কচুরিপানা জটের কারণে শতবর্ষী কাপাসিয়া খেয়াঘাটে নৌকা চলাচল বন্ধ রয়েছে। এতে নদীর ঘাটের ৪৫ মাঝিসহ বিপাকে পড়েছে সাধারণ মানুষ।
শনিবার (২৫ মে) খেয়াঘাট মাঝি প্রধান রবিউল ইসলাম (৪০) সময়ের আলোকে জানান, শুক্রবার সকাল থেকে এই ঘাটে নৌকা চলাচল বন্ধ রয়েছে।
কচুরিপানা জটের কারণে শীতলক্ষ্যা নদীর বরমী থেকে চরসিন্দুর পর্যন্ত বরমী, সিংশ্রী, বরামা, রায়েদ,পেলাইদ,গোসিংগা,খালের ঘাট, তালতলা, নারায়নপুর, কাপাসিয়া, সাফাইশ্রী, ইকুরিয়া, রানীগঞ্জ, তারাগন্জ, চর-সিন্দুর ঘাটে নৌকা চলাচল বন্ধ রয়েছে বলে মাঝিরা জানান।
মাঝি কাজল মিয়া, মোতালিব, ছাত্তার মোল্লা বলেন, ৪ মাস ধরে ঠিকমতো কাজ করতে পারিনা। পৌষ মাস থেকে বৈশাখ মাস পর্যন্ত নৌকা চলাচল প্রায়ই বন্ধ থাকে।
ডাক্তার এমদাদুল হক জানান- আজকে দেখেছি, ইজারা ঘর বন্ধ। নদীর মাঝ খানে বাঁশ বোঝাই নৌকা আটকে আছে। যাত্রী নৌকাগুলো নদীর উত্তর ঘাটে সারিবদ্ধভাবে রাখা হয়েছে।
শিক্ষক বোরহান উদ্দিন বলেন, এক সময় এ নদীতে পালতোলা নৌকা চলতো। এখন নৌকাই চলেনা। এতে জনদুর্ভোগ বেড়ে গেছে। অনেক শিক্ষার্থী স্কুল কলেজে আসা যাওয়া বন্ধ রয়েছে।
কাপাসিয়া ইউএনও এ কে এম লুৎফর রহমান জানান, উপজেলা প্রশাসন থেকে ফান্ড দিয়ে কচুরিপানা জট সরানো সম্ভব নয়। এসব সরাতে বিআইডব্লিউটিএর সহযোগিতা প্রয়োজন।
বিআইডব্লিউটিএ নরসিংদীর ঘোড়াশাল বন্দর ও পরিবহন কর্মকর্তা নূর স্বপন জানান, শীতলক্ষ্যা নদীর নারায়ণগঞ্জ থেকে চরসিন্দুর পর্যন্ত নদীর ক্যানেল চলাচলে উপযোগী রয়েছে। চরসিন্দুর থেকে বরমী পর্যন্ত নৌ চলাচল বন্ধের বিষয়টি দেখতে হবে। এটা আমাদের আওতায় আনার পরিকল্পনা রয়েছে।
পানি উন্নয়ন বোর্ড নরসিংদীর নির্বাহী প্রকৌশলী বিজয় ইন্দ্র শংকর চক্রবর্তী বলেন, নদীতে ঘের করে যারা মাছ চাষ করে তারা প্রচুর পরিমাণে কচুরিপানা ব্যবহার করে। ফলে নদীতে সেগুলোর প্রভাব পড়ে। ঘের করে মাছ চাষ অবৈধ। ভ্রাম্যমান আদালতের মাধ্যমে ঘের মালিকদের দণ্ড দেওয়া হয়।
সময়ের আলো/জিকে