প্রকাশ: রবিবার, ২৬ মে, ২০২৪, ১০:১৮ পিএম আপডেট: ২৬.০৫.২০২৪ ১০:২৮ পিএম (ভিজিট : ৯৪৭)
হবিগঞ্জ-৪ আসনের সংসদ সদস্য ব্যারিস্টার সৈয়দ সায়েদুল হক সুমনের বিরুদ্ধে উপজেলা নির্বাচনে আচরণবিধি ভঙ্গের অভিযোগ করেছেন এক চেয়ারম্যান প্রার্থী। অভিযোগে বলা হয়, ক্ষমতার অপব্যবহার করে ব্যারিস্টার সুমন চুনারুঘাট উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান প্রার্থী রায়হান আহমেদের পক্ষে ভোট চাওয়া, অনুদান ঘোষণা এবং নগদ অর্থ দিয়েছেন ব্যারিস্টার সৈয়দ সায়েদুল হক সুমন। যা নির্বাচনী আচরণবিধি লঙ্ঘন ও ভোটারদেরকে প্রভাবিত করা হচ্ছে।
শনিবার (২৫ মে) সহকারী রিটার্নিং কর্মকর্তা ও চুনারুঘাট উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) আয়েশা আক্তারের কাছে এ অভিযোগ দায়ের করেছেন চেয়ারম্যান প্রার্থী মো. আবু তাহের।
এতে বলা হয়, চুনারুঘাট উপজেলা নির্বাচনের তফসিল ঘোষণার পর থেকে উপজেলার বিভিন্ন স্থানে একের পর এক সভা সমাবেশ করে টিআর, কাবিখা ইত্যাদি উন্নয়নের প্রতিশ্রুতি দিয়ে যাচ্ছেন সংসদ সদস্য সৈয়দ সায়েদুল হক সুমন। এসব সভায় ইশারা-ইঙ্গিতে তার নিকটাত্মীয় রায়হান আহমেদকে নির্বাচিত করতে এবং ভোটারদের মধ্যে প্রভাব বিস্তার করছেন।
অভিযোগে আরও বলা হয়, চেয়ারম্যান প্রার্থী রায়হান আহমেদের কাছ থেকে টাকা নিয়ে সম্প্রতি সাটিয়াজুরী ইউনিয়নের শীলপাড়া এলাকায় একটি বৈদ্যুতিক ট্রান্সফরমার স্থাপন করেছেন এমপি সুমন এবং সেখানে প্রকাশ্যে জনসভায় রায়হান আহমেদকে ভোট দেওয়ার আহ্বান জানান তিনি।
এছাড়া নিজ বাসায় বিভিন্ন পর্যায়ের রাজনৈতিক নেতাকর্মী ও গণ্যমান্য ব্যক্তিদের ডেকে এনে রায়হান আহমেদের মোটরসাইকেল প্রতীকের পক্ষে কাজ করার জন্য অনুরোধ ও আহ্বান জানাচ্ছেন সুমন। এছাড়া রায়হান আহমেদের মোটরসাইকেলের পক্ষে মোবাইল ফোনে ও হোয়াটসঅ্যাপে ভোট চাচ্ছেন সুমন, যা নির্বাচনী আচরণবিধির লঙ্ঘন।
তাছাড়া এমপি সুমন উপজেলার চা-শ্রমিকদেরও ভয়ভীতি দেখিয়ে ভোটে প্রভাব বিস্তার করছেন বলে অভিযোগ করেছেন চেয়ারম্যান প্রার্থী আবু তাহের।
অভিযোগে বলা হয়, ব্যারিস্টার সুমন নালুয়া চা-বাগান, হাতিমারা চা-বাগান, চান্দপুর চা-বাগান, কালিশিরি ও জোয়াল ভাঙ্গা চা-বাগানসহ বিভিন্ন এলাকায় সভা করে ১০ লাখ টাকার অনুদান ঘোষণা ও উন্নয়নের আশ্বাস দিচ্ছেন এবং নানা আকার ইঙ্গিতে রায়হানের পক্ষে ভোট চাচ্ছেন। এছাড়া চুনারুঘাট মধ্য বাজারে সভা করে শায়েস্তাগঞ্জ-চুনারুঘাট- জগদীশপুর সড়ক ৪ লেন করার আশ্বাস দিয়ে ভোটারদের মধ্যে প্রভাব বিস্তার করছেন।
অভিযোগের বিষয়ে ব্যারিস্টার সুমন এমপির সাথে একাধিকবার মোবাইল ফোনে যোগাযোগের চেষ্টা করেও সাড়া পাওয়া যায়নি।
সময়ের আলো/আরআই