।

এছাড়া ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের সঙ্গে আরবান রেজিলিয়েন্স এবং গবেষণার জন্যে আগামী অর্থবছরে ৫ কোটি টাকা বাজেট রাখার ঘোষণা দেন তিনি।

অনুষ্ঠানে মূল প্রবন্ধে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক ড. এ এস এম মাকসুদ কামাল বলেন, উন্নত দেশগুলো আগে পরিকল্পনা গ্রহণ করে তারপর আরবান এলাকা গঠন করে। কিন্তু আমাদের দেশে আগে আরবান এলাকা তৈরি হয় পরবর্তীতে পরিকল্পনা গ্রহণ করা হয়। যদিও বাংলাদেশের ৪০ শতাংশ মানুষ আরবান এলাকায় বসবাস করে। অপরিকল্পিতভাবে শহর গড়ে উঠায় সেখানে আগুন লাগলে ফায়ার সার্ভিসের গাড়ি ঢুকতে পারে না। যা বড় রিস্কের তৈরি করে থাকে। তাছাড়া আমাদের সবুজায়ণ কমে গেছে, নদী-খাল-বিলের পরিমাণও কমেছে। ফলে প্রতিনিয়তই শহরাঞ্চলের তাপমাত্রা বাড়ছে।

হেবিট্যাট ফর হিউম্যানিটি ইন্টারন্যাশনাল- এর ন্যাশনাল ডিরেক্টর জেমস্ স্যামুয়েল-এর সভাপতিত্বে উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে অন্যান্যদের মধ্যে বক্তব্য রাখেন গ্লোবাল ওয়ান-এর কান্ট্রি ম্যানেজার রায়হান মাহমুদ কাদেরী, কনসার্ন ওয়াল্ডওয়াইড-এর কান্ট্রি ডিরেক্টর মনিষ কুমার আগ্রাওয়াল এবং ব্রাক-এর কান্ট্রি ডিরেক্টর ড. লিয়াকত আলী।




https://www.shomoyeralo.com/ad/1698385080Google-News-Update.jpg

সর্বশেষ সংবাদ

সর্বাধিক পঠিত


ভারপ্রাপ্ত সম্পাদক: সৈয়দ শাহনেওয়াজ করিম, আমিন মোহাম্মদ মিডিয়া কমিউনিকেশন লিমিটেড এর পক্ষে প্রকাশক গাজী আহমেদ উল্লাহ
নাসির ট্রেড সেন্টার, ৮৯, বীর উত্তম সি আর দত্ত সড়ক (সোনারগাঁও রোড), বাংলামোটর, ঢাকা।

ফোন : +৮৮-০২-৯৬৩২৩৬৮-৭৪, ফ্যাক্স : +৮৮-০২-৯৬৩২৩৭৫ | ই-মেইল : shomoyeralo@gmail.com
close