প্রকাশ: রবিবার, ২৬ মে, ২০২৪, ৪:৫০ পিএম (ভিজিট : ৪০৬)
ঘূর্ণিঝড় রিমালের ঝুঁকি এড়াতে বাঁশখালীর উপকূলীয় এলাকায় সর্বোচ্চ প্রস্তুতি নিয়েছে উপজেলা প্রশাসন ও ঘূর্ণিঝড় প্রস্তুতি অফিস। আহুত ঘূর্ণিঝড়ের ঝুঁকি এড়াতে কন্ট্রোল রুম ও মেডিকেল টিম প্রস্তুত রাখা হয়েছে। এদিকে ৯ নম্বর মহাবিপদ সংকেত প্রচার করা হলেও স্থানীয়দের আশ্রয়কেন্দ্র মুখী হতে দেখা যায়নি। রোববার (২৬ মে) সকাল থেকে গুঁড়ি গুঁড়ি বৃষ্টির পাশাপাশি ক্রমান্বয়ে বাতাসের গতিবেগ বৃদ্ধি পাচ্ছে।
বাঁশখালী উপজেলা ঘূর্ণিঝড় প্রস্তুতি অফিস সূত্রে জানা যায়, পুকুরিয়া, খানখানাবাদ, বাহারছড়া, কাথারিয়া, সরল, শীলকূপ, গণ্ডামারা, শেখেরখীল, পুঁইছড়ি, ছনুয়া ইউনিয়নকে উপকূলীয় অঞ্চল হিসেবে চিহ্নিত করা হয়েছে। ওই ১০টি ইউনিয়নে ৭১টি ইউনিটে ১৪২০ জন স্বেচ্ছাসেবক রয়েছে। সিপিপি’র সেচ্ছাসেবক যেকোনো আহুত পরিস্থিতির ঝুঁকি এড়াতে প্রস্তুত রয়েছেন। স্থানীয় লোকজনকে সতর্ক করতে উপকূলীয় এলাকাগুলোতে মাইকিং অব্যাহত রাখা হয়েছে এবং ৯ নম্বর মহাবিপদ সংকেত দেখানো হয়েছে।
বাঁশখালী উপজেলা ঘূর্ণিঝড় প্রস্তুতি অফিসের রেডিও অপারেটর মিঠু কুমার দাশ বলেন, ‘ইতোমধ্যে উপজেলার সচল ১১০টি আশ্রয়কেন্দ্র কেন্দ্র খুলে দেওয়া হয়েছে এবং উপকূলীয় অঞ্চলে অবস্থিত স্কুল, কলেজ ও মাদরাসার ভবনগুলোও আশ্রয় কেন্দ্রে হিসেবে খুলে দেওয়ার জন্য বলা হয়েছে। স্বেচ্ছাসেবক টিম সার্বক্ষণিক দুর্যোগপূর্ণ এলাকায় তৎপর রয়েছে।’
বাঁশখালী ফায়ার সার্ভিস এন্ড সিভিল ডিফেন্স স্টেশনের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা মো. আযাদুল ইসলাম বলেন, ‘ঘূর্ণিঝড় রিমালের প্রস্তুতি ও পরিস্থিতিতে ঝুঁকি এড়াতে আমার টিম সার্বক্ষণিক প্রস্তুত রয়েছে।’
বাঁশখালী উপজেলা পল্লী বিদ্যুতের ডেপুটি জেনারেল ম্যানেজার (ডিজিএম) রিশু কুমার ঘোষ বলেন, ‘আপনারা আপাতত যে ফিডারে যতটুকু বা যতক্ষণ বিদ্যুৎ পাচ্ছেন, বিদ্যুৎ পাওয়ার সাথে সাথে দয়া করে প্রয়োজনীয় খাবার পানি ও ব্যবহারের পানি তুলে রাখুন। মোবাইল চার্জ করা ছাড়াও বিদ্যুৎ সংশ্লিষ্ট সকল কাজ সেরে ফেলতে পারেন।’
ঘূর্ণিঝড় প্রস্তুতি কর্মসূচির (সিপিপি) টিম লিডার মো. ছগির জানান, ‘উপকূলীয় ১০টি ইউনিয়নে ৭১টি ইউনিটে ১৪২০ জন স্বেচ্ছাসেবক সার্বক্ষণিক প্রচার ও সতর্কতা সংকেত জানিয়ে যাচ্ছে। ইতোমধ্যে আমাদের সিগন্যাল পতাকা উত্তোলন করা হয়েছে। দুপুর ২টা থেকে জনসচেতনতায় ব্যাপক প্রচারণা চালানো হচ্ছে।’
বাঁশখালী উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) জেসমিন আক্তার বলেন, ‘ঘূর্ণিঝড় রিমালের পূর্ব প্রস্তুতির জন্য উপজেলায় জরুরি সমন্বয় সভা অনুষ্ঠিত হয়েছে। আহুত ঘূর্ণিঝড় রিমাল’র ঝুঁকি এড়াতে উপজেলা প্রশাসন প্রস্তুত রয়েছে। এছাড়া গতকাল (শনিবার) সন্ধ্যা থেকে উপকূলীয় এলাকায় মাইকিং করে সতর্কতা জারি করে নিরাপদ স্থানে অবস্থান করার জন্য নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে।’
সময়ের আলো/আরআই