ই-পেপার সোমবার ৭ অক্টোবর ২০২৪
সোমবার ৭ অক্টোবর ২০২৪

উন্নত দেশগুলো ঝুঁকছে স্মার্ট সিটিতে
প্রকাশ: মঙ্গলবার, ২১ মে, ২০২৪, ৪:৫৩ এএম  (ভিজিট : ৪৭০)
আন্তর্জাতিকভাবে স্বীকৃত স্মার্ট সিটির মূল বিষয়গুলো হলো- প্রযুক্তিনির্ভর অবকাঠামো, পরিবেশগত উদ্যোগ, কার্যকর গণপরিবহন, প্রগতিশীল ও আত্মবিশ্বাসী নগর পরিকল্পনা ও নাগরিকদের সব প্রয়োজন নিশ্চিত করতে নগরের প্রাকৃতিক ও ভৌত সম্পদের সর্বোচ্চ ব্যবহার নিশ্চিত করা। 

তবে প্রস্তাবিত স্মার্ট সিটিতে পাঁচটি উপাদান চিহ্নিত করা হয়েছে সর্বপ্রথম স্মার্ট সিটির ধারণাটি ষাট এবং সত্তর দশকে শুরু হয়েছিল। সে সময় ইউএস কমিউনিটি অ্যানালাইসিস ব্যুরো সরাসরি নাগরিক পরিষেবা নিশ্চিতকরণ, দুর্যোগ প্রশমন ও দারিদ্র্য দূরীকরণ- এই তিন লক্ষ্যে তথ্য-উপাত্ত সংগ্রহ করতে শুরু করে। প্রথম প্রজন্মের স্মার্ট সিটির শুরু হয় এখান থেকেই। 

দৈনন্দিন জীবনের প্রতিটি ক্ষেত্রে প্রযুক্তির যথাযোগ্য ব্যবহার শুরু হতে থাকে। ধীরে ধীরে স্মার্ট সিটি দ্বিতীয় প্রজন্ম থেকে তৃতীয় প্রজন্মের দিকে এগিয়ে গেছে যেখানে নগর নেতাদের কাছ থেকে ক্ষমতা পুরোটাই চলে গেছে অন্তর্ভুক্তিমূলক একটি ব্যবস্থার ওপর, যেখানে অত্যাধুনিক প্রযুক্তির সঙ্গে যোগ হয়েছে সমাজের সব স্তরের নিশ্চিত অন্তর্ভুক্তি। 

সুতরাং শুধু বাহ্যিক রূপ বদল, অবকাঠামোগত উন্নয়ন ও উন্নত প্রযুক্তিই স্মার্ট সিটির মূল বিষয় নয়। এর ব্যাপ্তি অনেক বিশাল, অনেক গভীর এর বিস্তৃতি। এখানে সুলভ ও সাশ্রয়ী আবাসন, উন্নত যোগাযোগব্যবস্থা, শক্ত অর্থনৈতিক কাঠামো, পরিবেশ সুরক্ষা থেকে শুরু করে জেন্ডার সমতা ও অন্তর্ভুক্তির মতো বিষয়গুলোও চলে আসে। 

উন্নত প্রযুক্তির ব্যবহারের মাধ্যমে স্মার্ট শহরগুলোতে নাগরিকদের সব ধরনের সুবিধা, নিরাপত্তা- এমনকি নগর প্রশাসনকেও নিয়ন্ত্রণ করা হচ্ছে। স্মার্ট শহর এখন আর নতুন কোনো ধারণা নয়। বৈশ্বিক এই অগ্রযাত্রার সঙ্গে তাল মেলাতে গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশ সরকার গ্রহণ করেছে ‘রূপকল্প ২০৪১’ শিরোনামের একটি কৌশলগত পরিকল্পনা বা স্ট্র্যাটেজিক প্ল্যান। মূলত গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশ সরকারের প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা প্রদত্ত ও জাতীয় অর্থনৈতিক কাউন্সিল প্রণীত একটি পরিকল্পনা এটি। 

