ই-পেপার সোমবার ৭ অক্টোবর ২০২৪
সোমবার ৭ অক্টোবর ২০২৪

বশেমুরবিপ্রবিতে বিদ্যুৎ-পানির কষ্টে চরম ভোগান্তিতে শিক্ষার্থীরা
প্রকাশ: শনিবার, ২৫ মে, ২০২৪, ১:১০ এএম  (ভিজিট : ৫১৪)
গোপালঞ্জের বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের (বশেমুরবিপ্রবি) হলগুলোতে খাবার পানি যেন এক দুষ্প্রাপ্য বস্তু। সেখানে প্রতিদিন পানি পাওয়া যেন ভাগ্যের ব্যাপার হয়ে দাঁড়িয়েছে। একই সঙ্গে তীব্র লোডশেডিং। বিদ্যুৎ-পানির কষ্টে চরম বিড়ম্বনায় দিন পার করছেন হলগুলোয় থাকা আবাসিক শিক্ষার্থীরা।

অবকাঠামোগত উন্নয়ন ও সৌন্দর্যবর্ধনে বিশ্ববিদ্যালয়টির শেখ রাসেল হল এগিয়ে থাকলেও শিক্ষার্থীদের মৌলিক চাহিদা খাবার পানির বড় সংকট অন্য হলগুলো থেকে এখানেই সবচেয়ে বেশি। শিক্ষার্থীদের অভিযোগ প্রতিনিয়তই দীর্ঘক্ষণ ধরে, কখনো কখনো সারাদিনই পানি থাকে না। পাশের হল থেকে কিংবা পানি কিনে এনে পান করতে হচ্ছে শিক্ষার্থীদের। এর ফলে তীব্র অসন্তোষ দেখা দিয়েছে শিক্ষার্থীদের মধ্যে। 
শিক্ষার্থীরা জানান, এক দিন, দুদিন সমস্যা হতে পারে, কিন্তু প্রতিনিয়তই হলে পানি থাকে না। এই তীব্র গরমে এভাবে চলা যায় না। খাওয়ার পানির অভাবে কোনো শিক্ষার্থী অসুস্থ হয়ে পড়লে তার দায়ভার কে নেবে? হল প্রশাসন দ্রুত পানির সমস্যার সমাধান করবে বলে আমরা আশা রাখি।

শেখ রাসেল হলের একজন আবাসিক শিক্ষার্থী বলেন, পানির জন্য অপেক্ষা করতে করতে দুপুরের খাবার খেতে সন্ধ্যা গড়িয়েছে, তাও পানির দেখা নেই। অবশেষে মাগরিবের সময় স্বাধীনতা দিবস হল থেকে পানি এনে খাবার খেয়েছি। প্রায়ই হলে পানি না থাকার কারণে সময়ের খাবার সময়ে খেতে পারি না। 

শুধু শেখ রাসেল হল নয়, বিশ্ববিদ্যালয়ের অন্য চারটি হলে খোঁজ নিয়ে জানা যায় সেসব হলগুলোতেও প্রায়শই পানির সংকট দেখা দেয়। নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক শেখ রেহানা হলের এক আবাসিক শিক্ষার্থী বলেন, হলে খাবার পানির সমস্যার জন্য আমাদের অনেক বেশি ভোগান্তি পোহাতে হয়। বেশিরভাগ সময়ই হলে পানি থাকে না। এর সঙ্গে যুক্ত হয়েছে বিদ্যুতের সমস্যা। 

এ ছাড়া স্বাধীনতা দিবস হল, বিজয় দিবস হল এবং বঙ্গমাতা শেখ ফজিলাতুন নেছা মুজিব হলেও একই সমস্যা বিদ্যমান। প্রায়ই দেখা দেয় পানির সমস্যা। যার ফলে চরম ভোগান্তি পোহাতে হচ্ছে হলগুলোর আবাসিক শিক্ষার্থীদের। 

এদিকে হলগুলোতে পানি সমস্যার পাশাপাশি চরম আকার ধারণ করেছে বিদ্যুতের সমস্যা। দীর্ঘ ছুটি শেষে প্রায় সবগুলো বিভাগে ক্লাস ও সেমিস্টার চলায় এই দুর্ভোগের মাত্রা আরও বেড়েছে। ফলে নির্বিঘ্নে পড়ালেখা চালিয়ে যেতে হিমশিম খেতে হচ্ছে শিক্ষার্থীদের। হলগুলো ছাড়াও বিশ্ববিদ্যালয়ের কেন্দ্রীয় লাইব্রেরি ভবনেও একই সমস্যা দেখা দিচ্ছে। ফলে একাডেমিক কার্যক্রমেও প্রভাব পড়ছে বলে জানান শিক্ষার্থীরা। ঘন ঘন বিদ্যুৎ বিভ্রাটের ফলে পড়াশোনায় ব্যাঘাত, ঘুমে সমস্যা ও মশার উপদ্রবসহ নানা সমস্যায় ভোগান্তিতে পড়েছেন হলগুলোর আবাসিক শিক্ষার্থীরা।

বিদ্যুৎ সমস্যার সমাধান চেয়ে গত রোববার বিশ্ববিদ্যালয়ের আবাসিক হলের শিক্ষার্থীরা একত্রিত হয়ে প্রশাসনিক ভবনের সামনে অবস্থান কর্মসূচি পালন করেছেন। সে সময় তারা নিরবচ্ছিন্ন বিদ্যুতের দাবি জানিয়েছেন। 

বিশ্ববিদ্যালয়ের আবাসিক হলগুলোর এমন বেহাল দশা নিয়ে কথা বলতে হল প্রভোস্টদের ফোন করা হলে শেখ রাসেল, শেখ রেহানা এবং স্বাধীনতা দিবস হলের প্রভোস্টদের সঙ্গে যোগাযোগ করা সম্ভব হয়নি।

বিজয় দিবস হল প্রভোস্ট মো. রবিউল ইসলাম বলেন, আজকে পানির সমস্যা হয়েছে, এর আগে সমস্যা হলেও সেটা ছিল সাময়িক। পৌরসভা থেকে পানির সাপ্লাইয়ে সমস্যা থাকার কারণেই হলে পানির সমস্যা দেখা দেয়। তা ছাড়া মোটর রিলেটেড কোনো প্রবলেম দেখা দিলে সেটা যত দ্রুত সম্ভব সমাধান করা হয়।

সময়ের আলো/আরএস/ 





এই ক্যাটেগরির আরো সংবাদ


https://www.shomoyeralo.com/ad/1698385080Google-News-Update.jpg

সর্বশেষ সংবাদ

সর্বাধিক পঠিত


ভারপ্রাপ্ত সম্পাদক: সৈয়দ শাহনেওয়াজ করিম, আমিন মোহাম্মদ মিডিয়া কমিউনিকেশন লিমিটেড এর পক্ষে প্রকাশক গাজী আহমেদ উল্লাহ
নাসির ট্রেড সেন্টার, ৮৯, বীর উত্তম সি আর দত্ত সড়ক (সোনারগাঁও রোড), বাংলামোটর, ঢাকা।

ফোন : +৮৮-০২-৯৬৩২৩৬৮-৭৪, ফ্যাক্স : +৮৮-০২-৯৬৩২৩৭৫ | ই-মেইল : shomoyeralo@gmail.com
close