ঘূর্ণিঝড় রিমালের প্রভাবে তৃতীয় ধাপের উপজেলা নির্বাচনের ১৯টি উপজেলার ভোট স্থগিত করেছে নির্বাচন কমিশন (ইসি)। ফলে বুধবার (২৯ মে) ৯০টি উপজেলায় নির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে।
সোমবার (২৭ মে) দুপুরে আগারগাঁও নির্বাচন ভবনে সংবাদ সম্মেলনে ইসি সচিব জাহাংগীর আলম এই তথ্য জানান।
ইসি সচিব বলেন, মূলত আগামী ২৯ মে ষষ্ঠ উপজেলা পরিষদের সাধারণ নির্বাচনের তৃতীয় ধাপে ১০৯টি উপজেলায় ভোটগ্রহণ করতে মাঠ প্রশাসন, জেলা প্রশাসন ও নির্বাচন কমিশন প্রস্তুতি গ্রহণ করেছেন। ইতোমধ্যেই গতকাল সন্ধায় থেকে ঘূর্ণিঝড় রেমাল বাংলাদেশের উপকূলীয় অঞ্চলগুলোতে আঘাত হেনেছে। যার ফলে কোথাও ১০ নম্বর মহাবিপদ সংকেত এবং ৯ নম্বর বিপদ সংকেত ঘোষিত হয়। এই পর্যন্ত প্রাপ্ত তথ্যানুযায়ি যেসব নির্বাচনী এলাকাগুলোতে জলোচ্ছ্বাসের পানি প্রবেশ, বেড়িবাঁধ ভেঙ্গেছে, কোথাও কোথাও গাছ উপড়ে গেছে এবং কোথাও বিদ্যুৎ সংযোগ বিচ্ছিন্ন রয়েছে। এই সবকিছু বিবেচনায় নিয়ে এবং জেলা প্রশাসক ও বিভাগীয় কমিশনারদের কাছে থেকে প্রাপ্ত তথ্যের আলোকে নির্বাচন কমিশন বাগেরহাট জেলার শরণখোলা, মোড়লগঞ্জ, মোংলা, খুলনা জেলার কয়রা, পাইকগাছা, ডুমুরিয়া, বরিশাল জেলার গৌরনদী, আগৈলঝাড়া, পটুয়াখালী জেলার পটুয়াখালী সদর, মির্জাগঞ্জ, দুমকি, পিরোজপুর জেলার মঠবাড়িয়া, ভোলা জেলার তজুমদ্দিন, লালমোহন, ঝালকাঠি জেলার রাজাপুর, কাঠালিয়া, বরগুনা জেলার বামনা, পাথরঘাটা এবং রাঙ্গামাটি জেলার বাঘাইছড়ি উপজেলার নির্বাচন আপাতত স্থগিত করা হয়েছে। মোট ১৯ উপজেলার ভোট আপাতত স্থগিত হয়েছে। এই ১৯টি উপজেলার ভোট স্থগিতের ফলে আগামী ২৯ মে ৯০টি উপজেলায় নির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে। এই ১৯ উপজেলায় এখনও পানি জমে আছে। যার ফলে স্থানীয় প্রশাসন এসব এলাকার ভোট পিছিয়ে দিতে অনুরোধ করেছে।