বিশ্বের উন্নত দেশগুলো ‘স্মার্ট সিটি’ ধারণার দিকে ঝুকছে। এ প্রত্যাশিত জনসংখ্যা বৃদ্ধির সঙ্গে নগরের শক্তিশালী অর্থনৈতিক কাঠামো, সম্পদের টেকসই ও যথাযোগ্য ব্যবহার, পরিবেশ সংরক্ষণ ও সামাজিক নিরাপত্তার বিষয়গুলো সামনে চলে আসে। অর্থাৎ আগামী ৩০ বছরের মধ্যেই বাড়তি ২.৫ বিলিয়ন মানুষ যুক্ত হবে বিশ্বের নগর জনসংখ্যায়। পৃথিবীর মোট জনসংখ্যার ৪৪ শতাংশ নগরাঞ্চলে বসবাস করে। ২০৫০ সাল নাগাদ এ জনসংখ্যা হবে শতকরা ৬৬ ভাগ। তবে সবার আগে স্মার্ট সিটি বলতে আমরা কী বুঝি সে সম্পর্কে নাতিদীর্ঘ একটি আলোচনা করা যাক।

‘রূপকল্প ২০৪১’-এর অভীষ্ট লক্ষ্য অর্জন করতেই মূলত ‘স্মার্ট বাংলাদেশ রূপকল্প’ প্রণয়ন করা হয়েছে যার মূল লক্ষ্য হলো- ২০৪১ সালের মধ্যে বাংলাদেশকে একটি উন্নত রাষ্ট্রে পরিণত করা এবং চতুর্থ শিল্প বিপ্লবের ফলে উদ্ভূত অত্যাধুনিক প্রযুক্তিনির্ভর বিশ্বের সঙ্গে সামঞ্জস্য রেখে এগিয়ে যাওয়া। এ লক্ষ্যে সরকারি ও বেসরকারি প্রতিটি খাতেই কাজ শুরু হয়ে গেছে। স্মার্ট বাংলাদেশ রূপকল্পের অন্যতম মূল লক্ষ্য হলো- আমাদের শহরগুলোকে স্মার্ট সিটি হিসেবে গড়ে তোলা। গ্রামগুলোকেও স্মার্ট গ্রাম হিসেবে গড়ে তোলার কথা রূপকল্পে উল্লেখ করা হয়েছে। 

স্মার্ট সিটি বাস্তবায়নের মূল দায়িত্বে থাকবে স্থানীয় সরকার বিভাগ ও আইসিটি বিভাগ। তবে এর পাশাপাশি সংশ্লিষ্ট অন্যান্য বিভাগও কাজ করবে। এ ক্ষেত্রে একটি নির্দিষ্ট এলাকায় বসবাসরত জনসংখ্যাকে বিবেচনায় নিয়ে ওই এলাকার জন্য মাস্টারপ্ল্যান তৈরি করার কথা বলা হয়েছে। 

স্মার্ট সিটি কথাটা মনে হলেই আমাদের অনেকেরই চোখে ভেসে ওঠে আকাশছোঁয়া ভবন, ঝকঝকে দোকানপাট, চকচকে মসৃণ রাস্তা আর অত্যাধুনিক যানবাহনের এক মিশেল যেখানে সবুজের উপস্থিতি থাকে নেহাত কম। প্রথাগত কারণেই হয়তোবা নগর বলতে আমরা প্রায় সবাই ইট-সিমেন্টের জঙ্গলকে বুঝি। আর সে জন্যই স্মার্ট সিটির যে অবয়ব বা চিত্র তা অতি প্রযুক্তিনির্ভর, স্বয়ংক্রিয় ও যান্ত্রিক শহরের রূপরেখা। কিন্তু আদতেই কি তাই? মূলত স্মার্ট সিটির বাসিন্দাদের উন্নত জীবন প্রদানের পাশাপাশি অর্থনৈতিক প্রবৃদ্ধিও নিশ্চিত করে। পৃথিবীর অনেক দেশেই স্মার্ট সিটি গড়ে তোলা হয়েছে।  

আন্তর্জাতিকভাবে স্বীকৃত স্মার্ট সিটির মূল বিষয়গুলো হলো- প্রযুক্তিনির্ভর অবকাঠামো, পরিবেশগত উদ্যোগ, কার্যকর গণপরিবহন, প্রগতিশীল ও আত্মবিশ্বাসী নগর পরিকল্পনা ও নাগরিকদের সব প্রয়োজন নিশ্চিত করতে নগরের প্রাকৃতিক ও ভৌত সম্পদের সর্বোচ্চ ব্যবহার নিশ্চিত করা। 

তবে বাংলাদেশের জন্য প্রস্তাবিত স্মার্ট সিটি কাঠামোতে স্বাস্থ্যসেবা, পরিবহন, জননিরাপত্তা, ইউটিলিটি এবং নগর প্রশাসন- এ পাঁচটি উপাদান ও পরিষেবাকে চিহ্নিত করা হয়েছে। এ কথা মনে রাখা প্রয়োজন যে, শুধু উন্নত প্রযুক্তির ব্যবহারই একটি নগরের স্মার্ট হওয়ার বিষয়টি নিশ্চিত করে না। বরং এর সঙ্গে জড়িয়ে আছে আরও ছোট-বড় অনেক বিষয়। এ ধরনের নগরীতে পরিবেশের ওপর ক্ষতিকর প্রভাব পড়ে না সেভাবে। বরং পরিবেশ লাভবান হয়। এর প্রকৃষ্ট উদাহরণ হলোÑসিঙ্গাপুর সিটি, যার সবুজ আচ্ছাদন ৪০ শতাংশ। অথচ আইওটি ক্যামেরার মাধ্যমে এখানে প্রতি মুহূর্তে পাবলিক প্লেস বা জনসমাগম স্থানের পরিচ্ছন্নতা, নিরাপত্তা, নিবন্ধিত যানবাহনের চলাচল, ভিড়ের ঘনত্ব, জলের ব্যবহার, বর্জ্য ব্যবস্থাপনা, জ্বালানির ব্যবহার ইত্যাদি সবকিছু পর্যবেক্ষণ করা হয়। 

বিশ্বের অন্য স্মার্ট সিটিগুলোর মধ্যে অন্যতম হলো- টোকিও, হংকং, টরন্টো, বার্সেলোনা, কলম্বাস, দুবাই, মেলবোর্ন, নিউইউয়র্ক ইত্যাদি। সব শহরেই উপরিউক্ত সুযোগ-সুবিধা নিশ্চিত করার মাধ্যমে নাগরিকদের জীবনমান নিশ্চিত করা হয়। 

এখন প্রশ্ন জাগে, এই স্মার্ট সিটি কনসেপ্ট বা ধারণাটি ঠিক কতটা যুক্তিযুক্ত, কীভাবে আমাদের শহরগুলোর জন্য প্রয়োগ করা যাবে, কীভাবেই বা রক্ষা হবে পরিবেশ ও প্রতিবেশ। বিশ্বের বসবাস অনুপযোগী নগরগুলোর মধ্যে ঢাকার অবস্থান ওপরের দিকেই। চট্টগ্রামও সে ক্ষেত্রে খুব একটা ভালো অবস্থানে নেই। ঢাকা-চট্টগ্রাম ছাড়া অন্যান্য বিভাগীয় শহর এমনকি পৌরসভাগুলোতেও লেগেছে নগর উন্নয়নের হাওয়া। ঢাকার বাইরের শহরগুলো এত দ্রুত বাড়ছে যে শহরতলিগুলোও বাদ যাচ্ছে না। এমনকি গ্রামও আর সেই আগের গ্রাম নেই। 

অর্থনৈতিক কাঠামো বদলের সঙ্গে সঙ্গে গ্রামে এসেছে পরিবর্তনের জোয়ার। জীবনযাত্রার মানোন্নয়নের সঙ্গে সঙ্গে গ্রামের বাড়িঘরের কাঠামো যেমন বদলে গেছে, তেমনি সামাজিক কাঠামোতেও এসেছে পরিবর্তন। আমাদের দেশে মানুষ মূলত দুটি কারণে শহর অভিমুখী হচ্ছে। 

প্রথমত, উন্নত সুযোগ-সুবিধা ও দ্বিতীয়ত, জলবায়ু পরিবর্তন। সুতরাং, নিশ্চিতভাবেই স্মার্ট সিটি গড়ে তোলার ক্ষেত্রে তাই অন্যান্য দেশের তুলনায় আমাদের চ্যালেঞ্জগুলো ভিন্ন এবং অনন্য। শুধু প্রযুক্তিগত উৎকর্ষ সাধনেই সব সমস্যার সমাধান হবে না। এর জন্য শুধু সামগ্রিক পরিকল্পনা নয়, প্রয়োজন সামূহিক পদক্ষেপ অর্থাৎ হলিস্টিক অ্যাপ্রোচ। এ ক্ষেত্রে বিদ্যমান আইন ও নীতিমালাগুলো যেমন হালনাগাদ ও আধুনিকীকরণের প্রয়োজনীয়তা রয়েছে তেমনি একান্ত প্রয়োজন স্মার্ট কৌশলপত্র তৈরির। 

বাংলাদেশ এখন অনেক চ্যালেঞ্জের মুখোমুখি। বৈশ্বিক অর্থনৈতিক মন্দার ঢেউ এসে যেমন আমাদের অর্থনীতিতে প্রভাব ফেলেছে, তেমনি আছে জলবায়ু পরিবর্তনের প্রভাব এবং দূষণের মতো বিষয়ও। এর সঙ্গে আমাদের নাগরিক জীবনমান ও নিরাপত্তার ক্রমাগত নিম্নগামিতা তো আছেই।

আমাদের নগরগুলোর পরিবহন ব্যবস্থা কোনোভাবেই মানসম্মত নয়। যদিও মেট্রো, বিআরটি ও এক্সপ্রেসওয়ের মতো অনেক প্রকল্প হাতে নেওয়া হয়েছে, এ ছাড়াও আছে বাসরুট রেশানালাইজেশন প্রজেক্টও, তারপরও এখন আমরা ঢাকা ও অন্যান্য শহরে মানসম্মত গণপরিবহন ব্যবস্থা চালু করতে পারিনি। নগরে জনসংখ্যা বাড়ছে প্রতিনিয়ত কিন্তু তাদের আবাসনের চাহিদা যথাযথভাবে মেটানো সম্ভব হয়ে ওঠেনি এখনও। নগরের পয়োনিষ্কাশন ও বর্জ্য ব্যবস্থাপনার আধুনিক ব্যবস্থা এখনও গড়ে ওঠেনি। নেই ব্যবহারোপযোগী গণশৌচাগারের ব্যবস্থাও। নগরবাসীদের জন্য নেই উপযুক্ত বিনোদনের ব্যবস্থাও। আর এসব অব্যবস্থাপনার সরাসরি প্রভাব পড়ছে আমাদের প্রাকৃতিক পরিবেশ ও প্রতিবেশের ওপর। সুতরাং আমাদের নগরগুলোর একেবারে মৌলিক যে সুবিধা, চাহিদা, সেগুলোর সরবরাহ আগে প্রয়োজন। যদি উন্নত বাস সার্ভিসই না থাকে তবে সেখানে বাসরুটের জন্য স্মার্ট অ্যাপ কি আদৌ কোনো কাজে আসবে?

‘অপরিকল্পিত নগরায়ণ’ একটি বহুল আলোচিত ও বহুল ব্যবহৃত শব্দ। এর ফলে শুধু যে নগরের পরিবেশ খারাপ হচ্ছে তা না, প্রভাব পড়ছে পরিবেশের ওপরও। উজাড় হচ্ছে নদী, খাল, বিল, মাঠ, কৃষিজমি। সুতরাং শুধু উন্নয়ন পরিকল্পনা নয়, বরং উন্নয়ন নিয়ন্ত্রণের নীতিমালাও প্রয়োজন। উন্নত দেশগুলোতে খুবই কঠোর ‘ডেভেলপমেন্ট কন্ট্রোল পলিসি’ আছে। চাইলেই সেখানে কৃষিজমি বা জলাভূমিকে আবাসন প্রকল্প, স্যাটেলাইট নগর, শিল্প-কারখানা ঘোষণা করা যায় না। কিন্তু আমাদের দেশে সে নীতিমালা ও আইন থাকলেও তার কঠোর প্রয়োগ নেই। তাই স্মার্ট সিটি গড়ে তোলার আগে এসব বিষয়ের সমাধান একান্ত প্রয়োজন। 

এ ক্ষেত্রে শুধু সরকারি নয়, বরং বেসরকারি খাতকেও এগিয়ে আসতে হবে। কারণ কাজটি শুধু প্রযুক্তির ব্যবহার দিয়ে সমাধান করা সম্ভব নয়। এখানে আর্থিক বিষয় থেকে শুরু করে আইনগত বিষয়ও জড়িত। স্মার্ট সিটি শুধু প্রযুক্তিবান্ধব হলেই হবে না, প্রযুক্তির সঙ্গে সঙ্গে তাকে হতে হবে অর্থনীতি ও পরিবেশবান্ধব, নিরাপদ, বাসযোগ্য ও টেকসই শহর। প্রযুক্তি মানুষের দোরগোড়ায় পৌঁছে দেবে সব সুবিধা। 
ইতিমধ্যে গণপরিবহনে স্মার্ট কার্ডের কথা আমরা জেনেছি। একটিমাত্র কার্ড দিয়ে মেট্রো, বাস, ট্রেন ইত্যাদি যানবাহনে ভ্রমণ করতে পারবে নগরবাসী।  দৈনন্দিন জীবনে অনেক ক্ষেত্রেই ডিজিটাইজেশনের সুবিধা আমরা পাচ্ছি। স্মার্ট নগরে সেবা, চিকিৎসা, ব্যাংকিং ইত্যাদি সবই পরিচালিত হবে কেন্দ্রীয়ভাবে, প্রযুক্তির মাধ্যমে। এতে করে একদিকে যেমন নগরবাসীর সময় বাঁচবে, তেমনি বৃদ্ধি পারে অর্থনৈতিক প্রবৃদ্ধি ও সামাজিক নিরাপত্তাও।

২০৪১ সালের মধ্যে স্মার্ট বাংলাদেশ রূপকল্প বাস্তবায়নের জন্য আমাদের শহর ও গ্রামগুলোকে যথারীতি স্মার্ট শহর ও স্মার্ট গ্রাম হিসেবে গড়ে তুলতে হবে এবং তা বাস্তবায়নের জন্য স্মার্ট স্বাস্থ্যসেবা, খাদ্য সুরক্ষা, স্মার্ট যোগাযোগ, স্মার্ট ইউটিলিটি, স্মার্ট জননিরাপত্তা, স্মার্ট নগর প্রশাসন, স্মার্ট দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা, স্মার্ট বর্জ্য ব্যবস্থাপনা ইত্যাদি নিশ্চিত করতে হবে। 

এর জন্য নগর প্রশাসনের পুনর্গঠন ও আধুনিকীকরণ এবং যথাযথ পরিকল্পনার পাশাপাশি  কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা, রোবোটিক্স, মাইক্রোচিপ ডিজাইন, সাইবার সিকিউরিটি- এই চারটি বিষয়ের যথাযথ ব্যবহার নিশ্চিত করা একান্ত প্রয়োজন। প্রিয় মাতৃভূমির এ উৎকর্ষলগ্নে স্থপতি, নগর পরিকল্পনাবিদ, প্রকৌশলী, আইন প্রণেতাসহ সংশ্লিষ্ট সব পেশাজীবীর ঐকান্তিক প্রচেষ্টাই পারবে বাসযোগ্য, নিরাপদ, সংযুক্ত সর্বোপরি স্মার্ট নগর গড়ে তুলতে।

বৈশ্বিক দৃশ্যপটের ক্রমাগত পরিবর্তন ও প্রযুক্তির ক্রমবর্ধমান উন্নতির সঙ্গে তাল মেলানো এখন সময়ে দাবি। এ ছাড়া আর কোনো পথও নেই। তবে এ ক্ষেত্রে প্রতিটি পদক্ষেপ ফেলতে হবে খুব সাবধানে, অনেক ভেবেচিন্তে। কারণ প্রকৃতিগতভাবেই আমরা উন্নত নগর বলতে শুধুই অবকাঠামোগত উন্নয়ন বুঝি। স্মার্ট সিটির ক্ষেত্রে এই ভুলটা আমাদের এড়িয়ে চলতে হবে। মনে রাখতে হবে স্মার্ট সিটি হলোÑমূলত ‘কানেক্টেড সিটি’ বা সংযুক্ত শহর। একজন নাগরিকও এখানে বিচ্ছিন্ন থাকবে না কোনো সেবা থেকে। ন্যূনতম পরিবেশগত প্রভাব নিশ্চিত করে একটি নগরের সম্পদের সর্বোচ্চ ব্যবহারকে নিশ্চিত করার পাশাপাশি নাগরিকদের আধুনিক প্রযুক্তির মাধ্যমে জনবান্ধব সেবা প্রদানই এর মূল লক্ষ্য।

লেখক: স্থপতি ও নগর পরিকল্পনাবিদ

সময়ের আলো/জিকে




https://www.shomoyeralo.com/ad/1698385080Google-News-Update.jpg

সর্বশেষ সংবাদ

সর্বাধিক পঠিত


ভারপ্রাপ্ত সম্পাদক: সৈয়দ শাহনেওয়াজ করিম, আমিন মোহাম্মদ মিডিয়া কমিউনিকেশন লিমিটেড এর পক্ষে প্রকাশক গাজী আহমেদ উল্লাহ
নাসির ট্রেড সেন্টার, ৮৯, বীর উত্তম সি আর দত্ত সড়ক (সোনারগাঁও রোড), বাংলামোটর, ঢাকা।

ফোন : +৮৮-০২-৯৬৩২৩৬৮-৭৪, ফ্যাক্স : +৮৮-০২-৯৬৩২৩৭৫ | ই-মেইল : shomoyeralo@gmail.com
close